নট

পৌরানিক নর্সে, নট (ইংরেজি: Nótt) (প্রাচীন নর্স "নাইট" বা রাত[1]) হল রাতের মূর্তিস্বরূপ হয়ে আসা থরের নানী। ইডার কবিতা ও প্রবন্ধ উভয় বিষয়ে ত্রয়োদশ শতকের পূর্বের ঐতিহ্যগত উৎস সংকলিত হয়েছে, যা স্নরি স্টুরলাসনের মাধ্যমে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে লিখিত হয়েছে। পরে নটকে কন্যা হিসেবে নরভি নামের একটি চিত্রের সঙ্গে তালিতাভুক্ত করা হয় এবং ঘোড়া হরিমফাক্সির সাথে যুক্ত করা হয়। যে প্রবন্ধেটিতে নটির তিনটি বিবাহের কথা উল্লেখ করা হয়। নটি তার তৃতীয় বিবাহ করেন ঈশ্বর ডেলিনগার কে এবং তার সেই সংসারে ডাগর নামে এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। যদিও তার অবতার দিনে (কিছু পাণ্ডুলিপি বৈচিত্রপূর্ণ তালিকায় প্রকাশ করছে যে, জারো ছিলেন ডেলিনগারের স্ত্রী এবং ডাগরের মা)। পরিচিত বিশেষ্য রূপে প্রাচীন নর্স সাহিত্যতে নট শব্দটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত শব্দ।

উনিশ শতকের দিকে নট তাঁর ঘোড়ায় আরোহণ করে ছুটছেন, পিটার নিকোলি আবরোরের চিত্রকর্ম.

জবানবন্দি

কাব্যিক ইডা

ভাফপরুনিসমা (Vafþrúðnismál), কবিতার ২৪ স্তবকে ঈশ্বর ওডিন (গাজনার ছদ্ম নাম) জটুনন ভাফপরুনির (jötunn Vafþrúðnir) কে জিঙ্গাসা করেন দিন কোথায থেকে আসে? আর রাত ও তার জোয়ার কোথায় থাকে? কবিতার ২৫ তম স্তবকে ভাফপরুনি উত্তর প্রদান করেন:

ডেলিনগারের পরিচয় তিনিই হলেন দিনের পিতা,
কিন্তু নারভির জন্ম হলো রাতে;
চাঁদ বাড়া-কমায় দয়াময় হলেন মূল হোতা,
মানব জাতি শুধু শুধু সন গননায় মাতে[2]

ভাফপরুনিসমাকবিতার ১৪ তম স্তবকে আছে, ওডিন বলেন ঘোড়া হরিমফাক্সি (Hrímfaxi) দয়াময় দেবতাদেকে স্বপক্ষে প্রতি রাতে আহবান করে। আর প্রত্যুষে উপত্যকা থেকে যত শিশির তার কাছে আসে সেগুলোকে আসতে দেয়।[3]আলভিসমাল কবিতার৩০ তম স্তবকে আছে, ঈশ্বর থর বামন আলভিসকে জিঙ্গাসা করেন কোন রাতকে একত্রে নয়টি রাজ্য বলা হয় যে রাতে নারফির জন্ম? আলভিস জবাব দেন, যে রাত মানবজাতি নিকট "নাইট" দেবতাদের নিকট "অন্ধকার" ছদ্মবেশীর নিকট "অলৌকিক ক্ষমতা", "জটসন" আলোহীনদের নিকট, ইভিলের নিকট "আনন্দের ঘুম"। তখন ডাভের তার স্বপ্নের কথা বলেন নিউরেন(অর্থাৎ স্বপ্নের দেবী)।[4]

সিগরড্রিফুমল, ভালকারিসিগরড্রিফা এরপর নায়ক সিগার্ড তার অভিসাপের ঘুম ভাঙ্গান, আর তার নাম জিঙ্গাসা করেন, আর তাকে একটি "স্মৃতি ড্রিংক" তৃণভূমি পূর্ণ একটি পানীয় শৃঙ্গ প্রদান করেন। এরপর একটি অসভ্য প্রার্থনা করেন। প্রার্থনার প্রথম চরণে তার "পুত্র ডাগর" এবং কন্যা নট" এর সত্যতা প্রমাণ করে।

দিন থেকে শিলাবৃষ্টি! দিনের সন্তানদের শিলাবৃষ্টি!
নাইট ও তার মেয়ের শিলাবৃষ্টি!
প্রশান্ত চোখদিয়ে আমাদের দিকে তাকাও,
আর বস এখানে, আমাদের বিজয় এনে দাও।
এইসারে শিলাবৃষ্টি! অসিনিরে শিলাবৃষ্টি!
শিলাবৃষ্টি আর শিলাবৃষ্টি, সুপ্রসস্ত আকাশে য়ত দূর যায় দৃষ্টি!
শব্দ ও প্রজ্ঞা দুইজনই আমাদের চরিত্রকে উন্নত করে,
আর আমরা বসবাস করি আমাদের হাত সুস্থ করে![5]

গদ্যের ইডা

"ইডার গদ্যের" গ্রন্থ গিলফাগিনিং, নট আবার প্রকাশিত হয়। এই বইটির ১০ম অধ্যায়ে নওফি বা নারফি নট জটুনের কন্যা জটুনহেমরের উচ্চ সিংহাসনে অধিষ্ঠিত চিত্র অঙ্কন করেন। নট কালো বা কালচে বর্ণের ছিলেন। আর তিনি তিনটি বিবাহ করেছিলেন। তার প্রথম বিয়ে নাগলফারি কে করেছিলেন, সে সংসারে তার আওর (Auðr) নামে এক ছেলের জন্ম হয়। তার দ্বিতীয় বিবাহ হয়েছিল আননার সঙ্গে, সেখানে তার জরো (Jörð) নামের কন্যার জন্ম হয়, যিনি পৃথিবীতে অবতার করেন। চুড়ান্তভাবে নট ঈশ্বর ডেলিনগরকে বিবাহ করেন। আর সেই ঘরেই ডাগরেের জন্ম হয়, ডাগরই তার বাবার পর "পিতার বংশের" নাম আলোকিত ও বিশ্বাসযোগ্য করেছিলেন। ওডিন একটি রথ ও একটি ঘোড়ায় করে নট ও তার ছেলে ডাগরকে নিয়ে ২৪ ঘণ্টায় আকাশের চার পাশে ঘুরতে থাকেন। নট ডাগরের পূর্বেই আরোহণ করেন এবং ঘোড়া হরিমফাক্সির উপর থেকে পৃথিবীতে সামান্য ফেনার ছিটা ফেলেন।[6]

যাইহোক, পণ্ডিত হাওকুর ঠারগেইরসোন "গিলফাগিনিং" গ্রন্থের চারটি পান্ডুলিপি নিয়ে নট, জরো, ডাগর এবং ডেলিনগরের পারিবারিক সম্পর্ক তাদের বর্ণনার তারতম্য গবেষণা করে খুঁজে বের করেছেন। অন্য কথায়, পান্ডুলিপির উপর নির্ভর করে ডাগরের মা জারো বা নট এবং ডেলিনগরের অংশিদারের উপর। হাওকুর বিবরণীতে বলা হয়, "প্রচীন পান্ডুলিপিতে, ইউ" সংস্করণে আছে জারো হল ডেলিনগারের স্ত্রী এবং মাগরের মা। যেখানে আর, ডব্লিউ, এবং টি পান্ডুলিপিতে উল্লেখ আছে নট চরিত্রটি হল ডেলিভারের স্ত্রী এবং ডাগরের মা। আর পূর্বগামী ইউ সংস্করণ হতে পারে দুর্ঘটনাক্রমে এসেছে, যখন ইউ লেখা হচ্ছিল তখন আক্ষরিক দিক দিয়ে আর.ডব্লিউ.টি সাথে সাদৃশ্য হয়েগেছে। আর তাই এই দুর্ঘটনার ফলে আইসল্যান্ডীয় কাব্যিক ঐতিহ্যের মধ্যে তাদের পথ তৈরি করেছে।[7]

ইডার গদ্যের বই সকালডাসকাপরমা, বলছে জারো উপলদ্ধি করেছে নটের কন্যা অন্তর্ভুক্তি রয়েছে।[8] অধ্যায় ৫৮ বলছে যে "হরিমফাক্সি বা ফিওরসাভারতনির" নাইট অঙ্কন করেন।[9] আর অধ্যায় ৬৪ বলছে, নট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে শব্দের জন্য "আলভিসমা" যাযাবর হিসেবে।[10]

টীকা

  1. Orchard (1997:120).
  2. Thorpe (1907:13).
  3. Larrington (1996:42).
  4. Translation of all of this section minus "dream-Njörun" from Larrington (1996:113). Larrington glosses draum-Njörun (Jónsson (1931:84, Old Norse "dream-Njörun") as "dream-goddess".
  5. Thorpe (1907:181).
  6. Byock (2005:19).
  7. Haukur (2008:159—168).
  8. Faulkes (1995:90).
  9. Faulkes (1995:137).
  10. Faulkes (1995:144).

তথ্যসূত্র

  • (ইংরেজি) Byock, Jesse (Trans.) (2006). The Prose Edda. Penguin Classics. আইএসবিএন ০-১৪-০৪৪৭৫৫-৫
  • (ইংরেজি) Faulkes, Anthony (Trans.) (1995). Edda. Everyman. আইএসবিএন ০-৪৬০-৮৭৬১৬-৩
  • (ইংরেজি)Jónsson, Finnur (1931). Lexicon poeticum. S. L. Møllers bogtrykkeri.
  • (ইংরেজি)Haukur Thorgeirsson (2008). "Hinn fagri foldar son" as published in Gripla XIX, pages 159—168. Árni Magnússon Institute for Icelandic Studies.
  • (ইংরেজি)Larrington, Carolyne (Trans.) (1999). The Poetic Edda. Oxford World's Classics. আইএসবিএন ০-১৯-২৮৩৯৪৬-২
  • (ইংরেজি)Orchard, Andy (1997). Dictionary of Norse Myth and Legend. Cassell. আইএসবিএন ০-৩০৪-৩৪৫২০-২
  • (ইংরেজি)Thorpe, Benjamin (Trans.) (1907). The Elder Edda of Saemund Sigfusson. Norrœna Society.

টেমপ্লেট:নর্স বিশ্বতত্ত্ব টেমপ্লেট:নর্স পৌরানিক

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.