নচিকেতা ঘোষ
নচিকেতা ঘোষ ভারতের সবচেয়ে প্রশংসিত সঙ্গীত পরিচালক এবং সুরকার। তিনি মূলত বাংলা, হিন্দি ও ওড়িয়া ভাষায় গীত রচনা করেন। তিনি চলচ্চিত্রের গানসহ বাংলা আধুনিক গানকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছেন। তিনি একজন চমৎকার গায়ক ছিলেন এবং গ্রামোফোনে একক কণ্ঠে তার গান বের হয়েছিল।
নচিকেতা ঘোষ | |
---|---|
জন্ম | ১৯২৫ |
মৃত্যু | ১২ অক্টোবর ১৯৭৬ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | সঙ্গীত পরিচালক এবং সুরকার |
প্রথম জীবন
তার পিতা ডঃ সনত কুমার ঘোষ ছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসক। সনত বাবু একজন স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ডাক্তার এবং পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের চিকিৎসক হিসেবেও কাজ করেছেন। পিতা চাইতেন তার বড় ছেলে নচিকেতা ঘোষ ডাক্তারি পড়াশোনা করুক। নচিকেতা ঘোষ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাধাগোবিন্দ কর মেডিক্যাল কলেজ (আর জি কর কলেজ) থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী লাভ করেন। কিন্তু চিকিৎসাকে তিনি পেশা হিসাবে নিতে আগ্রহী ছিলেন না।
প্রত্যেক রবিবার, বিশিষ্ট সঙ্গিতজ্ঞ কৃষ্ণ চন্দ্র দে, সুবল দাসগুপ্ত, কমল দাশগুপ্ত, কানা সাতকারি ডঃ সনত কুমারের শ্যামবাজার বাড়িতে মিলিত হতেন এবং সেটা অল্পবয়েসে নচিকেতা ঘোষের ওপর প্রভাব ফেলে। বাংলার তৎকালীন সংগীত প্রতিভাদের কাছ থেকে দেখার সুযোগ ছিল তার। তিনি খুব ছোট বেলা থেকেই তাদের সঙ্গে তবলা বাজাতেন। ধীরে ধীরে তবলা(এবং সঙ্গীত) নচিকেতার প্রথম প্রেমে পরিনত হয়।
মাত্র ২৪ বছরে বয়সে নচিকেতা প্রতিশ্রুতিশীল সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে আবির্ভূত হন এবং বাংলা সঙ্গীত জগতে নতুন প্রবাহ সংযোজন করেন। সঙ্গীত রচনাশৈলীতে তার কৃতিত্ব অনন্য।
ব্যক্তিগত জীবন
নচিকেতা ঘোষ শ্রীমতী শিবানী দত্তকে বিয়ে করেন। তাদের শ্রাবণী ও সম্পুর্না নামে দুইটি মেয়ে এবং সুপর্ণ কান্তি নামে এক ছেলে আছে। সুপর্ণ কান্তি ঘোষ অত্যন্ত সুপরিচিত সঙ্গীত স্রষ্টা এবং গত তিন দশক ধরে তার পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে যাচ্ছেন।
চলচ্চিত্রের তালিকা
চলচ্চিত্র | বছর |
---|---|
বৌদির বোন | ১৯৫৩ |
জয়দেব | ১৯৫৪ |
অর্ধাঙ্গিনী | ১৯৫৫ |
ভালোবাসা | ১৯৫৫ |
নিষিদ্ধ ফল | ১৯৫৫ |
পথের শেষে | ১৯৫৫ |
ঝড়ের পরে | ১৯৫৫ |
অসমাপ্ত | ১৯৫৬ |
ত্রিযামা | 1956 |
নবজন্ম | ১৯৫৬ |
তাপসী | ১৯৫৭ |
পৃথিবী আমারে চায় | ১৯৫৭ |
নতুন প্রভাত | ১৯৫৭ |
রাস্তার ছেলে | ১৯৫৭ |
হরিষচন্দ্র | ১৯৫৭ |
ইন্দ্রানী | ১৯৫৮ |
ভানু পেল লটারি | ১৯৫৮ |
বন্ধু | ১৯৫৮ |
রাজধানী থেকে | ১৯৫৮ |
চাওয়া পাওয়া | ১৯৫৯ |
কিছুক্ষন | ১৯৫৯ |
নির্ধারিত শিল্পীর অনুপস্থিতিতে | ১৯৫৯ |
স্বপ্ন পুরী | ১৯৫৯ |
ক্ষুধা | ১৯৬০ |
আকাশ পাতাল | ১৯৬০ |
বিয়ের খাতা | ১৯৬০ |
হাত বাড়ালেই বন্ধু | ১৯৬০ |
চুপি চুপি আসে | ১৯৬০ |
কানামাছি | ১৯৬১ |
কাঁটাতার | ১৯৬৪ |
ছোট্ট জিজ্ঞাসা | ১৯৬৮ |
রক্ত রেখা | ১৯৬৮ |
চিরদিনের | ১৯৬৯ |
নিশি পদ্ম | ১৯৭০ |
বিলম্বিতলয় | ১৯৭০ |
ফরিয়াদ | ১৯৭১ |
ছিন্নপত্র | ১৯৭১ |
ধন্যি মেয়ে | ১৯৭১ |
নতুন দিনের আলো | ১৯৭২ |
স্ত্রী | ১৯৭২ |
অগ্নিভ্রমর | ১৯৭৩ |
শাবারি | ১৯৭৩ |
বন পলাশির পদাবলি | ১৯৭৩ |
ননীগোপালের বিয়ে | ১৯৭৩ |
নকল সোনা | ১৯৭৩ |
শ্রাবন সন্ধ্যা | ১৯৭৩ |
মৌচাক | ১৯৭৪ |
অসতি | ১৯৭৪ |
সুজাতা | ১৯৭৪ |
আলোর ঠিকানা | ১৯৭৪ |
ছুটির ফান্দে | ১৯৭৪ |
প্রিয় বান্ধবী | ১৯৭৫ |
কাজললতা | ১৯৭৫ |
স্বয়ংসিদ্ধা | ১৯৭৫ |
নগর দর্পণ | ১৯৭৫ |
সন্যাসী রাজা | ১৯৭৫ |
হোটেল স্নো ফক্স | ১৯৭৬ |
অসাধারন | ১৯৭৬ |
মোমবাতি | ১৯৭৬ |
আনন্দ মেলা | ১৯৭৬ |
সেই চোখ | ১৯৭৬ |
ব্রজবুলি | ১৯৭৯ |
অভিষেক | ১৯৮৪ |