ধলভূমগড় বিমানবন্দর

ধলভূমগড় বিমানবন্দর জামশেদপুরের গ্রীনফিল্ড বিমানবন্দর হিসাবে ঝাড়খন্ড রাজ্যের ধলভূমগড়ের একটি প্রস্তাবিত সরকারি বিমানবন্দর। ঝাড়খণ্ড সরকার এবং ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (এএআই) ২৪ জানুয়ারী ২০১৯ সালে বিমানবন্দরের নির্মাণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।[1] সমঝোতা স্মারকের অধীনে এটিআর-৭২ বিমানের চালানোর জন্য উপযুক্ত বিমানবন্দর স্থাপনের জন্য একটি যৌথ উদ্যোগ সংস্থা স্থাপন করা হবে।[2]

ধলভূমগড় বিমানবন্দর
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বিমানবন্দরের ধরনসরকারি
সেবা দেয়জামশেদপুর
অবস্থানধলভূমগড়, ঝাড়খণ্ড
এএমএসএল উচ্চতা৪১৩ ফুট / ১২৬ মিটার
স্থানাঙ্ক২২°৩১′২৫″ উত্তর ০৮৬°৩৩′৪৪″ পূর্ব

এটি জামশেদপুর থেকে ৬০ কিলোমিটার এবং বহড়াগোড়া থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত একটি পরিত্যক্ত বিমানবন্দরে নির্মিত হবে।[3] প্রকল্পটি ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।[4]

ইতিহাস

পুরানো বিমানবন্দরটি ১৯৪২ সালের কাছাকাছি সময়ে নির্মিত হয়েছিল, এটি চারপাশের অন্যান্য বিমানবন্দরগুলির জন্য একটি আনুষঙ্গিক রানওয়ে হিসাবে নির্মিত হয়েছিল। এটি জাপানী সেনাদের অগ্রগতির জন্য এবং চীনের সাথে পরিবহন সংযোগগুলি জন্য সহযোগী বাহিনী দ্বারা ব্যবহৃত বিমানবন্দরগুলির মধ্যে একটি ছিল। জাপানী বাহিনী চীন সাগরে জাহাজ চলাচলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল যুদ্ধের সময়ে, তাই চীনে প্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহের পথগুলি বন্ধ হয়েছিল এবং দুর্গম হিমালয়ের উপর দিয়ে ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ আকাশ পথটি ব্যবহার করা হয়েছিল চিনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে।[5] যুদ্ধের পর বিমানবন্দরটি পরিত্যক্ত হয়।

২০১৭ সালের জুন মাসে এএআই'য়ের প্রযুক্তিগত দলটি জামশেদপুরের জন্য একটি বিমানবন্দরের নির্মাণের উপযুক্ত স্থানের খোঁজ করেন এবং চাকুলিয়া ও ধলভূমগড়ে তারা পরিদর্শনে যান। সমস্ত কারণ বিবেচনা করার পর, দলটি বিমানবন্দরের জন্য ধলভূমগড় স্থানটি বেছে নেয়।[6] বিমানবন্দরে ৩ কিলোমিটার রানওয়ে ছিল। এএআই নতুন বিমানবন্দরের জন্য ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে এবং প্রকল্পের জন্য ৩০০ একর জমি রাজ্য সরকারের থেকে প্রদান করা হয়েছে।[3]

২০১৭ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে যে বিমানবন্দর প্রকল্পের অন্তর্গত অর্ধেকেরও বেশি জমির দাবিদার তারা। তবে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়কে অনুমোদন দিয়েছে।[7]

ঝাড়খন্ডের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস ২৪ জানুয়ারী ২০১৯ সালে বিমানবন্দর প্রকল্পের ভূমি পূজা অনুষ্ঠানটি সম্পাদন করেন এবং একই দিনে এআইআই'য়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।[1] স্মারক স্বাক্ষরের অধীনে একটি যৌথ উদ্যোগ সংস্থা বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য স্থাপন করা হবে, যার মধ্যে এএআইয়ের ৫১ শতাংশ শেয়ার থাকবে এবং বাকি শেয়ার থাকবে রাজ্য সরকারের।[8] স্মারকলিপি অনুযায়ী, এআইআই ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বিমানবন্দরটি নির্মাণের জন্য এবং রাজ্য সরকার প্রকল্পে ২৪০ একর জমি সরবরাহ করবে। বিমানবন্দরটি প্রথম পর্যায়ে এটিআর ৭২ বিমান চালানোর জন্য ডিজাইন করা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে বড় বিমানের চালানোর জন্য রানওয়ে দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করার জন্য অতিরিক্ত ৩০০ একর অধিগ্রহণ করা হবে।[2]

তথ্যসূত্র

  1. "Govt inks MoU for Dhalbhumgarh Airport"The Pioneer। ২৪ জানুয়ারি ২০১৯। ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৯
  2. "Cabinet clears Jharkhand's first ST commission"The Hindustan Times। ১৮ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৯
  3. "GOVT ZEROED IN ON DHALBHUMGARH FOR NEW JAMSHEDPUR AIRPORT"The Pioneer। ৪ জুন ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৮
  4. "Ground breaking ceremony of Dhalbhumgarh airport by the end of January"Business Standard। ১০ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৯
  5. "Real steel: Jamshedpur's little-known war history"Condé Nast Traveller। ২৮ মে ২০১৫। ১২ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৮
  6. "Jamshedpur to Get Its Domestic Airport Soon at Dhalbhumgarh"Infrabuddy.com। ৫ জুন ২০১৭। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৯
  7. "Domestic airport at Dhalbhumgarh receives a shot in the arm"The Pioneer। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮। ২২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৯
  8. "State to form JV with AAI for Dhalbhumgarh airport"The Times of India। ১৮ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৯

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.