ধলঘাটা ইউনিয়ন

আজ থেকে প্রায় ৩৫৪ বছর পূর্বে ১৬৫৯ সালে পর্যটন নগরীর কক্সবাজারের অত্যন্ত সস্ভাবনাময় নান্দনিক ইউনিয়ন ধলঘাটার দ্বীপটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বঙ্গোপসাগরের উত্তাল মোহনা ও খরস্রোতা দক্ষিণ বঙ্গোপ সাগরের কুলে গড়ে ওঠা, কূহেলীর তীরে অবস্থিত এই উপকুল একটি প্রাচীন জনপদ। সমুদ্র-নদীর অপরূপ মিলন মেলায় মহাসৌন্দর্যে গড়া উঠা এই কূহেলীয়া নদী আর সেই কূহেলীয়া নদীর সাপমারার ডেইল ঘাটে একটি নৌকা নদীর বেলাভূমিতে আটকে গেলে তখনকার নাম করা বলী স্থানীয় ধলাবলী নিজে একা নৌকাটি বেলাভূমি থেকে নদীতে নামিয়ে ভাসিয়ে দেয় আর তখন থেকে এই ধলাবলীর নামানুরারে এই ইউনিয়নের নাম করণ করা হয় ধলঘাটা ইউনিয়ন। এ যেন এক উপত্যাক। কালের আবর্তে প্রকৃতির পরির্বতনের ফলে ধীরে ধীরে ভূখন্ডের আয়াতন বাড়তে থাকে,গডে উঠে বিরাট উপকুল। এখানকার নাম করা রমনী কূহেলীর নামের সাথে মহান আল্লাহর গড়া রূপালী নদীর নাম হচ্ছে কূহেলীয়া নদী। মানব সভ্যতার ক্রমো বিকাশের সাথে স্থানীয় ধলাবলীর নামানুসারে নামটি পরির্বতন জনপদের মানব মনে আসন করে নেয়। দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপ সাগরের কূল ঘেসে গড়ে উঠা এ ইউনিয়ন এ কাল চক্রের আর্বতে নামের অপভ্রংশ ধলঘাটা। [1]

ধলঘাটা ইউনিয়নের আয়তন ৫৫১১ একর (২২.৩০ বর্গ কিলোমিটার)।[2] এটি আয়তনের দিক থেকে কক্সবাজার জেলার সবচেয়ে ছোট ইউনিয়ন।[3]

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ধলঘাটা ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ২০,০০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১১,৫৬৪ জন এবং মহিলা ৯,৪৩৬ জন।[1]

মহেশখালী উপজেলার উত্তর-পশ্চিমাংশে ধলঘাটা ইউনিয়নের অবস্থান। এটি উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা। উপজেলা সদর থেকে এ ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় ২৩ কিলোমিটার। এ ইউনিয়নের উত্তরে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন; পূর্বে কোহেলিয়া নদী ও কালারমারছড়া ইউনিয়ন এবং দক্ষিণে ও পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।

ধলঘাটা ইউনিয়ন মহেশখালী উপজেলার আওতাধীন ২নং ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম মহেশখালী থানার আওতাধীন। এ ইউনিয়ন জাতীয় সংসদের ২৯৫নং নির্বাচনী এলাকা কক্সবাজার-২ এর অংশ। এটি ২টি মৌজায় বিভক্ত।[1]

ওয়ার্ডভিত্তিক এ ইউনিয়নের গ্রামগুলো হল:

[4]

ধলঘাটা ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৩৫.৪০%।[2] এ ইউনিয়নে ১টি আলিম মাদ্রাসা, ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি দাখিল মাদ্রাসা, ১টি কওমি মাদ্রাসা ও ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।[1]

মাদ্রাসা

• মুহুরীঘোনা মোহাম্মদিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা
• ধলঘাটা হুসাইনিয়া বদরুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা
• এমদাদিয়া আনোয়ারুল উলুম মাদ্রাসা হেফজখানা ও এতিমখানা

[5]

মাধ্যমিক বিদ্যালয়

• ধলঘাটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়

[6]

প্রাথমিক বিদ্যালয়

• মুহুরীঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
• শরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
• সাপমারার ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
• সুতরিয়ার ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

[7]

ধলঘাটা ইউনিয়নে যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল মহেশখালী-বদরখালী-ধলঘাটা সড়ক। প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম ট্যাক্সি বা রিক্সা। এছাড়া নৌপথেও এ ইউনিয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।

অর্থনৈতিক ভাবে ধলঘাটা ততটা সমৃদ্ধ না হলেও এখানকার ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে এ অঞ্চল অতি সম্ভাবনাপূর্ণ। বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত ধলঘাটার সমুদ্রে ১২ প্রকার চিংড়ি পাওয়া যায়। তাছাড়া, এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে লবণ উৎপাদিত হয়, যা দেশে লবণের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে ও রপ্তানি করতে সহায়তা করে।

ধলঘাটা ইউনিয়নে ৪৬টি মসজিদ ও ১টি মন্দির রয়েছে।[1]

ধলঘাটা ইউনিয়নের পূর্ব দিকে কোহেলিয়া নদী এবং দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। এছাড়াও দক্ষিণের ভারতঘোনায় বাটামনি খাল, সাপমারার ডেইল গ্রামের উত্তরে উলাখালী ঘোনায় উলাখালী খাল এবং পশ্চিমে শরইতলা ঘোনায় নয়াখাল রয়েছে।[8]

ধলঘাটা ইউনিয়নের প্রধান প্রধান হাট/বাজারগুলো হল সুতরিয়া বাজার, সাপমারার ডেইল বাজার এবং মুহুরীঘোনা বাজার।[9]

• শরইতলা সমুদ্র সৈকত
• শরইতলা বেড়িবাঁধ
• হাঁসের চর
• ঝাউ বাগান
• লবনের চাষ

[10]

• বর্তমান চেয়ারম্যান: কামরুল হাসান[11]

• জনাব আবদুর রহিম চৌধুরী ১৯৫৯-১৯৬৪ইং[12]
• জনাব মোক্তার আহমদ চৌধুরী (প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান) ১৯৭৩-১৯৭৭ইং
• জনাব মোক্তার আহমদ চৌধুরী ১৯৭৭-১৯৮৩ইং
• জনাব মৌলভী মকবুল আহমদ ১৯৮৩-১৯৮৮ইং
• জনাব মৌলভী মকবুল আহমদ ১৯৮৮-১৯৯২
• জনাব মোক্তার আহমদ চৌধুরী ১৯৯২-১৯৯৭ইং
• জনাব জহিরুল ইসলাম ১৯৯৭-২০০২ইং
• জনাব মৌ: মকবুল আহমদ ২০০২-২০১১ইং
• জনাব আহছান উল্লাহ বাচ্চু ২০১১-২০১৬ ইং

• মহেশখালী উপজেলা
• মহেশখালী থানা
• কক্সবাজার জেলা