দ্য লাঞ্চবক্স
দ্য লাঞ্চবক্স ২০১৩ সালের একটি ভারতীয় রোমান্টিক চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেছেন রিতেশ বাটরা এবং প্রযোজনায় গুণীত মোঙ্গা, অনুরাগ কাশ্যপ ও অরুণ রঙ্গচারী। ডার, ইউটিভি, ধর্ম প্রোডাকশনস, শিক্ষা এন্টারটেইনমেন্ট, এনএফডিসি সহ আরো কয়েকটি স্টুডিও যৌথভাবে চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করে।[4] এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান খান, নিমরাত কাউর এবং নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। চলচ্চিত্রটি কান চলচ্চিত্র উৎসবের আন্তর্জাতিক সমালোচকদের সপ্তাহে প্রদর্শিত হয় এবং পরবর্তীতে তা ক্রিটিকস উইক ভিউয়ারস চয়েস পুরস্কার তথা গ্র্যান্ড রেল ডি'অর জিতে নেয়।[5] এটি ২০১৩ সালের টরোন্টো চলচ্চিত্র উৎসবেও দেখানো হয়।[6] ভারতে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেয়া হয় সেবছর ২০ সেপ্টেম্বরে।[7] বক্স অফিসে এটি সাফল্য লাভ করে।[8]
দ্য লাঞ্চবক্স | |
---|---|
পরিচালক | রিতেশ বাটরা |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা | রিতেশ বাটরা |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | ম্যাক্স রিখটার |
চিত্রগ্রাহক | মাইকেল সাইমন্ডস |
সম্পাদক | জন এফ. সলিয়নস |
প্রযোজনা কোম্পানি |
|
পরিবেশক |
|
মুক্তি |
|
দৈর্ঘ্য | ১০৫ মিনিট[2] |
দেশ | ভারত |
ভাষা |
|
নির্মাণব্যয় | ₹ ২২ কোটি (US$ ২.৬৯ মিলিয়ন)[3] |
আয় | ₹ ১০০.৮৫ কোটি (US$ ১২.৩৩ মিলিয়ন)[3] |
দ্য লাঞ্চবক্স ২০১৫ সালে ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে মনোনীত হয়।[9]
কাহিনীসংক্ষেপ
সজন ফার্নান্দেস (ইরফান খান) একজন বিপত্নীক যে একাউন্টেন্ট হিসেবে কিছুদিনের মধ্যে অবসর নেবে। ইলা (নিমরাত কাউর) এক তরুণী স্ত্রী যে তার স্বামীর (নকুল ভাইদ) মনোযোগ পেতে চায় এবং বিভিন্নভাবে তাদের দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করে; যেমন তার জন্য সুস্বাদু খাবার রান্না করে। কিন্তু তার স্বামীর জন্য পাঠানো লাঞ্চবক্স (ডাব্বা) মুম্বাইয়ের "ডাব্বাওয়ালাদের" ভুলে চলে যায় সজনের কাছে। ইলা পরে ভুল বুঝতে পেরে ওপরতলার আন্টির (ভারতী আচরেকার - শুধু কন্ঠ) বুদ্ধিমতো সজনকে একটি চিঠি লেখে এবং পরদিন স্বামীর প্রিয় খাবার রেঁধে লাঞ্চবক্সে চিঠিসহ পাঠিয়ে দেয়।
তাদের মধ্যে চিঠি বিনিময় হয়, তারা চিঠিতে তাদের পুরনো দিনের কথা শেয়ার করে, নিজেদের জীবনের ঘটনাগুলো নিয়ে আলাপ করে, এবং লাঞ্চের সাথে সাথে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এরমধ্যে অফিসে সজন তার পদের বদলি লোক শাইখকে (নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী) কাজ শেখানোর দায়িত্ব পায়। শাইখের ভুলেভরা অপটু কাজে সজন প্রথমে বেশ বিরক্ত হয়, স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই সে সামাজিকভাবে সবার সাথে দূরত্ব রাখতো। একবার সে বেতন অর্ডারে শাইখের বড় বড় কয়েকটা ভুলের জন্য নিজে দায় নিয়ে তার চাকরি বাঁচিয়ে দেয়। শাইখের সাথে মেহেরুন্নিসার (শ্রুতি বপ্না) বিয়েতেও তিনি বরপক্ষে অংশ নেন।
এদিকে বাসায় ইলা আবিষ্কার করে যে তার স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে, সে তার বিয়ে নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। লাঞ্চবক্সে পাঠানো একটি চিঠিতে সে ভুটানে চলে যাবার কথা বলে যেখানে জীবনযাত্রার খরচ ভারতের চেয়ে অনেক কম। সজন জবাবে লেখে যে সেও তার সাথে যেতে পারে। ইলা তখন এক রেস্তোরাঁয় তাদের প্রথমবারের মতো দেখা করার প্রস্তাব দেয়, কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে সজন হাজির হয়নি। পরদিন খালি লাঞ্চবক্স পেয়ে অভিমানী ইলাকে সে লেখে যে, সে আসলে গিয়েছিল, দূরে বসে তাকে দেখেছে কিন্তু আর এগোয়নি। কারণ ইলাকে তার এতো তরুণ ও সুন্দর লাগছিলো যে নিজেকে অনেক বয়স্ক মনে হচ্ছিলো; তাই সে মনে করেছে সম্পর্ক না হলেই ভালো।
কিছুদিন পরে ইলার বাবা ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যান। তার অসুস্থাবস্থায় ইলার মা (লিলেত্তে দুবে) নিবেদিতভাবে সেবা করেছেন। কিন্তু পরে তিনি স্বীকার করেন যে বিবাহিত জীবনে কতো অসুখী ছিলেন। এরপর ইলা সজনের খোঁজে বের হয়, কিন্তু শাইখের কাছে জানতে পারে যে সে ইতোমধ্যে অবসর নিয়েছে এবং নাশিকের পথে রওনা হয়েছে। সজনের জন্য সে তার শেষ চিঠিতে লেখে যে সে স্বামীকে ত্যাগ করে তার ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে ভুটানে চলে যাবে।
ইত্যবসরে নাশিকের পথে যেতে যেতে সজনের মন বদলায়, আবার মুম্বাইয়ে ফিরে আসে ইলার খোঁজে - শেষবার যাকে দেখা গেছে মেয়ের স্কুল থেকে ফেরার অপেক্ষায় - সজন ডাব্বাওয়ালার সাহায্য নেয় যে প্রতিদিন পৌঁছে দিত সেই লাঞ্চবক্সটি।
শ্রেষ্টাংশে
- ইরফান খান - সজন ফার্নান্দেস
- নিমরাত কাউর - ইলা
- নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী - শাইখ
- ডেনজিল স্মিথ - মি. শ্রফ, সজনের অফিসের বড়কর্তা
- ভারতী আচরেকার (শুধু কণ্ঠ) - মিসেস. দেশপাণ্ডে, ইলার প্রতিবেশী
- নকুল ভাইদ - রাজিব, ইলার স্বামী
- যশভী পুনীত নগর - যশভী
- লিলেতে দুবে - ইলার মা
- শ্রুতি বাপনা - মেহরুন্নিসা, শাইখের স্ত্রী
- নাসির খান - ইলার বাবা
- লোকেশ রাই - ডিউকের মালিক
- সদাশিব কোন্দাজী পোকারকার - ইলার বাড়ির ডাব্বাওয়ালা
- আরতি রাথোড় - সজনের প্রতিবেশী
- ঋষি রাজ মোরে - ইলার ভাই
- কৃষ্ণা বাই - লোকাল ট্রেনের দাঁতপড়া বুড়ি
- সন্তোষ কুমার চৌরাশিয়া - অটোরিকশাচালক
- স্বপ্নীল শ্রীরাও - ডিউকের ওয়েটার
- বাবুরাও শঙ্কপাল - সজনের অফিসের ডাব্বাওয়ালা
- মহেশ মহাদেব সালাভকার - অফিসের পিয়ন
- অভিজিৎ খানভিলকর - লোকাল ট্রেনের তরুণ
নির্মাণ
বিকাশ
রিতেশ বাটরা এর আগে নির্মাণ করেছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দ্য মর্নিং রিচুয়াল, গরীব নওয়াজ কি ট্রাক্সি, ক্যাফে রেগুলার ও কায়রো। এবার তিনি মুম্বাইয়ের বিখ্যাত লাঞ্চবক্স ডেলিভারি ব্যবস্থার দক্ষ ডাব্বাওয়ালাদের নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র তৈরির জন্য গবেষণা শুরু করেন। তবে ২০০৭ সালে তাদের সাথে এক সপ্তাহ কাটানোর পর তিনি অনেক ইন্টারেস্টিং ব্যক্তিগত গল্প জানতে পারেন যেগুলো তারা বাসার বাইরে দাঁড়ানোর সময় শুনে ফেলে। এই আইডিয়া থেকে তার চলচ্চিত্র তৈরির কথা মাথায় আসে এবং প্রামাণ্যচিত্র বানাবার বদলে তিনি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করেন।[7][10] যথাসময়ে চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে প্রযোজনা করে শিখ্যা এন্টারটেইনমেন্ট, ডার মোশন পিকচাল্স, ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কল্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এনএফডিসি, ভারত), আরওএইচ ফিল্মস (জার্মানি), এএসএপি ফিল্মস (ফ্রান্স) এবং যুক্তরাষ্ট্রে লিডিয়া ডীন পিলচারের সাইন মোজাইক, যিনি এর আগে প্রযোজনা করেছেন দ্য ট্যালেন্টেড মি. রিপলি (১৯৯৯) এবং দ্য নেমসেক (২০০৭); আর জার্মানির ম্যাচ ফ্যাক্টরি চলচ্চিত্রটির আন্তর্জাতিক সেলস এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।[4][11]
লেখা
বাটরা চিত্রনাট্যের প্রথম খসড়া প্রস্তুত করেছিলেন ২০১১ সালে।[10] তাকে সাহায্য করেন রাটভিক ওঝা।[12] খসড়াটি ২০১২ সালের রোটারড্যাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সিনেমার্টে একটি অনারেবল জুরি মেনশন পুরস্কার অর্জন করে। তারপর প্রকল্পটি বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উসবের ট্যালেন্ট প্রজেক্ট মার্কেটের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং টোরিনো ফিল্ম ফেস্টিভালের স্ক্রিনরাইটার্স ল্যাব (টোরিনো ফিল্ম ল্যাব) কিছু পরামর্শ দেয়।[11] নিমরাত কাউর অভিনীত ইলা চরিত্রটি শুটিংয়ের ছয় মাস আগে এবং নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর চরিত্রটি শুটিয়ের সময় উন্নয়ন করা হয়।[10]
অভিনয়
ইরফান খান চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য এবং তার চরিত্রটির ধারণাটি পছন্দ করেন, যে কিনা কথা বলে কম কিন্তু বলে চিঠিতে। বাটরার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো দেখে এবং কয়েকবার মিটিংয়ের পর তিনি কাজ করতে রাজি হন। বাটরা অনেকদিন থেকেই নওয়াজউদ্দিনের সাথে কাজ করতে চাচ্ছিলেন চলচ্চিত্রের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের জন্য। প্রধান নারী চরিত্রটির জন্য বেশ কয়েকটি অডিশন হয় এবং শেষমেশ নিমরাত কাউর নির্বাচিত হন। মুম্বাই থিয়েটারে কাউরের ব্যাপক অভিজ্ঞতা ছিল এবং পেডলার্স-এর মতো চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন।[10][11] এছাড়া চলচ্চিত্রটির জন্য গবেষণা করতে গিয়ে যে ডাব্বাওয়ালাদের সাথে পরিচালকের বন্ধুত্ব হয়েছিলো তারাও কয়েকটি গৌণ চরিত্রে অভিনয় করেন।[7]
ফিল্মিং
চলচ্চিত্রটির শুটিং করা হয় ২০১২ সালে মুম্বাইয়ে[10] ₹২২০ মিলিয়ন রুপির বাজেটে। ফিল্মিংয়ের পূর্বে অভিনেতারা ছয় মাস রিহার্সাল করেছেন। আরি অ্যালেক্সা ফিল্ম ক্যামেরা ব্যবহার করে ছবিটি শুট করা হয়।[11] অনেক দৃশ্যই টুকরো টুকরো করে করা হয় যেন শেষ মুহূর্তে লোকেশন বদলালেও অসুবিধা না হয়। রিতেশ বাটরার জানান যে, ট্রেনের দৃশ্যগুলো ধারণ করা হয়েছে কেবল একটিমাত্র কম্পার্টমেন্টে এবং প্রয়োজনে স্থানীয় প্রকৃত যাত্রীদেরও ছবিতে রাখা হয়েছে।[13]
মূল ফটোগ্রাফি শেষ হয় ২৯ দিনে, তবে চলচ্চিত্রের অধিকাংশ দৃশ্যই তিন সপ্তাহের মধ্যে শুট করা হয়ে যায়। এরপর প্রামাণ্যচিত্রের মতো করে ফুটেজ ধারণ করা হয়। মুম্বাইয়ের নামকরা ডাব্বাওয়ালাদেরকে আসল খাবারভরা লাঞ্চবক্স দেওয়া হয় ডেলিভারি করার জন্য এবং ছবির চারজন কলাকুশলী তাদের অনুসরণ করে প্রামাণ্যচিত্রের স্টাইলে দৃশ্যধারণ করেন।[11][14]
মুক্তি এবং প্রতিক্রিয়া
প্রদর্শনী ও চলচ্চিত্র উৎসবে
২০১৩-র ১৯ মে কান চলচ্চিত্র উৎসবের আন্তর্জাতিক সমালোচক সপ্তাহে চলচ্চিত্রটির প্রথম প্রদর্শনী হয় যেখানে এটি ইতিবাচক রিভিউ পায় এবং দর্শকরা উঠে দাঁড়িয়ে একে অভ্যর্থনা জানান।[15][16][17] পাশাপাশি এটি গ্র্যান্ড রেল ডি'অর নামে পরিচিত ক্রিটিকস উইক ভিউর য়ার্স চয়েস পুরস্কার জিতে নেয়।[18] ভ্যারাইটি ম্যাগাজিনে এটিকে বলা হয় "শিক্ষানবিশ পরিচালক-চিত্রনাট্যকার রিতেশ বাটরার উল্লেখযোগ্য অভিষেক", "মনসুন ওয়েডিং ছবির সমন্বিত আবেদনময়তা" সৃষ্টির জন্য, আর তাতে ইরফান খান এবং নিমরাত কাউরের অভিনয়েরও প্রশংসা করা হয়।[19]
পরবর্তীতে উত্তর আমেরিকায় চলচ্চিত্রটি পরিবেশনের সব স্বত্ব নিয়ে নেয় সনি পিকচার্স ক্লাসিকস।[4]
ভারতে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩-তে ৪০০-র বেশি প্রেক্ষাগৃহে।[20][21]
বক্স অফিস
দ্য লাঞ্চবক্স ভারতে মুক্তির পর প্রথম সাপ্তহিক ছুটির দিনে আয় করে ₹৭১ মিলিয়ন,[20][22] এবং প্রথম সপ্তাহে করে ₹১১০ মিলিয়ন রুপি।[23] পরের কয়েক সপ্তাহে এটি লক্ষণীয় পরিমাণে আয় করতে থাকে, প্রথম তিন সপ্তাহে ₹২০০ মিলিয়ন এবং আরেক হিসাবমতে চতুর্থ সপ্তাহান্তে ₹৪০–৫০ লাখ।[24]
যুক্তরাষ্ট্রে দ্য লাঞ্চবক্স উপার্জন করে $৪.২৩ মিলিয়ন, এবং ক্যান্টিনফ্লাস ও পিকের পর এটি ছিল ২০১৪ সালের সর্বোচ্চ আয় করা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র।[25][26] ২০১৪ সালের ২৮ মে পর্যন্ত চলচ্চিত্রটির বৈশ্বিক আয় ছিল ₹ ৮৪.৯২ কোটি (US$ ১০.৩৮ মিলিয়ন)।[27] আর মুক্তির পর পুরোটা সময়ে সারাবিশ্বে এটি উপার্জন করে ₹ ১০০.৮৫ কোটি (US$ ১২.৩৩ মিলিয়ন)।[3]
সমালোচকদের সমাদর
সমালোচক-রিভিউয়ের সংকলক রটেন টোমাটোস ৯৪ জন সমালোচকের রিভিউয়ের ভিত্তিতে চলচ্চিত্রটিকে ৯৬% স্কোর দেয় এবং গড় রেটিং দেয়া হয় ৭.৭/১০। সাইটটির সংখ্যাগরিষ্ঠ মত ছিল: "উষ্ণ, স্নেহময় এবং মিষ্টি তবে রুচিকে ক্লান্ত না করে, প্রথমবারের পরিচালক রিতেশ বাটরার দ্য লাঞ্চবক্স এক কৌশলী মনোরঞ্জক।"[28]
সিএনএন-আইবিএনের সমালোচক রাজীব মাসান্দ ছবিটিকে ৫/৫ রেটিং দিয়ে বলেনষযে, "মহত্তম ভালোবাসার গল্প সেগুলোই যেগুলোতে তুমি চাও যে তারা পরস্পরের কাছে আসুক, তাদের ভাগ্য যদিও অনযরকম। ভালোবাসা কীভাবে অসম্ভবকে বদলে দেয় তা এই ছবিতে চিত্রিত হয়েছে।"[29] কলকাতার দ্য টেলিগ্রাফের প্রীতম ডি. গুপ্ত দ্য লাঞ্চবক্সকে অভিনন্দিত করেছেন এবং বলেছেন, এতৌ গতিশীল এবং নির্বাক একটি ভালোবাসার গল্প যে এটি যেন একাকীত্বের এক প্রলুব্ধকর চিত্রায়ণ।[30] বলিউড হাঙ্গামার তরণ আদর্শ চলচ্চিত্রটিকে ৪/৫ রেটিং দিয়েছেন, বলেছেন, "পুরনো দিনের একটি সুকথিত রোমান্স, দ্য লাঞ্চবক্স গ্রন্থিমোচন করেছে লোকজনের প্রতিদিনকার কষ্ট, যাতনা, ভয় এবং আশার কথা, সেই চাকচিক্য এড়িয়ে যেটা আজ মুম্বাই শহরের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে।[31] মুম্বাই মিররের করণ অংশুমান একদম ৫/৫ স্কোর দিয়ে জানিয়েছেন, চলচ্চিত্রটি ছিল "ভারতে বহু বছরের মধ্যে নির্মিত শ্রেষ্ঠতম ছবিগুলোর অন্যতম।"[32]
রেডিফ ডটকমের রাজা সেন ছবিটির আরো প্রশংসা করেন, আরেকটি নিটোল ৫/৫ স্কোর দিয়ে এবং বলেছেন, "বাটরা, দ্য লাঞ্চবক্স-এর গব্পটিও যার লেখা, তার চমৎকার অভিনেতাদেরকে উপস্থিত কাজ করার বিস্ময়কর সুযোগ দিয়েছেন, নিজে পুরোটা সময় ছিলেন শহরের খুঁটিনাটি চিত্রায়ণে, খাবার-বহনকারীরা এবং সমাজের নানা বৈষম্য যেগুলোতে মুম্বাই ঠাসা।"[33] ইয়ুথ টাইমসের আদিত্য গ্রোভার একে ৪/৫ তারকা দেন এবং বলেন যে, "আপনে যদি সত্যিকার চলমান সিনেমা দখার মুডে থাকেন, তবে দ্য লাঞ্চবক্স উপাদেয় এবং তৃপ্তিকর। থিয়েটার থেকে বেরুনোর পরেও বহুকাল এই লাঞ্চবক্সের স্বাদ আপনার মুখে লেখে থাকবে। চলুন দেখতে![34] দি এশিয়ান এজের সুপর্ণা শর্মা এটিকে ৫ এর মধ্যে ৪ রেটিং দিয়েছেন এবং বলেছেন: "দ্য লাঞ্চবক্স একটি মৃদুমন্দ স্পন্দিত এক মধুর-করুণ গল্প, একাকীত্বের ও ভালোবাসার। ছবিটিতে তিনজন নারী আছে তিনটি বিয়েতে, যার মধ্যে দুজন অসুস্থ। তৃতীয়জন প্রায় শেষ বয়সে, কেবল শেষকৃত্যটুকুই যেন বাকি। দদুজন পুরুষ আছে ছবিটিতে — একজন যে পুরো জীবন পার করেছে, এখন নীরবে পৃথিবীর বুক থেকে বিদায় নেবার প্রস্তুতি নিচ্ছে; অন্যজন জীবন শুরু করতে উৎসাহী। যে বিষয়টি একইসাথে মর্মান্তিক ও স্বস্তিদায়ক, তা হলো যা ছবিটি আমাদের দেখায় — জীবনে ফিরে আসার জন্য আত্মার বেশি কিছু লাগে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, একটু আশাই যথেষ্ট।"[35]
সানডে গার্জিয়ান-এর তৃষা গুপ্ত লিখেছেন "দ্য লাঞ্চবক্স একটি ছোট্ট মনোরম চলচ্চিত্র। তবে এটা কেবল বক্সটি নিয়েই এগিয়ে চলে যা হয়তো উৎসবের দর্শকদের কাছে আবেদন পৌঁছাতে পারবে: উদ্ভট এশীয় শহুরেজীবন (মুম্বাই ট্রেন, ডাব্বা সরবরাহ), ভারতীয় ঘরে রান্না, রোমান্স। যথেষ্ট পরিমাণ স্বতন্ত্র হবার পরিবর্তে এটা স্থানীয় রঙ মেখে নিয়েছে।"[36] শিকাগো রিডারের জন্যে একটু কম ইতিবাচক রিভিউতে জে আর জোনস নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী ও ভারতী আচরেকারের চরিত্রদ্বয় শাইখ এবং মিসেস দেশপান্ডের দিকে ইঙ্গিত করে চলচ্চিত্রটিকে একটি গিমিক বলেছেন এবং এতে "গা-জ্বালানো হাস্যরসের" অতিরঞ্জনের সমালোচনা করেছেন।[37]
সম্মাননা
পুরস্কার / চলচ্চিত্র উৎসব | শ্রেণী | প্রাপক(গণ) | ফলাফল |
---|---|---|---|
স্টার গিল্ড পুরস্কার[38][39] | সেরা চলচ্চিত্র | অনুরাগ কাশ্যপ, অরুণ রঙ্গচারী এবং গুণীত মোঙ্গা | মনোনীত |
সেরা পরিচালক | রিতেশ বাটরা | মনোনীত | |
সেরা অভিনেতা | ইরফান খান | মনোনীত | |
সেরা অভিনেত্রী | নিমরাত কাউর | মনোনীত | |
সহায়ক চরিত্রে সেরা অভিনয় | নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী | বিজয়ী | |
সেরা চিত্রনাট্য | রিতেশ বাটরা | মনোনীত | |
সেরা কাহিনী | রিতেশ বাটরা | মনোনীত | |
সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল অভিষেকের জন্য যশ চোপড়া পুরস্কার – পরিচালক | রিতেশ বাটরা | বিজয়ী | |
সেরা নারী অভিষেক | নিমরাত কাউর | মনোনীত | |
স্টার ভার্ডিক্ট পারফর্মার অফ দ্য ইয়ার | ইরফান খান | বিজয়ী | |
এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন পুরস্কার[40] | সেরা চিত্রনাট্য | রিতেশ বাটরা | বিজয়ী |
জুরি গ্র্যান্ড প্রাইজ | রিতেশ বাটরা | বিজয়ী | |
এশিয়া-প্যাসিফিক চলচ্চিত্র উৎসব[41][42] | সেরা চলচ্চিত্র | রিতেশ বাটরা | মনোনীত |
সেরা পরিচালক | রিতেশ বাটরা | মনোনীত | |
সেরা অভিনেতা | ইরফান খান | মনোনীত | |
সেরা অভিনেত্রী | নিমরাত কাউর | মনোনীত | |
সেরা সহায়ক অভিনেতা | নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী | বিজয়ী | |
সেরা চিত্রনাট্য | রিতেশ বাটরা | বিজয়ী | |
বিশিষ্ট অর্জন পুরস্কার | ইরফান খান | বিজয়ী | |
৮ম এশীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার[43] | সেরা চলচ্চিত্র | দ্য লাঞ্চবক্স | মনোনীত |
সেরা অভিনেতা | ইরফান খান | বিজয়ী | |
সেরা চিত্রনাট্যকার | রিতেশ বাটরা | বিজয়ী | |
দুবাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব[44] | সেরা চলচ্চিত্র – ফিচার | অনুরাগ কাশ্যপ, অরুণ রঙ্গচারী এবং গুণীত মোঙ্গা | মনোনীত |
স্পেশাল মেনশন – ফিচার | রিতেশ বাটরা | বিজয়ী | |
সেরা অভিনেতা – ফিচার | ইরফান খান | বিজয়ী | |
ফিল্মফেয়ার পুরস্কার[45][46] | সেরা চলচ্চিত্র (সমালোচক) | রিতেশ বাটরা | বিজয়ী |
সেরা নতুন পরিচালক | রিতেশ বাটরা | বিজয়ী | |
সেরা সহকারী চরিত্র | নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী | বিজয়ী | |
সেরা কাহিনী | রিতেশ বাটরা | মনোনীত | |
সেরা সম্পাদনা | জন এফ. লিয়নস | মনোনীত | |
সেরা সাউন্ড ডিজাইন | মাইকেল কাজমারেক | মনোনীত | |
ঘেন্ট আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব[47] | ক্যানভাস অডিয়েন্স পুরস্কার | রিতেশ বাটরা | মনোনীত |
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস উইক[1] | গ্র্যান্ড রেল ডি'অর (ভিউয়ার্স চয়েস পুরস্কার) | দ্য লাঞ্চবক্স | বিজয়ী |
আন্থর্জাতিক ভারতীয় ফিল্ম অ্যাকাডেমি পুরস্কার[48] | মুখ্য টরিত্রে সেরা অভিনেত্রী | নিমরাত কাউর | মনোনীত |
সহকারী চরিত্রে সেরা অভিনেতা | নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী | মনোনীত | |
সেরা কাহিনী | রিতেশ বাটরা | মনোনীত | |
লন্ডন চলচ্চিত্র উৎসব[49] | সেরা চলচ্চিত্র | রিতেশ বাটরা | মনোনীত |
অসলো ফিল্মস ফ্রম দ্য সাউথ ফেস্টিভাল[50] | সেরা ফিচার | রিতেশ বাটরা | মনোনীত |
রেকজাভিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব[51] | চার্চ অফ আইসল্যান্ড পুরস্কার | রিতেশ বাটরা | বিজয়ী |
স্ক্রিন উইকলি পুরস্কার[52][53] | সেরা চলচ্চিত্র | অনুরাগ কাশ্যপ]], অরুণ রঙ্গচারী এবং গুণীত মোঙ্গা | মনোনীত |
সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল নতুন পরিচালক | রিতেশ বাটরা | বিজয়ী | |
সেরা অভিনেতা | ইরফান খান | মনোনীত | |
সেরা অভিনেত্রী | নিমরাত কাউর | মনোনীত | |
সেরা সহকারী অভিনেতা | নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী | মনোনীত | |
সেরা চিত্রনাট্য | রিতেশ বাটরা | মনোনীত | |
সেরা কাহিনী | রিতেশ বাটরা | মনোনীত | |
জি সাইন অ্যাওয়ার্ডস[54][55] | সেরা নতুন পরিচালক | রিতেশ বাটরা | বিজয়ী |
সহকারী চরিত্রে সেরা অভিনেতা | নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী | মনোনীত | |
সেরা কাহিনী | রিতেশ বাটরা | মনোনীত | |
ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি চলচ্চিত্র পুরস্কার | সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র | রিতেশ বাটরা | মনোনীত[56] |
আরো দেখুন
- ২০১৩ সালের ভারতীয় চলচ্চিত্র
তথ্যসূত্র
- "Sony Pictures Classics Acquires Cannes Critics' Week Winner 'The Lunchbox'"। Indiewire। ২৪ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪।
- "The Lunchbox (PG)"। British Board of Film Classification। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৪।
- "The Lunchbox"। Box Office India। ২ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৫।
- "Ritesh Batra's feature debut appeared in Cannes Critics' Week"। Variety। ২৪ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৩।
- "Ritesh Batra's Lunchbox wins Critics Week Viewers Choice Award at Cannes Film Festival 2013"। India Today। ২৪ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৩।
- "Toronto film festival 2013: the full line-up"। The Guardian। London। ২৩ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৩।
- "Indian audience to get a taste of Batra's Lunchbox"। The Times of India। ১৪ আগস্ট ২০১৩। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- "The Lunchbox (2014)"। Box Office Mojo। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- "Film In 2015"। BAFTA। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৫।
- "'Lunchbox' is a very personal film: Ritesh Batra"। Zee News। ৫ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৩।
- Bhushan, Nyay (২৩ মে ২০১৩)। "Cannes: 'The Lunchbox' Director Ritesh Batra"। Hollywood Reporter। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৩।
- "ZEE Cine Awards nominations"। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৫।
- Aarti Virani। "Q&A With Ritesh Batra: Director of the Film 'The Lunchbox'"। Travel + Leisure। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৬, ২০১৫।
- Helen Hu (জানুয়ারি ২৭, ২০১৪)। "Q&A: Ritesh Batra, director of "The Lunchbox""। The Eagle। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৬, ২০১৫।
- "The Lunchbox gets standing ovation at Cannes TNN"। The Times of India। ২২ মে ২০১৩। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৩।
- Saibal Chatterjee (২১ মে ২০১৩)। "Cannes 2013: A delicious Lunchbox and a Shootout gone awry"। NDTV Movies। ৮ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৩।
- "Ritesh Batra's Lunchbox wins critics week viewers choice award at Cannes"। DNA India। ২৩ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৩।
- "'Lunchbox' wins critics week viewers choice award at Cannes"। The Economic Times। ২৩ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৩।
- "Cannes Film Review: 'The Lunchbox'"। Variety। ১৯ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৩।
- "Low budget Lunchbox fares well at box office"। Hindustan Times। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৪।
- "Eating Oscar for Lunch?"। Tehelka। 10 (38)। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- "Midweek: 'Phata Poster Nikola Hero' has ordinary weekend!"। Bollywood Hungama। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৪।
- "Warning Dull Phat Poster Nikhla Hero Low First Week"। Box Office India। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩। ৬ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "The Lunchbox Does Well At The Box Office"। Box Office India। ১৫ অক্টোবর ২০১৩। ১৮ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "The Lunchbox (2014)"। Box Office Mojo। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১৪।
- "Foreign Language Movies at the Box Office - Box Office Mojo"। Box Office Mojo। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৭, ২০১৫।
- "The Lunchbox rakes in big moolah overseas"। India Today।
- "The Lunchbox"। Rotten Tomatoes। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৪।
- Masand, Rajeev (২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "'The Lunchbox' review: It'll leave you with a craving to seek your own little happiness"। CNN-IBN। ১২ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- Gupta, Pratim D. (২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "The Lunchbox"। The Telegraph। Calcutta, India। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- Adarsh, Taran (২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "The Lunchbox"। BollyHungama।
- Anshuman, Karan (২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "Film Review: The Lunchbox"। Mumbai Mirror।
- Sen, Raja (২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "Review: The Lunchbox is the best Indian film in years"। rediff movies।
- Grover, Aditya। "Movie Review: 'The Lunchbox' is delicious and delightful!"। Youth Times। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- Sharma, Suparna। "Cooked to perfection"। The Asian Age।
- Gupta, Trisha। "Unpacking The Lunchbox: Layers of language and time"। Sunday-guardian.com। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৪।
- Jones, J.R.। "The Lunchbox"। Chicago Reader। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৫।
- Smitha (১৬ জানুয়ারি ২০১৪)। "Nominations for Renault Star Guild Awards 2014"। Oneindia.in। ১৯ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪। অজানা প্যারামিটার
|4=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - "Winners of 9th Renault Star Guild Awards"। Bollywood Hungama। ১৭ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪।
- "Winners announced at the 7th Annual Asia Pacific Screen Awards"। Asia Pacific Screen Awards। ১২ ডিসেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪।
- "Nominated FIlm"। The 56th Asia-Pacific FIlm Festival। ১০ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪।
- Brzeski, Patrick (১৬ ডিসেম্বর ২০১৩)। "Japan's 'Like Father Like Son' Wins Big at Asia-Pacific Film Festival Awards"। The Hollywood Reporter। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪।
- "8th AFA Nominees and Winners"। Asian Film Awards। ২৪ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪।
- Crane, Kelly Ann (১৩ ডিসেম্বর ২০১৩)। "Muhr Award winners celebrate as Dubai film festival nears its conclusion"। The National (Abu Dhabi)। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪।
- "59th Idea Filmfare Awards Nominations"। Filmfare। ১৩ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪।
- "Winners of 59th Idea Filmfare Awards"। Filmfare। ২৫ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪।
- "The Lunchbox"। Flanders International Film Festival Ghent। ৭ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪।
- Mehta, Ankita (২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "IIFA Awards 2014 Nominations: Deepika Padukone and 'Bhaag Milkha Bhaag' Lead; Complete List of Nominees"। International Business Times। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪।
- Sawhney, Cary Rajinder। "The Lunchbox"। London Film Festival। ৩০ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪।
- "The Lunchbox"। Films from the South (Norwegian ভাষায়)। ৭ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪।
- "RIFF 2013 Awards: Still Life wins Golden Puffin"। Reykjavík International Film Festival। ৫ অক্টোবর ২০১৩। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪।
- Mehta, Ankita (৮ জানুয়ারি ২০১৪)। "Annual Screen Awards 2014: The Complete List of Nominees"। International Business Times। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪।
- "Screen Awards 2014: The complete list of winners"। CNN-IBN। ১৪ জানুয়ারি ২০১৪। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪।
- Mudi, Aparna (৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "Zee Cine Awards 2014: Complete list of nominations"। Zee News। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪।
- "Zee Cine Awards 2014"। Zee Cine Awards। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪।
- "Awards - Film | Film Not in the English Language in 2015"। BAFTA 2015।
বহিঃসংযোগ
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে দ্য লাঞ্চবক্স (ইংরেজি)
- বলিউড হাঙ্গামায় দ্য লাঞ্চবক্স (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে The Lunchbox (ইংরেজি)