দৌলতখান উপজেলা

দৌলতখান উপজেলা বাংলাদেশের ভোলা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

দৌলতখান
উপজেলা
দৌলতখান বরিশাল বিভাগ-এ অবস্থিত
দৌলতখান
দৌলতখান
দৌলতখান বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
দৌলতখান
দৌলতখান
বাংলাদেশে দৌলতখান উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৩৬′১৭″ উত্তর ৯০°৪৪′২৪″ পূর্ব
দেশবাংলাদেশ
বিভাগবরিশাল বিভাগ
জেলাভোলা জেলা
আয়তন
  মোট৩১৬.৯৯ বর্গকিমি (১২২.৩৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1]
  মোট১,৭২,৮০০
  জনঘনত্ব৫৫০/বর্গকিমি (১,৪০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৩৭.৫০%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
১০ ০৯ ২৯
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

ইতিহাস

নামকরণ এর ইতিহাস নিয়ে উল্লেখ্য যোগ্য একাধিক মতবাদ পাওয়া যায়। মোগল শাসন আমলে সম্রাট শাহজাহানের সেনাপতি শাহবাজ খান তার সামন্তসেনা দৌলতখানের সহায়তায় মগ ও পর্তুগীজ দস্যুদের কঠোর হস্তে দমন করে এ এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনেন। ফলে তার পরিচিতি ছিল অনেক। দৌলতখান পরিবার অতি সমৃদ্ধ ও সম্ভ্রান্ত ছিল।সেই অনুযায়ী নামকরণ করা হয় বলে ধারণা পাওয়া যায়।

১৬৮৬ সালের ঘুর্ণিঝড়ে শাহাবাজপুর, হাতিয়া, সন্দীপ সহ আরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপ এলাকা ও সমুদ্রউপকূল ভাগের শত শত লোক এবং গৃহপালিত পশু ঐ জলোচ্ছ্বাসে অকালে সলিল সমাধি হয় । ১৬৮৬ সালের ঘুর্ণিঝড়ে দৌলতখান পুত্র শাহ্ মুহাম্মদ ও আমির মুহাম্মদ স্বীয় পরিবারের লোকজন সহ বৃহৎ পানশি /গদু নৌকায় আরোহণ পূর্বক চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী নদীর তীরে শিকলবাহ গ্রামে নৌকা নোঙ্গর করেন এবং পরবর্তীতে পুত্র শাহ্ মুহাম্মদ চট্টগ্রামে তৎকালীন মোগল আমলে চট্টগ্রামের ফৌজদারদের সহায়তা করার জন্য শাসন কাজে একজন বকশি এবং রাজস্ব কাজে একজন দেওয়ান নিয়োগ করা হত। বকশি মোহাম্মদ নইম (১৬৮৯-১৬৯৯) এবং দেওয়ান মোহাম্মদ খানের (১৬৮৮-১৬৯৯) অধীন রাজস্ব সংগ্রাহক কর্মচারী পদে নিযুক্ত হন। আবার অনেকে বলে এক সাধকের নামে এই উপজেলার নামকরণ করা হয়। স্থানীয় অধিবাসীরা প্রথমটাই গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন।[2]

অবস্থান

এই উপজেলার উত্তরে ভোলা সদর উপজেলালক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে বোরহানউদ্দিন উপজেলাতজুমদ্দিন উপজেলা, পূর্বে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলা, পশ্চিমে ভোলা সদর উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

দৌলতখান উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম দৌলতখান থানার আওতাধীন।

পৌরসভা:
ইউনিয়নসমূহ:

এখানে ৪৭ টি মৌজা এবং ২৭ টি গ্রাম রয়েছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এর অধীনে ১৯৯৮ সালে ‘‘গ’’ শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে দৌলতখান পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এটি “খ” শ্রেণীতে উন্নীত হয়। [3] মেয়র হলেন আলী আজম মুকুল, মেয়র [4] মোঃ জাকির হোসেন তালুকদার মেয়র (কার্যকাল ২০১৪ - বর্তমান)

ভোলা-২ আসনটি ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলা ও বোরহানউদ্দিন উপজেলা নিয়ে গঠিত।[5]

তৃতীয় জাতীয় সংসদ পঞ্চম জাতীয় সংসদতোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হতে নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে উপ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হতে মোশারেফ হোসেন শাহজাহান নির্বাচিত হন। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হতে নির্বাচিত হন। অষ্টম জাতীয় সংসদবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর হাফিজ ইব্রাহিম নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদ তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হতে নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদ,একাদশ জাতীয় সংসদবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হতে আলী আজম নির্বাচিত হন।

জনসংখ্যার উপাত্ত

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী দৌলতখান উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,৬৮,৫৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮৩,৩৬৯ জন এবং মহিলা ৮৫,১৯৮ জন। মোট পরিবার ৩৪,৬৭০টি।[6]

শিক্ষা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী দৌলতখান উপজেলার সাক্ষরতার হার ৪১.৬%।[6]

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:

  • দৌলতখান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
  • দৌলতখান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
  • জয়নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
  • সাকিনা আদর্শ একাডেমী
  • শুকদেব এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়
  • দৌলতখান মহিলা কলেজ
  • দৌলতখান সরকারি আবু আব্দুল্লাহ কলেজ

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে দৌলতখান উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৩১ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৫
  2. বাংলাদেশের লোকজ সাংস্কৃতিক গ্রন্থমালা ভোলা জেলার ইতিহাস, পৃষ্টা নং ২৫-২৬
  3. "দৌলতখান পৌরসভা সম্পর্কে তথ্য"। www.paurainfo.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৫
  4. "রাজশাহী, রংপুর, খুলনা,ও বরিশাল বিভাগের বিজয়ী মেয়র প্রার্থীদের তালিকা"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৫
  5. "জাতীয় সংসদীয় আসনবিন্যাস (২০১৩) গেজেট" (পিডিএফ)বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১৬ জুন ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৫
  6. "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৯

বহিঃসংযোগ


This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.