দেউলিয়া
কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা দেশ যখন পাওনাদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে অক্ষম হয় তখন উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেউলিয়া হিসেবে গণ্য করা হয়। সাধারণত: আইনসঙ্গতভাবে আদালত একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেউলিয়া বলে ঘোষণা করতে পারে।
সাধারণত: ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই দুই ধরনের সত্ত্বাকে আইনগতভাবে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়ে থাকে। এই দুই ধরনের সত্ত্বার দেউলিয়ত্বের জন্য বিভিন্ন দেশে আলাদা আলাদা আইনের ব্যবস্থা রয়েছে। যুক্তরাজ্য সহ বেশ কিছু দেশে ব্যক্তি পর্যায়ের দেউলিয়ত্ত্বের জন্য রয়েছে ইনসল্ভেন্সি অ্যাক্ট (Insolvency Act) Insolvency Act 1986, অপরদিকে প্রাতিষ্ঠানিক দেউলিয়ত্বের জন্য রয়েছে কোম্পানি লিকুইডেশন অ্যাক্ট (Company Liquidation Act) Liquidation।
শব্দের উত্পত্তি
দেউলিয়া শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ Bankruptcy Bankruptcy, যা ইতালীয় শব্দ-যুগল Banca rotta থেকে এসেছে; এর অর্থ "Broken bench"[1] বা ভাঙ্গা বেঞ্চ। প্রাচীনকালে বিনিয়োগকারী, অর্থলগ্নিকারী ও অর্থ বিনিময়কারীরা ভেনিসের শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে বেঞ্চ পেতে বসতেন এবং মানুষকে সুদে টাকা ধার দিতেন অথবা তাদের বৈদেশিক মুদ্রা পরিবর্তন করে দিতেন। আধুনিক কালের শব্দ ব্যাংক এর উৎপত্তিও হয়েছে ইতালীয় বেঞ্চ থেকে।[2] ধারণা করা হয় কোন অর্থ বিনিময়কারী যদি তার দেনা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হত তবে তার বেঞ্চটি ভেঙ্গে ফেলা হত। তাই দেউলিয়া বা Bankrupt বোঝাতে Banca rotta শব্দটি ব্যবহৃত হত। এমনও হতে পারে যে কোন বিশেষ অর্থ ছাড়াই শব্দটি শুধুমাত্র লোকমুখেই প্রচলিত হয়েছিল।[1]
বাংলাদেশে দেউলিয়া
দেউলিয়ত্বের প্রভাব
তথ্যসূত্র
- Books.google.com। Books.google.com। ২০১০-১২-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-১৭।
- de Albuquerque, Martim (১৮৫৫)। Notes and Queries। London: George Bell। পৃষ্ঠা 431।