দুর্গা বাহিনী
দুর্গা বাহিনী (আইএসও: Durgā Vāhinī ) (Carrier of Durga) হল হিন্দুত্ববাদে বিশ্বাসী বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এর মহিলা দল। এটি ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন হলেন সাধ্বী ঋতম্ভরাজী। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে যে দুর্গা বাহিনীর উদ্দেশ্য আরও বেশি মহিলাকে প্রার্থনা সভা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে উৎসাহিত করা। সংগঠনের সিনিয়র নেতা কল্পনা বয়াশ বলেন যে দুর্গা বাহিনী সদস্যরা "শারীরিক, মানসিক এবং জ্ঞান বিকাশে" নিজেকে উৎসর্গ করেন। [1] সংস্থার লক্ষ্য হল কষ্টের সময় হিন্দু পরিবারগুলিকে সহায়তা করে এবং সামাজিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে হিন্দু সংহতি প্রতিষ্ঠা করা।[2] বৈষের মতে, ২০০২ সাল পর্যন্ত এই গ্রুপের মোট সদস্যপদ ৮,০০০ এবং আহমেদাবাদে এর এক হাজার সদস্য রয়েছেন।[1]
ক্রিয়াকলাপ এবং আদর্শ
দুর্গা বাহিনী প্রায়শই কট্টরপন্থী বজরং দলের মহিলা মুখ হিসাবে বিবেচিত হয়[1] এবং তাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্ররোচিত করতে সক্রিয়ভাবে অবদানের অভিযোগ রয়েছে।[3] সংগঠনটিকে জঙ্গি সংগঠন[4], ডানপন্থী ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।[5] দুর্গা বাহিনী আক্রমণাত্মকভাবে কম আয়ের উপার্জনকারী এবং নিম্ন বর্ণের পরিবার থেকে যুবতীদের নিয়োগ দেয়। সদস্যরা কারাতে এবং লাঠি শিখে এবং আদর্শিক শিক্ষা পায়।
তথ্যসূত্র
- "Women 'Ram Bhakt' hog limelight"। The Tribune। ২০০২-০৪-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৯।
- Patricia Jeffery, Amrita Basu (১৯৯৭)। Appropriating Gender: Women's Activism and Politicized Religion in South Asia। Routledge। পৃষ্ঠা 168। আইএসবিএন 0-415-91866-9।
- Bob Pease, Keith Pringle (২০০১)। A Man's World?: Changing Men's Practices in a Globalized World। Zed Books। পৃষ্ঠা 226। আইএসবিএন 1-85649-912-X।
- Fiona Wilson, Bodil Folke Frederiksen (১৯৯৫)। Ethnicity, Gender, and the Subversion of Nationalism। Routledge। পৃষ্ঠা 91। আইএসবিএন 0-7146-4155-3।
- Joanna Kerr, Alison Symington (২০০৫)। The Future of Women's Rights। Zed Books। পৃষ্ঠা 81। আইএসবিএন 1-84277-459-X।