দুই পয়সার আলতা
দুই পয়সার আলতা ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র। ছায়াছবিটি পরিচালনা করেছেন বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন।[1] এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেছেন শাবানা[2], রাজ্জাক, নূতন, আনোয়ারা, প্রবীর মিত্র প্রমুখ। ছায়াছবিটি ৪টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়। চলচ্চিত্রটির দুইটি কপি এখনো বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে জমা আছে।[3]
দুই পয়সার আলতা | |
---|---|
![]() | |
পরিচালক | আমজাদ হোসেন |
প্রযোজক | ইফতেখারুল আলম কিসলু |
চিত্রনাট্যকার | আমজাদ হোসেন |
কাহিনিকার | আমজাদ হোসেন |
শ্রেষ্ঠাংশে | শাবানা রাজ্জাক নূতন আনোয়ারা |
সুরকার | আলাউদ্দিন আলী |
চিত্রগ্রাহক | রফিকুল বারী চৌধুরী |
সম্পাদক | আওকাত হোসেন শরফুদ্দিন ভুঁইয়া |
পরিবেশক | স্টার কর্পোরেশন |
মুক্তি | ১৯৮২ |
দৈর্ঘ্য | ১২৮ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
কাহিনী সংক্ষেপ
কুসুমের মা তার বাল্যকালে মারা যায় এবং তার বাবাও তার জন্য কিছুই না রেখে মারা যায়। তার চাচার পরিবারে সে অনাকাঙ্ক্ষিত হয়ে পরে। গ্রামেরই এক যুবক কাজল তাকে পছন্দ করে। কুসুমও তাকে পছন্দ করে। কুসুমের চাচা তার বিয়ে ঠিক করলেও যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় বিয়ে ভেঙ্গে যায়। এতে কুসুম বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। অন্যদিকে, কাজলের বাবা চায় ঝর্ণার সাথে কাজলের বিয়ে দিতে। বাবার পীড়াপীড়িতে কাজল ঝর্ণাকে বিয়ে করতে রাজী হয়। বিয়ের দিন যৌতুকের টাকা না দিতে পারলে সে ঝর্ণাকে বিয়ে করবে না বলে জানালে লাল চাচী কিছু দিন পর বাকি টাকা দেওয়ার কথা বলে। কাজল তখন একই ব্যাপারে কুসুমের সময় তারা কেন চুপ ছিল জানতে চায়। এ সময় অসুস্থ কুসুমকে গুনাই খুঁজে নিয়ে আসলে তাকে বিনা যৌতুকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়।
শ্রেষ্ঠাংশে
- শাবানা - কুসুম
- রাজ্জাক - কাজল
- নূতন - ঝর্ণা
- আনোয়ারা - লাল চাচী
- প্রবীর মিত্র - গুনাই
- আশীষ কুমার লোহ - কুসুমের বাবা
- জালালউদ্দিন রুমি - ইখতিয়ার, কুসুমের চাচা
- সুমিতা দেবী - কুসুমের চাচী
- আয়েশা আখতার
সঙ্গীত
দুই পয়সার আলতা চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আলাউদ্দিন আলী। গানের কথা লিখেছেন আমজাদ হোসেন, নজরুল ইসলাম বাবু ও আলাউদ্দিন আলী। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সৈয়দ আব্দুল হাদী, সাবিনা ইয়াসমিন, মিতালী মুখার্জি, আলাউদ্দিন আলী, ও রুনা লায়লা। মিতালী মুখার্জির অনুরোধে আলাউদ্দিন আলী "এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই" গানটি লিখেন এবং রেকর্ড করেন। গানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারের পর জনপ্রিয় হয়। পরিচালক আমজাদ হোসেন এই ছায়াছবির একটা দৃশ্যের সাথে এই গানটি মিলে যাওয়ায় এই গানটি ব্যবহার করতে চান। আলাউদ্দিন আলী তাকে সম্মতি দেন। এছাড়াও সৈয়দ আব্দুল হাদীর কণ্ঠে "এমনতো প্রেম হয়" গানটি বেশ জনপ্রিয় হয়।[4] মিতালী মুখার্জি "এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই" গানটির জন্য ১৯৮২ সালে শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।[5]
গানের তালিকা
নং | গানের শিরোনাম | কণ্ঠশিল্পী | পর্দায় শিল্পী |
---|---|---|---|
১ | এই দুনিয়া এখন তো আর | মিতালী মুখার্জি | শাবানা |
২ | আমি হব পর | রুনা লায়লা | শাবানা ও নূতন |
৩ | এত বেশি বলিস না | রুনা লায়লা | শাবানা ও নূতন |
৪ | কি বা জাদু জানো | আলাউদ্দিন আলী | শাবানা |
৫ | এমনতো প্রেম হয় | সৈয়দ আব্দুল হাদী | রাজ্জাক |
পুরস্কার
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী - শাবানা
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী - মিতালী মুখার্জি
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক - রফিকুল বারী চৌধুরী
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ সম্পাদক - আওকাত হোসেন
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ফজলে এলাহী (২৭ মে ২০১৫)। "বাংলা চলচ্চিত্রের 'সিংহপুরুষ' একজন আমজাদ হোসেন"। কারু নিউজ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ২৫ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৬।
- "জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবানাকে আর দেখা যাবেনা টিভি পর্দায়ও"। নিউজ সময়। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৬।
- "সংরক্ষিত পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবির (প্রিন্ট) তালিকা"। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ। ২০ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৬।
- নিশীথ সূর্য (৮ জুন ২০১৫)। "আমার মতো ভাগ্যবান সুরকার কম : আলাউদ্দিন আলী"। এনটিভি অনলাইন। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৬।
- "আত্মার কাছাকাছি দুই দেশকেই অনেক ভালোবাসি :মিতালী মুখার্জী"। আনন্দ আলো। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৬।
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে দুই পয়সার আলতা (ইংরেজি)