দীপ্তি নাভাল

দীপ্তি নাভাল হিন্দি চলচ্চিত্রের সক্রিয় অভিনেত্রী, যিনি একজন পরিচালক, লেখক, চিত্রশিল্পী ও ফটোগ্রাফার হিসাবেও সুপরিচিত। দীপ্তি আমেরিকায় বড় হয়েছেন [1] তাঁঁর প্রধান অবদান রয়েছে, অবাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে। তাঁঁর সংবেদনশীল এবং 'জীবনের খুব কাছাকাছি' ভারতীয় নারীদের ভূমিকার পরিবর্তনের উপর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলি সমালোচকদের দ্বারা বহুল প্রশংসিত।

দীপ্তি নাভাল
দীপ্তি নাভাল
জন্ম (1951-02-03) ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫১
অমৃতসর, ভারত
মাতৃশিক্ষায়তনহানটার কলেজ, নিউ ইওর্ক সিটি
পেশাঅভিনেত্রী, নির্দেশক, লেখক
কর্মজীবন১৯৭৯–বর্তমান
সন্তানদিশা
ওয়েবসাইটhttp://www.deeptinaval.com/

প্রাথমিক জীবন

দীপ্তি জন্মগ্রহণ করেন, পাঞ্জাবের অমৃতসরে পরে তাঁঁর বাবা সিটি ইউনিভার্সিটিতে  একটি অধ্যাপনার কাজ পান তখন [2] নিউ ইয়র্ক শহরে চলে যান। তিনি  হান্টার কলেজে ললিতকলায় গবেষণা করেন।

অভিনয়

দীপ্তির আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৭৮ সালে, শ্যাম বেনেগালের জুনুন চলচ্চিত্রে। দুই বছর পরে, তিনি সমালোচকদের দ্বারা বহুল প্রশংসিত একবার ফিরে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন।  [2] তিনি স্মিতা পাতিল এবং শাবানা আজমির, সাথে সাথে, ১৯৮০ -এর দশকে সমান্তরাল সিনেমা মূল অভিনেত্রীর স্থান করে নেন এবং কমলা (১৯৮৪) বা আঁখে(১৯৮৫)র মত চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রশংসা লাভ করেন।[3]

১৯৮১ সালে চশমে বদ্দুর দিয়ে শুরুর পর তিনি বেশীরভাগ ফারুক শেখের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে কাজ করেন এবং তারা ১৯৮০ র ভারতের সবচেয়ে আদর্শ অন-স্ক্রিন জুটি হয়ে ওঠেন। ছবিগুলি হল,  সাথ সাথ,কিসি সে না কহেনা, কথা এবং রং বিরঙ্গী। তিন দশক পরে, তারা পুনরায় একত্রে টেল মি ও খুদা (২০১১)তে অভিনয় করেন। তাদের জুটির শেষ ফিল্ম  ছিল, লিস্টেন অমায়া, যেটি মুক্তি পায় ২০১৩ সালে। এই বছর  ফারুক শেখের মৃত্যু হয়।[4]

১৯৮০ সালের দিকে তার কর্মজীবন খুব ফলপ্রসূ ছিল কিন্তু ১৯৯০ সালে, কর্মজীবন থমকে দাঁড়ালে তিনি অন্যান্য শিল্পকলায় অবদানের সুযোগ খুঁজতে থাকেন। [3]  তিনি   ২০০০ সালে ভন্দর বা ফিরাকের মত সামাজিক ছবিতে ফিরে আসেন এবং লীলা (২০০২), মেমরিজ ইন মার্চ (২০১০) এবং লিস্টেন... অমায়া (২০১৩) তে  অভিনয়ের জন্য কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। [5][6][7] তিনি লস এঞ্জেলেসের ভারতীয় চলচিতে উতসবে বছর ২০০৭  সাম্মানিক   হিসাবে স্বীকৃত হন।[8]

বেশিরভাগ  হিন্দি সিনেমা করলেও, নাভাল অন্যান্য ভারতীয় ভাষায় অভিনয় করেন। সমালোচকদের দ্বারা বহুল প্রশংসিত মারহি দা দীভা এবং মানে, যা ১৯৯০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যথাক্রমে  পাঞ্জাবিকন্নড শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র  পুরস্কার  জিতেছে।[9]   সঞ্জয় নাগের পরিচালনায় একটি বাংলা সিনেমায় তার আত্মপ্রকাশকরার কথা ছিল কিন্তু মেমরিস ইন মার্চ  ছবিটি - অবশেষে ইংরাজীতে তৈরী হয়।[10]

দীপ্তি কয়েকটি টিভি ধারাবাহিক ও টেলি চিত্রে সক্রিয় ছিলেন যথা সওদা (১৯৯২), তানাও (১৯৯৪), বা মুক্কামল (২০০৩)। আবার ২০১১ সালে  কালারস চ্যানেলে মুক্তি বন্ধন নামক ডেইলি সোপ অপেরায় ফিরে আসেন। [11] থিয়েটারে তার আত্মপ্রকাশ ২০১৫ সালের কাব্যিক পর্যায় মঞ্চ প্রদর্শনী এক মুলাকাত যাতে তিনি সুপ্রসিদ্ধ পাঞ্জাবি লেখক অমৃতা প্রীতমের ভূমিকায় অভিনয় করেন।[12]

অন্যান্য কাজ

দো পয়সে কি ধুপ, চার আনে কি বারিসে দীপ্তির পরিচালনাসংক্রান্ত আত্মপ্রকাশ ঘটে,যাতে চরিত্রে মনীষা কৈরালা এবং রজিত কাপুর অভিনয় করেছেন। ছবিটি ২০০৯ সালে নিউ ইয়র্ক ভারতীয় চলচ্চিত্র উতসবে সেরা চিত্রনাট্য পুরস্কার পায়। [13] কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি[14] এছাড়াও তিনি নারী সম্পর্কিত থোডা সা আসমান নামক টেলিভিসান ধারাবাহিক লেখেন এবং নির্দেশনা দেন এবং দা পাথ লেস ট্রাভেলেড নামক একটি ট্রাভেল শো, প্রযোজনা করেন।[2]

তার হিন্দিতে প্রথম কবিতাসমূহ লমহা লমহা প্রকাশিত হয় ১৯৮৩ সালে. ২০০৪ সালে মাপিনলিট দ্বারা প্রকাশিত  ব্ল্যাক উইন্ড এবং অন্যান্য কবিতা নামক একটি নতুন সংগ্রহ।[2] ২০১১ সালে দীপ্তি নাভালের একটি  ছোট গল্পসংগ্রহ, ম্যাড তিব্বতি প্রকাশিত হয়।[15]

দীপ্তি নাভাল, একজন চিত্রশিল্পী ও ফটোগ্রাফার হিসাবে বেশ কিছু প্রদর্শনী করেন। তার চিত্রশিল্পী হিসাবে কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বিতর্কিত গর্ভবতী নুন।[16] এছাড়াও তিনি শিশু কন্যাদের জন্য  বিনোদ পণ্ডিত চ্যারিটেবল ট্রাস্ট তৈরী করেন এবং পরিচালনা করেন।[17]

ব্যক্তিগত জীবন

দীপ্তি নাভাল চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রকাশ ঝার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ,তাদের একটি দত্তক কন্যা দিশা[18] দীপ্তি পরে বিনোদ পণ্ডিত, পণ্ডিত যশরাজের ভাগ্নের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিলেন কিন্তু অসময়ে মৃত্যু তাকে নিয়ে যায়।[19]

পুরস্কার

  • ১৯৮৮ সালে বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস' অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী, মির্চ মসালা।
  • ২০০৩, করাচি ফিল্ম ফেস্টিভালেে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী পুরস্কার 
  • ২০১২ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার এ কল্পনা ভারত চলচ্চিত্র উৎসব (স্পেন)।
  • ২০১৩ সালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার এ নিউ ইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভাল।

চলচ্চিত্রের তালিকা

সাথসাথলিস্টেন অমিয়া

Year Title Role Notes
১৯৭৮ জুনুন রশিদের বৌ
১৯৭৯ জালিয়ানোয়ালা

বাগ

১৯৮০ হাম পাঁচ লজ্জা
১৯৮০ এক বার ফির কল্পনা কুমার
১৯৮১ চশমে বদ্দুর নেহা রাজন
১৯৮২ আঙ্গুর Tanu
১৯৮২ Geetanjali Gupta 'Geeta'
১৯৮২ শ্রীমান 

শ্রীমতী

বীনা
১৯৮৩ রঙ বিরঙ্গী Anita Sood
১৯৮৩ এক বার 

চলে আও

Gulab D. Dayal
১৯৮৩ কথা Sandhya Sabnis
১৯৮৩ কিসসি সে না 

কহনা

Dr. Ramola Sharma
১৯৮৪ মোহন যোশী 

হাজির হো!

১৯৮৪ কানুন 

কেয়া করেগা

Mrs. Anju Gautam Mehra
১৯৮৪ কমলা কমলা
১৯৮৪ হিপ হিপ হুররে!
১৯৮৪ য়হ ইস্‌ক নহি আসান Sahira H. Khan/Sahira S. Salim
১৯৮৪ ওয়ান্টেডঃ 

ডেড অর 
আলাইভ

Angela
১৯৮৪ আন্ধী গলি
১৯৮৫ দামূল
১৯৮৫ ফস্লে Sheetal
১৯৮৫ টেলিফোন
১৯৮৫ হোলি Professor Sehgal
১৯৮৫ আঁখে Indu Agnihotri
১৯৮৫ আপনা জাঁহা Shanti A. Sahani TV movie
১৯৮৫ অউরত

 পেয়ারকি জুতি নেহি হ্যাঁয় 

১৯৮৬ আশীয়ানা
১৯৮৬ বেগানা Asha Mathur/Asha V. Kumar
১৯৮৬ নাসিহত
১৯৮৭ মেরা সুহাগ Special appearance[20]
১৯৮৭ মির্চ মশালা Saraswati, Mukhiya's wife
১৯৮৮ অভিশপ্ত
১৯৮৮ সুরবীর Nanda (Shankar's Wife)
১৯৮৮ ম্যায় জিন্দা

 হুঁ

১৯৮৯ মারহি দা 

দিবা

Bhan Kaur/Bhani পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র
১৯৮৯ জিস্ম কা

 রিস্তা

১৯৯০ ঘর হো তো

 আয়সা

Sharda V. Kumar
১৯৯১১ মানে Geeta কন্নড় চলচ্চিত্র
১৯৯১ Ek Ghar
১৯৯১ Saudagar Aarti
১৯৯২ Current Sita
১৯৯২ Yalgaar Sunita (Deepak's wife)
১৯৯৪ Bollywood
১৯৯৪ Mr. Azaad Rajlaxmi
১৯৯৫ Dushmani: A Violent Love Story Rama Oberoi
১৯৯৫ Jai Vikraanta Harnam's Wife
১৯৯৫ Guddu Kavita Bahadur
১৯৯৬ Sautela Bhai Saraswati
১৯৯৮ Aie Sangharsha
১৯৯৯ Kabhi Pass Kabhi Fail
২০০০ Bawandar Shobha Devi
২০০২ Leela Chaitali Winner – Best Supporting Actress Award at the 2003 Karachi Film Festival[5]
২০০২ Shakti - The Power Shekhar's mother
২০০৩ Freaky Chakra Ms. Thomas
২০০৪ Anahat Mahattarika Marathi film
২০০৬
Yatra Smita D. Joglekar/Sharda
২০০৮ Firaaq Arati
২০১১ Tell Me O Kkhuda Mrs. R. Kapoor
২০১০ Memories in March Arati S. Mishra Winner – Best Actress Award at the 2012 ImagineIndia Film Festival (Spain)[6]
২০১১ Trapped in Tradition: Rivaaz Paro
২০১১ জিন্দেগী না 

মিলেগি দোবারা

Rahila Qureshi
২০১১ বিন্দি বাজার ইনক Bano
২০১৩ মহাভারত Kunti (voice-over)
২০১৩ বি  পাস Mrs. Suhasini Special appearance[21]
২০১৩ ঔরঙ্গজেব Mrs. Ravikant Phogat (Rishi Kapoor's screen wife)
২০১৩ ইনকার Mrs. Kamdhar Nominated – Apsara Award for Best Actress in a Supporting Role
২০১৩
Leela Winner – Best Actress Award at the 2013 New York Indian Film Festival[7]
২০১৪ ইয়ারিয়ান Girls hostel warden [22]
২০১৪ ব্যাংব্যাং! Jai and Viren's mother
২০১৫ এন এইচ ১০ Ammaji
২০১৫ হার্টলেস Mother of the protagonist
২০১৫ তেভর Pintoo's mother
২০১৬ লায়ন Post-production

তথ্যসূত্র

  1. "Not just a pretty face"। ১২ ডিসেম্বর ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৫
  2. "The art of being Deepti Naval"। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৫
  3. "Deepti Naval: Farooque Shaikh was not sick at all - Rediff.com Movies"। Rediff.com। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৫
  4. "Letter From Pakistan- December 2003 – January 2004"। জানুয়ারি ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৫
  5. "ImagineIndia 2012 Awards"। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৫
  6. "Winners"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৫
  7. "IFFLA Pays Tribute to Deepti Naval"। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৫
  8. "37th National Film Awards" (পিডিএফ)Directorate of Film Festivals। ২ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৫
  9. "A journey of discovery"। ৩ এপ্রিল ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৫
  10. "Deepti Naval back on TV"। ৬ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৫
  11. "When Sahir visited Amrita on a cold, winter night"। ১ অক্টোবর ২০১৫। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৫
  12. "Awards"। ১৭ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৫Two Paise for Sunshine, Four Annas for Rain by Deepti Naval
  13. "Words of Love"। ১৬ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৫
  14. "Amitabh Bachchan launches Deepti Naval's book 'The Mad Tibetan'"। ৩১ অক্টোবর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৫
  15. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৮ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬
  16. http://timesofindia.indiatimes.com/entertainment/hindi/bollywood/Lesser-known-facts-about-Deepti-Naval/photostory/40601201.cms
  17. "Movies: 'I was keen to come back'"। rediff.com। ২৪ আগস্ট ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৫
  18. According to the film's opening credits.
  19. "Deepti Naval makes friendly appearance in 'BA Pass'"। ১৮ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৫
  20. "Yaariyan movie review"। ১৭ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৪
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.