দীনানাথ মঙ্গেশকর
পণ্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকর (दीनानाथ मंगेशकर; ২৯ ডিসেম্বর ১৯০০ - ২৪ এপ্রিল ১৯৪২) একজন প্রসিদ্ধ মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটকগুলো হল রণদুন্দুভী, রাজসন্ন্যাস ও দেশকন্টক। তিনি প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোসলে, ঊষা মঙ্গেশকর, মীনা খড়িকর, এবং সুরকার হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের পিতা।
দীনানাথ মঙ্গেশকর মারাঠি: दीनानाथ मंगेशकर | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
আরও যে নামে পরিচিত |
|
জন্ম | মঙ্গেশি, গোয়া, পর্তুগিজ ভারত (পর্তুগাল রাজ্য) (বর্তমান গোয়া, ভারত) | ২৯ ডিসেম্বর ১৯০০
মৃত্যু | ২৪ এপ্রিল ১৯৪২ ৪১) পুনে, বোম্বে প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান মহারাষ্ট্র, ভারত) | (বয়স
ধরন | ভারতীয় শাস্ত্রীয়, ভারতীয় অর্ধ-শাস্ত্রীয়, নাট্য সংগীত |
পেশা | কণ্ঠশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, চলচ্চিত্র প্রযোজক |
বাদ্যযন্ত্র | কণ্ঠ |
জীবনী
পণ্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকর ১৯০০ সালের ২৯শে ডিসেম্বর মঙ্গেশি, পর্তুগিজ ভারত (বর্তমান গোয়া, ভারত) জন্মগ্রহণ করেন।[1] তার পিতা গণেশ ভট্ট নবাথে হার্ডিকর (অভিষেকি) একজন বিবাহিত কর্হাডে ব্রাহ্মণ ছিলেন।[2] তিনি গোয়ার বিখ্যাত মঙ্গেশি মন্দিরের পূজারি ছিলেন। তার মাতা যেসুবাঈ গোয়ার দেবদাসী সম্প্রদায়ের ছিলেন, যা বর্তমানে গোমন্তক মারাঠা সমাজ নামে পরিচিত। মঙ্গেশি গ্রামে জন্ম নেওয়ার কারণে তিনি কৈশোরে "মঙ্গেশকর" উপাধি ধারণ করেন, যার অর্থ "মঙ্গেশের"। মঙ্গেশি মন্দিরে পূজিত দেবতার নামও মঙ্গেশ।[3]
ব্যক্তিগত জীবন
প্রথম বিবাহ
দীনানাথ এর প্রথম স্ত্রী ছিলেন নরমদা। তিনি গুজরাটি শেঠ হরিদাস রামদাস লাডের বোন। দিনানাথ ও নরমদা ১৯২২ সালে বিয়ে করেন। বিবাহকালে দীনানাথের বয়স ছিল ২১ এবং নরমদার ১৯। তাদের এক কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে। তার নাম রাখা হয়েছিল লতিকা, সে শিশু অবস্থায় মারা যায়। কিছুদিন পর তার স্ত্রীও মারা যায়।
দ্বিতীয় বিবাহ
দীনানাথের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন তার প্রথম স্ত্রীর বোন। তার নাম সেবন্তী। ১৯২৭ সালে চুপিসারে তাদের বাড়িতে দীনানাথ ও সেবন্তীর বিয়ে হয়। সেবন্তীর মা এই বিয়েতে রাজি ছিলেন না।
দীনানাথ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর পাঁচ সন্তান হলেন সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোসলে, ঊষা মঙ্গেশকর, মীনা খড়িকর, এবং সুরকার হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর।[4]
তাদের প্রথম সন্তানের নামকরণ করা হয়েছিল হেমা। কিন্তু দীনানাথ তাকে তার অকালমৃত কন্যার নামানুসারে লতা ডাকতেন। এই নামটিই স্থায়ী হয়ে যায় এবং এই নামেই পরিচিত হন তার জ্যেষ্ঠ কন্যা কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর।
মৃত্যু
দীনানাথ ১৯৩০-এর দশকে আর্থিক সংকটকালে মদপান করতেন। কয়েক সপ্তাহ অসুস্থ থাকার পর তিনি ১৯৪২ সালের ২৪ এপ্রিল পুনেতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪১।
তার পরিবার তার নামানুসারে পুনেতে দীনানাথ মঙ্গেশকর হাসপাতাল ও একটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করে।[5]
মঞ্চ
তার গাওয়া ও অভিনীত কয়েকটি মঞ্চকর্ম হল
- মানাপমান (मानापमान) (রচনা কে.পি. খডিলকর)
- রণদুন্দুভী (रणदुंदुभी) (রচনা - বীর বমনরাও জোশি, সুরকার - বেজ বুওয়া)
- পূণ্যপ্রভাব (पुण्यप्रभाव)
- সন্যস্তখড়গ (संन्यस्तखड्ग) (রচনা - বীর সবরকর, সুরকার - বেজ বুওয়া)
- রাজসন্ন্যাস (राजसंन्यास) (রচনা - রাম গণেশ গদকারি)
- দেশকন্টক (देशकंटक)
- রামরাজ বিয়োগ (रामराज्य वियोग)
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- কাবরাল এ সা, মারিয়ো (১৯৯৭)। Wind of fire: the music and musicians of Goa। প্রমিলা অ্যান্ড কোং। পৃষ্ঠা 166। আইএসবিএন 978-81-85002-19-4।
- "A look at the glorious life of Lata Mangeshkar, the singing legend of India"। এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্ক প্রাইভেট লিমিটেড (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- "Lata Mangeshkar@90: Tracing the Mangeshkar lineage to the Western Ghats"। দ্য উইক (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- দামলে, মঞ্জিরী (৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। "Her Journey Of Highest Note Began From Pune | Pune News - Times of India"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ইসালকর, উমেশ (৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। "A Grand Hospital In Father's Memory A Long-held Dream"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
বহিঃসংযোগ
- Deenanath Mangeshkar Hospital, Pune ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ মার্চ ২০১৪ তারিখে
- দীনানাথ মঙ্গেশকর পুরস্কার