দি ইম্পসিবল (২০১২-এর চলচ্চিত্র)

দি ইম্পসিবল ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ইংরেজি ভাষার স্পেনীয় চলচ্চিত্র। জুয়ান অ্যান্টোনিও গার্সিয়া বেয়োনা কর্তৃক পরিচালিত এবং সের্গিও জি. সানচেজের চিত্রনাট্যের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয় এই ডিজাস্টার ড্রামা সিনেমাটি। চলচ্চিত্রটি ২০০৪ সালের ভারত মহাসাগরের সুনামির সময়  মারিয়া বেলন এবং তার পরিবারের বাস্তব অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে নির্মিত। এই সুনামিতে প্রায় ২,২৭,৮৮৯ জন প্রাণ মানুষ হারায়।

দি ইম্পসিবল
পরিচালকজুয়ান অ্যান্টোনিও গার্সিয়া বেয়োনা
প্রযোজক
  • এলভারো অগাস্টিন
  • বেলেন আটিয়েনজা
  • এনরিক ল্যাপেজ ল্যাভিগনে
চিত্রনাট্যকারসের্গিও জি. সানচেজ
কাহিনিকারমারিয়া বেলন
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারফার্নান্দো ভেলাস্কেজ
চিত্রগ্রাহকঅস্কার ফৌরা
সম্পাদক
  • এলেনা রুজ
  • বার্নাট ভিলাপ্লানা
প্রযোজনা
কোম্পানি
  • অ্যাপাচেস এন্টারটেইনমেন্ট
  • টেলিকিনকো সিনেমা
পরিবেশকওয়ার্নার ব্রাদার্স (স্পেন), সামিট এন্টারটেইনমেন্ট (ইউএসএ / আন্তর্জাতিক)
মুক্তি
  •  সেপ্টেম্বর ২০১২ (2012-09-09) (টরেন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব)
  • ১১ অক্টোবর ২০১২ (2012-10-11) (স্পেন)
  • ২১ ডিসেম্বর ২০১২ (2012-12-21) (যুক্তরাষ্ট্র)
দৈর্ঘ্য১১৩ মিনিট[1]
দেশ
  • স্পেন
ভাষাইংরেজি
নির্মাণব্যয়$৪৫ মিলিয়ন[2]
আয়$১৮০.৩মিলিয়ন[3]

সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন নাওমি ওয়াটস, ইওয়ান ম্যাকগ্রেগর, টম হল্যান্ড প্রমুখ।

কাহিনি

ডিসেম্বর,২০০৪। মারিয়া বেনেট (নাওমি ওয়াটস) এবং তার স্বামী হেনরি বেনেট (ইওয়ান ম্যাকগ্রেগর) সপরিবারে এসেছেন থাইল্যান্ডে তাদের বড়দিনের ছুটি কাটাতে। মারিয়াদের তিন সন্তান- লুকাস (টম হল্যান্ড),থমাস (সাইমন জসলিং) এবং সাইমন (ওওক্লি পেন্ডারগ্যাস্ট)।

থাইল্যান্ডের খাও লাকের সম্প্রতি উদ্বোধন করা অর্কিড বিচ রিসোর্টে অবকাশ যাপনে এসেছেন তারা। আর দশটা সাধারণ পরিবারের মতোই তাদের জীবন। থাইল্যান্ডের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়া,বড়দিনে একে অন্যকে উপহার দেয়ার পাশাপাশি ছুটিতেও নিজেদের চাকরি নিয়ে চিন্তা করা খুবই সাধারণ মানুষ তারা।

হেনরির চাকরির সুবাদে মারিয়ারা জাপানে থাকেন। চিকিৎসক মারিয়া তার ছেলেদের দেখাশোনা করার জন্য চাকরিতে বিরতি নিয়েছেন। কিন্তু খোদ হেনরির চাকরি যখন অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে,তখন মারিয়া পুনরায় চিকিৎসক হিসেবে ফিরে যাবার প্রস্তাব তোলেন।

ছুটির মাঝে জীবিকার চিন্তা শান্তিতে ব্যাঘাত আনলেও দুজনই চেষ্টা করেন তা ভুলতে,রিসোর্টের সুইমিং পুলে ছেলেদের সাথে সময় কাটাতে। বাবার সাথে খেলার ফাঁকে বল গড়িয়ে পুলের বাইরে চলে গেলে তা নিতে পা বাড়ায় দশ বছর বয়সী লুকাস। মারিয়া তখন বই পড়তে ব্যস্ত। এমন সময় দমকা হাওয়ায় মারিয়ার বইয়ের পৃষ্ঠা উড়ে যায়। কাচের দেয়ালে আটকে যাওয়া সেই পৃষ্ঠা তুলতে গিয়ে মারিয়া লক্ষ্য করেন,দেয়ালটা কাঁপছে। আকাশে পাখিরা উল্টোদিকে পালিয়ে যাচ্ছে।

বড় ছেলে লুকাস বল হাতে দাঁড়িয়ে দেখতে পায়,অদূর সমুদ্র থেকে বিশাল ঢেউ ধেয়ে আসছে তাদেরই দিকে। কেউ কিছু বোঝার আগেই সুনামির আঘাতে ধ্বংস হয়ে যায় বাড়ি-ঘর,ভেসে যায় মানুষজন। স্রোতের ধাক্কায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বেনেট পরিবার;একদিকে হেনরি আর তার ছোট দুই ছেলে,অন্যদিকে মারিয়া ও লুকাস।

গোটা চলচ্চিত্রটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বেনেট পরিবারের দুটো অংশের অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরেছে। একদিকে হেনরি,যে কি না ছোট দুই ছেলেকে নিরাপদ স্থানে পাঠাতে অপরের হাতে তুলে দিয়ে ধ্বংসস্তূপের মাঝে উদভ্রান্তের মতো খুঁজে যাচ্ছে তার স্ত্রী এবং বড় ছেলেকে। অন্যদিকে মারিয়া ও লুকাস,যারা এক অর্থে চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্র। সুনামির আঘাতে বিচ্ছিন্ন হবার পর এই মা-ছেলে একে অপরকে আঁকড়ে ধরে এক ভেঙে পড়া গাছের উপর। স্রোতে ভেসে আসা ডালে গেঁথে পা এবং বুকে আঘাত পায় মারিয়া। ক্লান্ত,আহত মাকে নিজের কাঁধে নিয়ে এবার মায়ের রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় দশ বছরের লুকাস। স্রোত থেকে বাঁচতে মা এবং ভেসে আসা আরেক শিশুকে নিয়ে গাছে ওঠে সে।

এমন সময় স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাদের। মানবতার টানে একটি ভাঙা দরজার উপর মারিয়াকে শুইয়ে হাসপাতাল অব্দি নিয়ে যায় তারা। সেখানে লুকাস দেখে তাদের মতো শত শত মানুষ এসেছে,সুনামির আঘাতে আহত। এ সময় মুমূর্ষু অবস্থায় মারিয়া লুকাসকে হাসপাতালের অন্যদের সাহায্য কর‍তে বলে।

মায়ের আদেশে লুকাস হাসপাতালের করিডোরে ঘুরতে থাকে,হাতে একটি কাগজ আর পেন্সিল। উদ্দেশ্য,মানুষকে তার স্বজনদের খুঁজে বের করতে সাহায্য করা। হাসপাতালের প্রতিটি রুমে,করিডোরে লুকাস যায় আর তার হাতের নামের লিস্ট আওরাতে থাকে। নানা ভাষার,নানা জাতির নাম।    

লুকাসের সহযোগিতায় একসময় এক বাবা খুঁজে পান তার ছেলেকে। মাকে এই খুশির সংবাদ জানাতে ছুটে যায় লুকাস। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম রসিকতার শিকার হয় সে আবারও...

তথ্যসূত্র

  1. "'THE IMPOSSIBLE' (12A)"British Board of Film Classification। ১৫ অক্টোবর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১২
  2. "The Impossible"DarkHorizons.com। Dark Futures Pty। ৬ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১২
  3. "The Impossible"Box Office Mojo। IMDb। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৩

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.