দি অ্যাভিয়েটর (২০০৪-এর চলচ্চিত্র)

মিরাম্যাক্স ফিল্মস যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইতালি, ফ্রান্স ও জার্মানিতে চলচ্চিত্রটি পরিবেশনা করে। পাশাপাশি মার্কিন টেলিভিশনের পরিবেশনার স্বত্ত্বও মিরাম্যাক্সের ছিল। তবে ওয়ার্নার ব্রস. পিকচারস যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও লাতিন আমেরিকায় ডিভিডি পরিবেশনা করে। ইনিশিয়াল এন্টারটেইনমেন্ট গ্রুপ অন্যান্য অঞ্চলে চলচ্চিত্রটি পরিবেশনা করে।

২০০৫ সালের ২৪ মে ওয়াইড স্ক্রিন ও ফুল স্ক্রিন ভার্সনে দুটি ডিস্কে দ্য অ্যাভিয়েটর ছবির ডিভিডি মুক্তি পায়। প্রথম ডিস্কে রয়েছে পরিচালক মার্টিন স্কোরসেজি, সম্পাদক থেলমা স্কুনমেকার, ও প্রযোজক মাইকেন মানের ভাষ্য এবং দ্বিতীয় ডিস্কে রয়েছে দ্য অ্যাভিয়েটরের নির্মাণ, কর্তনকৃত দৃশ্য, বিহাইন্ড দ্য সিনস, দ্য অ্যাভিয়েটরের সঙ্গীত, ভিজুয়াল এফেক্টস ও হাউয়ার্ড হিউজের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র। ডিভিডিটি ২০০৬ সালে ডিভিডি এক্সক্লুসিভ পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অডিও ভাষ্য বিভাগে মনোনীত হয়।[2]

ছবিটি পরে ২০০৭ সালের ৬ নভেম্বর ব্লু-রে ডিস্ক ও এইচডি ডিভিডিতে মুক্তি দেওয়া হয়।[2]

দ্য অ্যাভিয়েটর চলচ্চিত্রটি ২০০৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর ৪০টি প্রেক্ষাগৃহে সীমিতভাবে মুক্তি দেওয়া হয় এবং সেখান থেকে প্রথম সপ্তাহে $৮৫৮,০২১ আয় করে।[3] ২৫ ডিসেম্বর, ২০০৪ সালে সারা যুক্তরাষ্ট্রে ১,৭৯৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয় এবং প্রথম দিন $৪.২ মিলিয়ন ও প্রথম সপ্তাহে $৮.৬ মিলিয়ন আয় করে। প্রতি প্রেক্ষাগৃহে গড়ে $৪,৮০৫ আয় করে সাপ্তাহিক র‍্যাঙ্কিংয়ে ৪-এ অবস্থান করে।[4][5] দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রতি প্রেক্ষাগৃহে $৬,৩২৭ গড়ে $১১.৪ মিলিয়ন আয় করে র‍্যাঙ্কিংয়ে ৩-এ উঠে আসে।[6] ছবিটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় $১০২.৬ মিলিয়ন ও এর বাইরে $১১১.১ মিলিয়ন আয় করে, এবং বিশ্বব্যাপী মোট $২১৩.৭ মিলিয়ন আয় করে।[7]

দ্য অ্যাভিয়েটর ইতিবাচক সমালোচনা লাভ করেছে। সমালোচনাভিত্তিক ওয়েবসাইট রটেন টম্যাটোস-এ ২১৩টি সমালোচনার ভিত্তিতে ছবিটির স্কোর ৮৭% এবং গড় রেটিং ৭.৮/১০। এই ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে যে দ্য অ্যাভিয়েটর সে সময়ের পরিপূর্ণ বিবরণ তুলে ধরেছে এবং মার্টিন স্কোরসেজির পরিচালনা ও লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর অসাধারণ অভিনয়ের কারণে ছবিটি সফলতা লাভ করেছে।[8] মেটাক্রিটিক-এ ৪১টি সমালোচনার ভিত্তিতে ছবিটি ১০০-এ ৭৭ পেয়েছে, যা মূলত ইতিবাচক।[9]

শিকাগো সান-টাইমস-এর রজার ইবার্ট চলচ্চিত্রটিকে ৪-এ ৪ দিয়েছেন এবং এই ছবি ও ছবির প্রধান বিষয়বস্তু, হাওয়ার্ড হিউজে, মুগ্ধ হন। তিনি বলেন পরিচালক স্কোরসেজি ও হিউজের জীবনের মধ্যে একটি মিল রয়েছে। তিনি এই ছবিকে সেই বছরের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বলে উল্লেখ করেছেন।[10] দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ-এ এক চলচ্চিত্র সমালোচনায় সুখদেব সাধু স্কোরসেজির পরিচালনা, ডিক্যাপ্রিও ও অন্যান্যদের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন, তবে বেকিনসেলকে অভিনয়ে নেওয়াটা ভুল ছিল বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন এই ছবিটির মাধ্যমে হলিউডের সোনালি যুগকে জাঁকজমকপূর্ণ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।[11] দ্য জার্নাল অব আমেরিকান হিস্ট্রির ডেভিড টি. কোর্টরাইট দ্য অ্যাভিয়েটর চলচ্চিত্রকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে অসাধারণ কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে একটু বিরক্তিকর বলে উল্লেখ করেছেন। তার মতে স্কোরসেজির প্রধান সাফল্য হলে বৈমানিকদের পাইওনিয়ার হিসেবে হাউয়ার্ড হিউজের নামকে পুনরোজ্জীবিত করেছেন।[12]