দিবর দীঘি

দিবর দিঘী বা দিবরের দীঘি নওগাঁ জেলা পত্নীতলা উপজেলার দিবর ইউনিয়নের নওগাঁ-সাপাহার রাস্তার উত্তর পার্শ্বে ২কি:মি: দূরে অবস্থিত একটি প্রাচীন ঐতিহাসিক দীঘি।[2] দিঘীটির জলাশয়ের প্রায় ৬০ বিঘা বা ১৯ একর বা ০.০৮ বর্গকিমিঃ জমির উপরে অবস্থিত

দিবর দীঘি
দিবর দীঘি
দিবর দীঘি
অবস্থানপত্নীতলা উপজেলা, নওগাঁ জেলা
স্থানাঙ্ক২৫.১২২৫° উত্তর ৮৮.৬২০২° পূর্ব / 25.1225; 88.6202
অববাহিকার দেশসমূহবাংলাদেশ
সর্বাধিক দৈর্ঘ্য১২০০ ফুট[1]
সর্বাধিক প্রস্থ১২০০ ফুট[1]
পৃষ্ঠতল অঞ্চলপ্রায় ২০ একর[1]
গড় গভীরতা১২ ফুট[1]

ইতিহাস

এই দীঘিটি পাল সাম্রাজ্যের সময় খনন করা হয়। কৈবর্ত রাজা দিব্য বা দিব্যক পাল রাজা দ্বিতীয় মহীপালকে পরাজিত করে পাল সিংহাসনে আরোহন করেন। এই দীঘিটি তার স্মৃতি বহন করে।[3]

দীঘিটির মাঝে একটি স্তম্ভ আছে। তবে স্তম্ভ নির্মাণের সঠিক ইতিহাস জানা যায় না। তবে প্রত্নতত্ত্ববিদ স্যার আলেকজান্ডার কনিংহামের মতে, শৌর্যদের পতনের পরে এ ধরনের কোনো পাথরের তৈরি কোন কাজ বাংলার অঞ্চলে আর করা হয়নি। সেই ভিত্তিতে প্রত্নতত্ত্ববিদ আবুল কালাম জাকারিয়ার মতে, দিঘীর স্তম্ভটি খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে নির্মিত হতে পারে।[1]

কথিত আছে, দিবর দীঘি এক রাতের মধ্যেই খনন করা হয়।[1]

বর্ণনা

দিবর দীঘি পত্নীতলা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দীঘি। এ দিঘী স্থানীয় জনগনের কাছে কর্মকারের জলাশয়ের নামে পরিচিত। দিঘীটির জলাশয়ের আয়তন প্রায় ৬০ বিঘা জমির উপরে অবস্থিত। দিবর দিঘীর মধ্যে স্থানে অবস্থিত দিব্যক জয়স্থম্ভ। দিবর দিঘীর মধ্যে অবস্থিত আটকোণ বিশিষ্ট গ্রানাইট পাথরের এতবড় স্থম্ভ বাংলাদেশে বিরল। এই স্থম্ভের উচ্চতা ৩১ ফুট আট ইঞ্চি। পরিদর্শনের সময়ে মাপ অনুযায়ী পানি নিচের অংশ ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং পানির উপরের অংশ ২৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। এর ব্যাস ১০ ফুট ৪ ইঞ্চি ; প্রতিটি কোণের পরিধি ১ ফুট ৩.৫ ইঞ্চি। এই স্থম্ভের কোন লিপি নেই। স্থম্ভের উপরিভাগ খাঁজ কাটা অলঙ্করণ দ্বারা সুশোভিত।[1]

তফসিল: দিবর মৌজা, খতিয়ান নং-০১, দাগ নং-হাল ২৩১৪, জমির পরিমান: দিঘীর পাড় সহ ১৯.২৪ একর।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "নওগাঁয় এক রাতে তৈরি ঐতিহাসিক দিবর দীঘি"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২২ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২০
  2. "ঐতিহাসিক দিবর দিঘি"patnitala.naogaon.gov.bd। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০২০
  3. বিদ্যালঙ্কার, শশিভূষণ (১৯৩৯)। জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক। চতুর্থ খণ্ড। দেবব্রত চক্রবর্তী উইকিসংকলন-এর মাধ্যমে। [স্ক্যান ]
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.