দারুল উলুম

দারুল উলুম (আরবি: دار العلوم, transliterated dar al-`ulum) একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ “জ্ঞানালয়”। এই শব্দ দ্বারা সাধারণত ইসলামি ধর্মীয় শিক্ষালয় বোঝানো হয়। মাদ্রাসার অনুরূপ হলেও এতে আরো উচ্চস্তরের বিষয়ে পাঠদান করা হয়।

বর্তমানকালের প্রথাগত দারুল উলুমগুলোর উৎপত্তি দক্ষিণ এশিয়ায়। সর্বপ্রথম দারুল উলুম ভারতীয় ইসলামি পণ্ডিত তথা উলামাদের দ্বারা সূচিত হয়। দারুল উলুমে প্রাচীন দারসে নিজামি পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। সেলজুক সাম্রাজ্যের নিজামিয়ার সাথে এর উৎসের যোগ রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ইসলামি ব্যক্তিত্ব যেমন শাহ ওয়ালিউল্লাহর মত পণ্ডিতরা এই পাঠ্যক্রমের উন্নয়ন ঘটান। দারসে নিজামি পাঠ্যক্রমে তাফসির, হিফজ, শরফনাহু, ফারসি, উর্দু, তারিখ, ফিকহ, শরিয়াহ ইত্যাদি নিয়ে গঠিত।

বর্ণনা

আজকের প্রচলিত দারুল উলুম প্রতিষ্ঠান গুলোর মুল শিকড় ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ভারতীয় ইসলামী পণ্ডিতদের প্রতিষ্ঠা করা দারুল উলূমে দারসে নিজামি (প্রাচীন যুগের ইসলামিক পাঠ্যক্রম) অনুসরণ করে চলেছিল, এবং আজও তা অনুসরণ করে চলেছে, যার উদ্ভব সেলজুক সাম্রাজ্যের নিজামিয়া ইসলামিক বিদ্যালয়গুলি থেকে, তবে এটি ভারতীয় উপমহাদেশে বিকশিত হয়েছিল ইসলামী চিন্তাবিদ ও ওলামাদের অধীনে, যেমন শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী (১৭০৩ ১৭৬২)। দরসে নিজামী সিলেবাসভুুক্ত বিষয়গুলো হচ্ছে তাফসির (কুরআনের অনুচ্ছেদ), হিফজ (কোরআন মুখস্থ), সারফ এবং নাহু (আরবি বাক্য গঠন এবং ব্যাকরণ ), ফারসি, উর্দু, তারিক (ইসলামিক ইতিহাস), ফিকহ (ইসলামিক আইনশাসন) এবং শরীয়াহ (ইসলামিক আইন) ইত্যাদি।

প্রধান দারুল উলূমগুলোর তালিকা

ইসলামে প্রধান ধর্মীয় গোষ্ঠীসমূহ

সুন্নি ইসলামের মধ্যে দেওবন্দি এবং বেরলভী হল ভারতীয় উপমহাদেশের (পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা) দুটি প্রধান দল বা গোষ্ঠী। [1]

তথ্যসূত্র

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.