দারিয়া মসজিদ
দারিয়া মসজিদ উচ্চারণ দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন স্থাপনা।[1]
দারিয়া মসজিদ | |
---|---|
সাধারণ তথ্য | |
অবস্থা | নিষ্ক্রিয় |
ঠিকানা | নবাবগঞ্জ উপজেলা, দিনাজপুর |
শহর | দিনাজপুর জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
সম্পূর্ণ | ১৭৯৩ সাল |
স্বত্বাধিকারী | বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর |
অন্যান্য তথ্য | |
কক্ষ সংখ্যা | ১ |
ইতিহাস
স্থাপনাটির সময় নির্দেশক কোনো শিলালিপি এতে পাওয়া যায়নি। দিনাজপুর জেলাশহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে কাহারোল উপজেলার নয়াবাদ গ্রামে আরেকটি মসজিত নয়াবাদ মসজিদ এর সাথে এই স্থাপনার গঠনরীতির মিল রয়েছে যা সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের রাজত্বকালে ১৭৯৩ সালে নির্মাণ করা হয়।[2] তাই এই মসজিদটিও মুগল আমলের শেষ দিকে নির্মিত বলে ধরে নেওয়া হয়। মসজিদের পাশেই একটি পুরাতন বাঁধাই করা কবর রয়েছে এবং ধারণা করা হয় যে এটি এর নির্মাতার কবর।[1]
অবস্থান
স্থাপনাটি নবাবগঞ্জ উপজেলাস্থ মুরাদপুর ইউনিয়নের দারিয়া গ্রামে অবস্থিত। এটি নবাবগঞ্জ থেকে ১৫ কিমি পূর্বদিকে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত।
অবকাঠামো
মূল মসজিদের ভিত্তিটি মাটির নিচে তলিয়ে গেছে। মসজিদে প্রবেশের জন্য পূর্বদিকে তিনটি দরজা রয়েছে যার মধ্যে মাঝের খিলানযুক্ত দরজাটির উচ্চতা ১.৬৮ মিটার এবং প্রস্থ ১.৭১ মিটার। পাশের দুটি দরজা অপেক্ষাকৃত ছোট। মসজিদের ভেতরে ইমাম এর জন্য রয়েছে তিনটি মিহরাব, মাঝেরটি পাশের মিহরাব দুটির তুলনায় বড়। মসজিদের গম্বুজগুলি বর্তমানে অযত্নে অবহেলায় আগাছায় পরিপূর্ণ। এর মধ্যে তিনটি গম্বুজ ধ্বংসপ্রায়। বেশিরভাগ পোড়ামাটির ফলক ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। মসজিদটির বাইরের আয়তন ৯.৭৫ মি. ও ৩.৪১ মিটার। মসজিদের চারকোণে চারটি কর্নার মিনার রয়েছে। মসজিদের পূর্বদিকের দেয়াল প্যানেল দিয়ে অলংকৃত। এসব অলংকরনের বেশিরভাগই পোড়ামাটির ফলক দ্বারা খচিত।[1]
মতপার্থক্য
সাধারনত মসজিদসমূহে কোন প্রাণীর চিত্র থাকেনা। কিন্তু দারিয়া মসজিদ এর বাঁদিকের দেয়ালের প্যানেল ফুল, লতাপাতা, ঘোড়া, জোড়া ময়ূর, হাতির নকশার পোড়ামাটির ফলক দ্বারা খচিত রয়েছে। নয়াবাদ মসজিদ এবং এই মসজিদটি ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো মসজিদে জীবজন্তুর ছবি দেখা যায় না। তাই স্থানীয় ইমাম এর ফতোয়া দ্বারা আপাতত এখানে নামাজ পড়া বন্ধ রয়েছে।[2]
তথ্যসূত্র
- সিতারা, সানিয়া। "দারিয়া মসজিদ"। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০২০।
- "১৭৯৩ সালে নির্মিত দিনাজপুর নয়াবাদ মসজিদ অনন্য স্থাপত্য"। dailynayadiganta.com। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৭, ২০২০।