দারাশিকো
দারাশিকো (জন্ম লুৎফে আজম; ৯ জানুয়ারি ১৯৩৯ - ২৬ ডিসেম্বর ১৯৯৮) একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক। তাকে পর্দায় বজ্রকন্ঠ সংবলিত খল চরিত্র কিংবা দাপুটে বাবার চরিত্রে দেখা যেত।[1][2][3] তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র রাঙা বউ (১৯৭২)। তার পরিচালিত অন্যান্য চলচ্চিত্র হল ফকির মজনু শাহ, অন্ধ বধূ, প্রেম কাহিনী, বোনের মত বোন, ডাকু ও দরবেশ, বাদশা ভাই, ও অঞ্জলী।
দারাশিকো | |
---|---|
জন্ম | লুৎফে আজম ৯ জানুয়ারি ১৯৩৯ |
মৃত্যু | ২৬ ডিসেম্বর ১৯৯৮ ৫৯) ঢাকা, বাংলাদেশ | (বয়স
পেশা | অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক |
কর্মজীবন | ১৯৭২-১৯৯৮ |
সন্তান | সুস্ময় |
দারাশিকো সংগ্রাম (১৯৭৪) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন। তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্র হল পানছি বাউড়া, ঝড়ের পাখি, অনেক প্রেম অনেক জ্বালা, কি যে করি, সূর্যগ্রহণ, দোস্ত দুশমন, সারেং বৌ, এখনই সময়, চন্দ্রনাথ, সারেন্ডার ও অঞ্জলী। তার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র আম্মাজান। তিনি ১৯৯৮ সালের ২৬শে ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
প্রারম্ভিক জীবন
দারাশিকো ১৯৩৯ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মনাম লুৎফে আজম। তার গ্রুপ ক্যাপ্টেন সাইফুল আজম এফডিসির সাবেক ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এবং বদরুল আলম এবং অভিনেতা ও চিত্রপরিচালক ছিলেন। তার পুত্র সুস্ময়ও চলচ্চিত্র অভিনেতা।[4]
তথ্যসূত্র
- "ভিলেন নানারূপে"। দৈনিক মানবজমিন। ২২ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ভূঁইয়া, শরিফুল ইসলাম (২৮ মে ২০১৯)। "ঢাকাই সিনেমার সেকালের সাফল্য একালের ব্যর্থতা"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- মারিয়া, শান্তা (২১ জুন ২০১৫)। "বাংলা সিনেমার বাবারা"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- কাশেম, আজাদ আবুল (২৬ ডিসেম্বর ২০২০)। "প্রখ্যাত অভিনেতা ও পরিচালক-প্রযোজক দারাশিকোর মৃত্যুবার্ষিকী আজ"। নিরাপদ নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- জোয়াদ, আবদুল্লাহ (২০১০)। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র: পাঁচ দশকের ইতিহাস। ঢাকা: জ্যোতিপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৪৭৩। আইএসবিএন 984-70194-0045-9।