দামুড়হুদা উপজেলা

৩০৮.১১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দামুড়হুদা উপজেলাটি খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলার অন্তর্ভুক্ত। এই উপজেলার উত্তরে মেহেরপুর সদর উপজেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা এবং দক্ষিণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও মেহেরপুর সদর উপজেলা।

চুয়াডাঙ্গা জেলার সবচেয়ে পুরাতন ও সমৃদ্ধ জনপদের নাম দামুড়হুদা । এখানেই প্রথমে মহকুমা সদর দপ্তর স্থাপিত হয়েছিল, যা পরে চুয়াডাঙ্গায় স্থানান্তরিত হয় । কিংবদন্তি আছে অতীতে এখানকার এক মন্দিরে পুরোহিত ছিলেন দামোদর । সবাই বলতো দামোদর ঠাকুরের মন্দির । আর ছিলো হুদা পীরের দরগা । এই দামোদর আর হুদা মিলে দামোদরহুদা>দামোদরহুদা>দামুড়হুদা নামের উদ্ভব। এখানে ১০,৫৫১.১৮ হেক্টর পতিত জমি ছাড়াও মোট আবাদি জমির পরিমাণ হচ্ছে ১৬,৭৪৫.৭১ হেক্টর। দামুড়হুদা উপজেলা হেডকোয়ার্টারটি চুয়াডাঙ্গা জেলা হেড কোয়ার্টার থেকে মাত্র ৯ কিঃ মিঃ দূরে অবস্থিত। দামুড়হুদা একটি সীমান্তবর্তী উপজেলা। দামুড়হুদা উপজেলা দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার ২৩.৬১৬৭ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৭৮৩৩ ডিগ্রী পূর্ব দাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।

দামুড়হুদা থানা ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ১৯৮৩ সালে একটি উপজেলায় পরিণত হয়। এখানে ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে।

• পৌরসভা - দর্শনা পৌরসভা
• ইউনিয়ন - দামুড়হুদা ইউনিয়ন, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন, নতিপোতা ইউনিয়ন, হাউলী ইউনিয়ন, কুড়ালগাছী ইউনিয়ন, পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন, জুড়ানপুর ইউনিয়ন এবং নাটুদহ ইউনিয়ন ।

এখান থেকে কাঁঠাল, পেঁপে, ফুল, চারা, দুগ্ধজাত মাংস, রূপান্তরিত কাপড়, ছোপানো, ঔষধ, তৈরি পোশাক প্রস্তুত, ইলেকট্রনিক্স এবং বৈদ্যুতিক পণ্য, জুতা, ইট, সন্দেশ ইত্যাদি রপ্তানী করা হয়।মাল্টা চাষে বিরাট সাফল্য অর্জন সারা দেশে-বিদেশ রপ্তানি।

দামুড়হুদা উপজেলায় ৩টি নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে ভৈরব নদ, মাথাভাঙ্গা নদী ও চিত্রা নদী।[2][3]

• কেরু এন্ড কোং বাংলাদেশ(দর্শনা)
• ডিস্টিলারী কারখানা(দর্শনা)
• রেল বন্দর, দর্শনা
• স্থল বন্দর, জয়নগর
• আট কবর, নাটুদহ
• হাজার দুয়ারী স্কুল, নাটুদহ
• তালসারি ও ইকোপার্ক
• পাঁচ কবর, হৈবৎপুর-মদনা
• দর্শনা রেল স্টেশন
• নজরুলের আটচালা ঘর, কার্পাসডাঙ্গা
• মেমনগর বিপ্রদাস (বিডি) হাই স্কুল
• চুয়াডাঙ্গা জেলা;
• খুলনা বিভাগ;
• বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ।

• বাংলাপিডিয়ায় দামুড়হুদা উপজেলা
• দামুড়হুদা উপজেলা - জাতীয় তথ্য বাতায়ন।