দর্শনা রেলওয়ে স্টেশন

দর্শনা রেলওয়ে স্টেশন হলো বাংলাদেশ এর একটি সীমান্তবর্তী রেলওয়ে স্টেশন, যেটি খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায় দর্শনা শহরে অবস্থিত। এটি হল একটি রেল ট্রানজিট পয়েন্ট এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের একটি সীমান্তবর্তী চেকপয়েন্ট। ১৮৬২ সালে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ের কলকাতা- কুষ্টিয়া রেলপথ খোলা হলে দর্শনা স্টেশনটি চালু হয়।[1] মৈত্রী এক্সপ্রেস এই স্টেশনের উপর দিয়ে যায়।[2]
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের জন্য বঙ্গ প্রদেশের রেল যোগাযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয় যাকে বিভক্ত করা হয় ভারতীয় রাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্ব বাংলার পাকিস্তানের প্রদেশ (পরে ১৯৫৬ সালে যার নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান হয়) এর মধ্যে। অবিভক্ত ভারতের ওপর ব্রিটিশ শাসনের সময়, নিয়মিত রাত ব্যাপী ট্রেন চলাচল করত কলকাতা, গোয়ালন্দ, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের মধ্যে। ইস্ট বেঙ্গল মেল, ইস্ট বেঙ্গল এক্সপ্রেস এবং বরিশাল এক্সপ্রেস - এই তিনটি ট্রেন, ১৯৬৫ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে নিজেদের পরিষেবা অব্যাহত রেখেছিল যতক্ষণ না ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চারিদিকে ছড়িয়ে সব যাত্রীবাহী ট্রেন সংযোগের অবসান ঘটায়।

Darsana Railway Station in 1971
১৯৭১ সালে দর্শনা রেলওয়ে স্টেশনের সাইনবোর্ড
দর্শনা রেলওয়ে স্টেশন
বাংলাদেশ রেলওয়ে স্টেশন
অবস্থানচুয়াডাঙ্গা, খুলনা
 বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৩°৩০′১৩″ উত্তর ৮৮°৪৭′২৫″ পূর্ব
লাইনচিলাহাটি-পার্বতীপুর-সান্তাহার-দর্শনা লাইন
নির্মাণ
গঠনের ধরনআদর্শ (স্থল স্টেশন)
অন্য তথ্য
অবস্থাকার্যকর
ইতিহাস
চালু১৮৬২ সালে
আগের নামইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে
অবস্থান
Map

১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ফল স্বরূপ হিসাবে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয় জাতি-রাষ্ট্র বাংলাদেশ হিসাবে। উপরে উল্লিখিত ট্রেন গুলোর মধ্যে প্রথম দুটো ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস এর মতন একই রুট এ, গেদে এবং দর্শনা হয়ে চলাচল করত এবং বরিশাল এক্সপ্রেস, বনগাঁযশোর এর মাধ্যমে চলাচল করত। [3] সীমিত মালবাহী সেবা কয়েক বছরের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচল করে, কিন্তু যাত্রী পরিষেবা শুধুমাত্র ২০০৮ সালে পুনর্জাগরিত হয়, ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি এবং ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ঢাকা ভ্রমনের পর। ২০০৭ সালের জুলাই মাসের ৮ তারিখ প্রথম ট্রেন (মৈত্রী এক্সপ্রেস) ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের বহন করে, একটি পরীক্ষা চালানোর মাধ্যমে কোলকাতা থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলে।২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল, বাংলা পয়লা বৈশাখের দিন থেকে দ্বি-সাপ্তাহিক এই ট্রেন সাভিস চালু করা হয়।[4] মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের ভিসার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে এটি "রেল-গেদে দ্বারা" (ভারতীয় ভিসার জন্য) বা "রেল-দর্শনা দ্বারা" (বাংলাদেশী ভিসার জন্য) হিসাবে এন্ট্রি পোর্ট উল্লেখ করার জন্য অপরিহার্য।[5]

তথ্যসূত্র

  1. R.P.Saxena। "Indian Railway History timeline"। ১৪ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১০
  2. "Dhaka-Calcutta train link resumes"BBC Newsবিবিসি। ১৪ এপ্রিল ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৪-১৭
  3. "Train links Dhaka, Kolkata"New Age , 16 April 2008। ২০০৮-০৪-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-১৫
  4. http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/7345724.stm
  5. "International Trains from India"। railwaysheadlinesindia। ২০০৯-০৩-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-১৫
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.