থার্মোমিটার

থার্মোমিটার (উৎপত্তি গ্রিক শব্দ θερμός থেকে (thermo) মানে "তাপ" এবং meter মানে পরিমাপ করা) হল তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র, যা বিভিন্ন মূলনীতি ব্যবহার করে তাপমাত্রা পরিমাপ করে থাকে। থার্মোমিটারকে দুটি প্রধান অংশে ভাগ করা যায় যথা : তাপমাত্রা সংবেদী অংশ (যেমন পারদ থার্মোমিটারের বাল্ব) যেখানে তাপমাত্রা পরিবর্তনের সাথে কোন ভৌত পরিবর্তন সংঘটিত হয়, এবং এই ভৌত পরিবর্তনকে মানে রূপান্তর করার ব্যবস্থা (যেমন পারদ থার্মোমিটারের স্কেল)। আজকালকার থার্মোমিটারগুলোয় ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় ডিজিটাল ডিসপ্লে থাকে এবং কোন কোনটিতে কম্পিউটারে তথ্য প্রদানের ব্যবস্থাও থাকে।

চিকিৎসাকার্যে ব্যবহৃত একটি পারদ থার্মোমিটার

থার্মোমিটারকে তাতে ব্যবহৃত তাপগতিবিদ্যার নিয়ম ও সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে দুটি পৃথক দলে ভাগ করা যায়। প্রাথমিক থার্মোমিটারে ব্যবহৃত বস্তুটির বৈশিষ্ট্য সুবিদিত এবং তাপমাত্রা কোন প্রকারের অজানা রাশি ছাড়াই পরিমাপ করা সম্ভবপর হয়। এ ধরনের থার্মোমিটারের মধ্যে রয়েছে গ্যাসের অবস্থা, গ্যাসীয় পদার্থে শব্দের বেগ, তাপীয় নয়েজ বিভব অথবা রোধের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ এবং কোন চুম্বক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট তেজস্ক্রিয় নিউক্লিয়াস থেকে গামা রশ্মি নিঃসরণের কৌণিক অ্যানিসোট্রপির সমীকরণ ব্যবহার করে প্রস্তুতকৃত থার্মোমিটার। প্রাথমিল থার্মোমিটার তুলনামূলকভাবে জটিল।

সেকেন্ডারি থার্মোমিটার তাদের ব্যবহার-সুবিধার কারণে বিপুল জনপ্রিয়। এছাড়াও, তারা প্রাথমিক থার্মোমিটারের চাইতে সুবেদী। সেকেন্ডারি থার্মোমিটারের জন্যে পরিমাপকৃত বৈশিষ্ট্য সরাসরি তাপমাত্রা মাপার জন্যে যথেষ্ট হয় না। একে প্রাথমিক থার্মোমিটারে মাপা অন্তত একটি বা কয়েকটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার সাথে মিলিয়ে সংশোধন (ক্যালিব্রেট) করে নিতে হয়। এ নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, যেমন ত্রৈধ বিন্দু এবং অতিপরিবাহী রূপান্তর একই তাপমাত্রাতে ঘটে থাকে।

তাপমাত্রা

যখন একটি স্বতন্ত্র থার্মোমিটার উষ্ণতা পরিমাপ করতে সামর্থ্য হয়, তখন দুটি থার্মোমিটারের রিডিং তুলনা করা যাবে না যদি না তারা সর্বসম্মত কোন স্কেল থেকে বর্নিত হয়। আজ আমাদের কাছে তাপমাত্রার পরম থার্মোডায়নামিক স্কেল রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে সর্বসম্মত তাপমাত্রা পরিমাপক স্কেলগুলো আনুমানিকভাবে এই ডিজাইনের খুবই নিকটবর্তী হয়, এবং নির্দিষ্ট পয়েন্ট ও প্রক্ষেপক থার্মোমিটার ভিত্তিক হয়। সাম্প্রতিক অফিসিয়াল তাপমাত্রার স্কেল হচ্ছে আন্তর্জাতিক তাপমাত্রার স্কেল ১৯৯০। ইহা 0.৬৫ K (-২৭২.৫ °C ; -৪৫৮.৫ ফারেনহাইট) থেকে প্রায় ১৩৫৮ K (১০৮৫ °C ; ১৯৮৫ ফারেনহাইট) পর্যন্ত বিস্তৃত।

থার্মোমিটারের রকমফের

রান্নাঘরের থার্মোমিটার ফুটন্ত দুধের তাপমাত্রা পরিমাপে ব্যবহৃত হয়।

বিভিন্ন পদার্থের তাপমাত্রার সাথে পরিবর্তিত হয় এমন নানান ধর্ম ব্যবহার করে থার্মোমিটার তৈরি করা হয়। তাপমাত্রা সেন্সর বৈজ্ঞানিক ও প্রকৌশল বিদ্যার বিভিন্ন শাখায় বহুল ব্যবহৃত।

পাদটীকা

    তথ্যসূত্র

    উচ্চতর পঠন

    • Middleton, W. E. K. (1966). A history of the thermometer and its use in meteorology. Baltimore: Johns Hopkins Press. Reprinted ed. 2002, আইএসবিএন ০-৮০১৮-৭১৫৩-০.

    বহিঃসংযোগ

    টেমপ্লেট:Meteorological equipment

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.