ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়
ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় (নেপালি: त्रिभुवन विश्वविद्यालय) নেপালের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়টি নেপালের সবচেয়ে প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়[2] এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বের দশম বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সম্মান পর্যায়ে ২,০৭৯ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২,০০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করার সুযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালের মার্চ মাসের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়টির সমস্ত নেপাল জুড়ে রয়েছে ৬০টি সংবিধান ক্যাম্পাস এবং ১,০৮৪টি অধিভুক্ত কলেজ রয়েছে।[3] যেহেতু এটি সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত হয় তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার ব্যয় কম।
त्रिभुवन विश्वविद्यालय | |
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৫৯ |
আচার্য | নেপালের প্রধানমন্ত্রী |
উপাচার্য | ধর্ম কান্ত বাসকোটা |
শিক্ষার্থী | ৬,০৪,৪৩৭[1] |
অবস্থান | , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত নেপালের সবচেয়ে প্রাচীনতম ও বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। দেরী রাজা ত্রিভুবনের নাম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম দিকে সকল স্নাতকোত্তর ক্লাস অনুষ্ঠিত হতো ত্রিপুরেশ্বর ক্যাম্পাসে এবং প্রশাসনিক অফিস ও ত্রিপুরেশ্বর অবস্থিত ছিল। পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে কীর্তিপুর শহরের স্থায়ী ক্যম্পাসে স্থানান্তর করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি কীর্তিপুরে ১৫৪.৭৭ একর জমির উপর কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক অফিস এবং কেন্দ্রীয় ক্যাম্পাস রয়েছে।[4]
অনুষদসমূহ
ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি অনুষদ এবং মোট ৩৮টি কেন্দ্রীয় বিভাগ নিয়ে গঠিতঃ
মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
- কেন্দ্রীয় নৃবিজ্ঞান বিভাগ
- কেন্দ্রীয় উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগ
- কেন্দ্রীয় দপ্তর বৌদ্ধ স্টাডিজ বিভাগ
- কেন্দ্রীয় রসায়ন বিভাগের
- কেন্দ্রীয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ
- কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি দপ্তর বিভাগ
- কেন্দ্রীয় অর্থনীতি বিভাগ
- কেন্দ্রীয় ইংরেজি বিভাগ
- কেন্দ্রীয় পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ
- কেন্দ্রীয় জৈবপ্রযুক্তি বিভাগ
- কেন্দ্রীয় চারুকলা বিভাগ
- কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ
- কেন্দ্রীয় ভূগোল বিভাগ
- কেন্দ্রীয় হাইড্রোলজি এবং আবহবিদ্যা বিভাগ
- কেন্দ্রীয় ভূতত্ত্ব বিভাগ
- কেন্দ্রীয় দপ্তর ও হিন্দি ভাষা বিভাগ
- কেন্দ্রীয় ইতিহাস বিভাগ
- কেন্দ্রীয় গৃহ বিজ্ঞান বিভাগ
- কেন্দ্রীয় সাংবাদিকতা ও গণ যোগাযোগ বিভাগ
- কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার বিজ্ঞান বিভাগ
- কেন্দ্রীয় ভাষাবিদ্যা বিভাগ
- কেন্দ্রীয় দপ্তর মৈথিলী বিভাগ
- কেন্দ্রীয় গণিত বিভাগ
- কেন্দ্রীয় অনুজীববিজ্ঞান বিভাগ
- কেন্দ্রীয় নেপালী ইতিহাস বিভাগ
- কেন্দ্রীয় দপ্তর নেপালী ভাষা বিভাগ
- কেন্দ্রীয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
- কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক বিজ্ঞান বিভাগ
- কেন্দ্রীয় জনসংখ্যা গবেষণা বিভাগ
- কেন্দ্রীয় মনোবিজ্ঞান বিভাগ
- কেন্দ্রীয় গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগ
- কেন্দ্রীয় সংস্কৃত বিভাগ
- কেন্দ্রীয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
- কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান বিভাগ
- কেন্দ্রীয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগ
- কেন্দ্রীয় আইন বিভাগ
- কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ
- কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ
ব্যবস্থাপনা অনুষদ
- কেন্দ্রীয় জনপ্রশাসন বিভাগ
- কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ
শিক্ষা অনুষদ
- কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগ
আইন বিভাগ
- কেন্দ্রীয় আইন বিভাগ
সুযোগ সুবিধা
১. ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গ্রাউন্ড;
২. ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার
সমাজ
- নেপাল রাসায়নিক সমাজ
- নেপাল গাণিতিক সমাজ
- নেপাল শারীরিক সমাজ
গবেষণা কেন্দ্র
ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় নিম্নলিখিত গবেষণা কেন্দ্র গুলো রয়েছে:[5]
- ১. অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং প্রশাসন গবেষণা কেন্দ্র
- ২. নেপাল ও এশিয়ান গবেষণা কেন্দ্র
- ৩. ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা কেন্দ্র
- ৪. শিক্ষার নতুনত্ব এবং উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "Tribhuvan university"। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- "Nepal :: Health and education"। Britannica Online Encyclopedia। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০২-০৯।
- "FSU elections held in just 143 colleges"। Republica। ২ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৭।
TU has 60 constituent colleges and around 1,084 affiliate colleges including community colleges across the country, according to TU officials.
- "About Us"। tribhuvan-university.edu.np। Tribhuvan University। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৬।
- "TU Research Centres"। tribhuvan-university.edu.np। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৮।