ত্রিপুরার ইতিহাস
ত্রিপুরা রাজ্য দীর্ঘ ইতিহাস আছে। ১৪ তম শতাব্দী থেকে ১৫ তম শতাব্দীতে ত্রিপুরা রাজ্য উত্তর ও পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদ ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল, এছাড়াও সেই সময়ে ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্যে পূর্বাঞ্চলীয় বঙ্গের এবং বার্মার কিছু অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তিপ্রা রাজ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ত্রিপুরার ইতিহাসের অংশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ত্রিপুরা রাজতন্ত্রের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মাণিক্য রাজবংশ (রাজকীয় পরিবার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আগরতলা (রাজ্যের রাজধানী) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ (রাজকীয় বাসভবন) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
নীরমহল (রাজকীয় বাসভবন) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
রাজমালা (রাজকীয় কালপঞ্জি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ত্রিপুরা বুরঞ্জী (কালপঞ্জি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
চতুর্দশ দেবতা (পারিবারিক দেবতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ত্রিপুরা রাজ্যের শেষ শাসক ছিলেন কিরিত বিক্রম কিশোর মানিকয়া বাহাদুর দেবাবর্মা যিনি ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ সালের মধ্যে আগরতলা শাসন করেছিলেন, যাঁকে ১৯৪৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাজ্যের সঙ্গে ভারতে একত্রিত করা হয় এবং ১৫ অক্টোবর, ১৯৪৯ সালে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রশাসনকে অধিগ্রহণ করা হয়। [1]
প্রাগৈতিহাসিক সময়
ত্রিপুরার রাজ্যের উৎপত্তি ও রাজাদের ইতিহাস রাজমালায় লিখিত গল্পগুলিতে পাওয়া যায়, যা হিন্দু ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস এবং ত্রিপুরা লোককাহিনী থেকে বিরত থাকে।
প্রাচীন কাল
প্রাচীনকালের ৭ তম শতাব্দী থেকে ত্রিপুরার রাজারা উত্তর ত্রিপুরাতে কৈলাসহরের থেকে রাজ্য শাসন করত এবং তারা তাদের শিরোনাম হিসাবে "ফা" ব্যবহার করে। ককবরক ভাষায় "ফা" শব্দের অর্থ "পিতা" বা "প্রধান"।
ঐতিহাসিক সময়
ত্রিপুরা রাজ্যের রাজারা তাদের রাজ্যের নাম "মানিক্য" রাখেন এবং ১৪ তম শতাব্দীতে দক্ষিণ ত্রিপুরা গোমতি নদীর তীরে উদয়পুর (পূর্বে রাঙ্গামাটি) তাদের রাজধানী স্থানান্তর করে। এটি তাদের সবচেয়ে মহিমান্বিত সময় ছিল এবং তাদের ক্ষমতা এবং খ্যাতি মোগলদের দ্বারাও স্বীকৃত হয়, যারা উত্তর ভারতে তাদের সমসাময়িক ছিল।
আধুনিক সময়
![](../I/Bengal_gazetteer_1907-9.jpg.webp)
আধুনিক যুগে মোগলরা রাজত্বের আধিপত্য শুরু করে এবং ব্রিটিশদের কাছে মোগলরা পরাজিত হবার পর ভারতে ব্রিটিশ শাসন শুরু হয় এবং ব্রিটিশ ভারত প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালে, ব্রিটিশ ভারত সরকারের তাদের প্রশাসনে মহারাজাকে সাহায্য করার জন্য একজন কর্মী নিযুক্ত করে। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের রাজধানীটি ১৯ শতকের প্রথম দিকে পশ্চিম ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলাতে স্থানান্তরিত হয়।
ভারত স্বাধীন হওয়ার পর, ত্রিপুরা রাজ্যের রাজকীয় সাম্রাজ্য ১৯৪৯ সালে ভারত সরকারের সাথে যুক্ত হয়ে যায়। ত্রিপুরা ১ জুলাই, ১৯৬৩ সালে কেন্দ্রসাশিত অঞ্চল হয়ে ওঠে এবং ১ জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের স্বীকৃতি লাভ করে।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
![](../I/Commons-logo.svg.png.webp)