তোর্ষা নদী
তোর্ষা (তোর্সা) বা চুম্বি বা আমোছু নদী এশিয়ার একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। তিব্বত, ভুটান, ভারত, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে নদীটি প্রবাহিত।[1]
তোরষা নদী মাচু, আমো ছু | |
---|---|
অন্য নাম | মাচু, আমো ছু |
দেশ | চীন, ভুটান, ভারত, বাংলাদেশ |
শহর | ফুন্টসলিং, জয়গাঁও, কোচ বিহার |
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য | |
মোহনা | ব্রহ্মপুত্র নদ |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
দৈর্ঘ্য | ৩৫৮ কিলোমিটার (২২২ মাইল) |
প্রবাহ
পূর্ব তিব্বতের চুম্বি উপত্যকার টাং-পাস থেকে উত্থিত হয়ে ভুটানের পশ্চিম সীমানা ঘেঁষে নদীটি দক্ষিণে নেমেছে। নদীটির আনুমানিক দৈর্ঘ্য ৩২০ কিলোমিটার। উজানের স্রোতধারা চুম্বি নামেও অভিহিত হয়। ভুটানে এর নাম আমোছু। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় এবং বাংলাদেশে এই নদীর নাম তোরষা। তোরষা অর্থ তোয় রোষা অর্থাৎ রুষ্ট জলপ্রবাহ। সত্যিই তোরষা খ্যাপাটে স্বভাবের এক দুর্দান্ত নদী।
তোরষা নদী কুচবিহার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ধুবড়ির প্রায় ২২.৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্রের সাথে মিলিত হয়েছে। কুচবিহারের পশ্চিমে ধরলা নামে এ নদীর দক্ষিণ দিকস্থ একটি শাখা জলঢাকা নদীতে পড়েছে। কুচবিহারের প্রায় ২৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রায়ডাক নদীর একটি শাখা তোরষা নদীতে মিশেছে এবং মিলনস্থলের ভাটিতে তোরষা নদীকে রায়ডাক বা দুধকুমার বলে।[1]
চিত্রশালা
- ঘোকসাডাঙ্গা রেল স্টেশনের কাছে তোরষা নদীর দৃশ্য।
- হাসিমারায় তোরষা নদীর দৃশ্য, জাতীয় মহাসড়ক ৩১সি থেকে তোলা।
তথ্যসূত্র
- ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ২২৭।