তোয়্যামা প্রশাসনিক অঞ্চল
তোয়্যামা প্রশাসনিক অঞ্চল (富山県? তোয়্যামা কেন্) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর চুউবু অঞ্চলের অন্তর্গত হোকুরিকু উপাঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[2] এর রাজধানী তোয়্যামা নগর।[3] রাশিয়ার বাইরে পূর্ব এশিয়ার একমাত্র হিমবাহটি এখানে অবস্থিত; এটিকে ২০১২ খ্রিঃ শনাক্ত করা হয়।[4]
তোয়্যামা প্রশাসনিক অঞ্চল 富山県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 富山県 |
• রোমাজি | Toyama-ken |
পতাকা | |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | চুউবু |
দ্বীপ | হোনশু |
রাজধানী | তোয়্যামা |
আয়তন | |
• মোট | ৪,২৪৭.২২ বর্গকিমি (১,৬৩৯.৮৬ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৩৩ তম |
জনসংখ্যা (১লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮) | |
• মোট | ১১,০৪,২৩৯ |
• ক্রম | ৩৮ তম |
• জনঘনত্ব | ২৬০/বর্গকিমি (৭০০/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-16 |
জেলা | ২ |
পৌরসভা | ১৫ |
ফুল | টিউলিপ (টিউলিপা)[1] |
গাছ | তাতেয়ামা সিডার (ক্রিপ্টোমেরিয়া জাপোনিকা)[1] |
পাখি | টার্মিগান[1] |
মাছ | জাপানি অ্যাম্বারজ্যাক প্যাসিফিয়া জাপোনিকা জোনাকি স্কুইড[1] |
ওয়েবসাইট | pref.toyama.jp |
ইতিহাস
ঐতিহাসিকভাবে তোয়্যামা প্রশাসনিক অঞ্চল এচ্চুউ প্রদেশ নামে পরিচিত ছিল।[5] ১৮৭১ এ হান্ ব্যবস্থার অবসানের পর এচ্চুউ প্রদেশের ইমিযু জেলা নানাও প্রশাসনিক অঞ্চলের সাথে যুক্ত করা হয়, এবং অবশিষ্ট অংশের নতুন নামকরণ হয় নিইকাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চল। ১৮৭২ এ ইমিযু জেলা আবার নিইকাওয়ায় সংযুক্ত হয়। ১৮৭৬ থেকে ১৮৮১ খ্রিঃ পর্যন্ত নিইকাওয়া ও ইশিকাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চল দুটি সংযুক্ত থাকে। তার পর শেষ বারের মত এদের পৃথকীকরণ হয় এবং নিইকাওয়ার নতুন নামকরণ হয় তোয়্যামা প্রশাসনিক অঞ্চল।
১৯৫০ খ্রিঃ নাগাদ তোয়্যামায় কুখ্যাত ইতাই-ইতাই ঘটনা ঘটে।
ভূগোল
তোয়্যামা প্রশাসনিক অঞ্চলের পশ্চিমে আছে ইশিকাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমে নিইগাতা প্রশাসনিক অঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণে যথাক্রমে নাগানো ও গিফু প্রশাসনিক অঞ্চল এবং উত্তরে আছে জাপান সাগর।
২০১২ এর এপ্রিল মাসের হিসেব অনুযায়ী তোয়্যামা প্রশাসনিক অঞ্চলের ৩০ শতাংশ ভূমি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে চুউবু-সাংগাকু ও হাকুসান জাতীয় উদ্যান, নোতো হান্তোও উপ-জাতীয় উদ্যান এবং ছয়টি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[6]
পৌরসভা
২০০০ এর দশকে তোয়্যামার অনেকগুলি পৌর অঞ্চলের পারস্পরিক সংযোজন হওয়ার ফলে এখন এখানে জাপানের সবচেয়ে কম সংখ্যক পৌরসভার অবস্থান। এগুলির মধ্যে আছে ১০ টি নগর, ২ টি জেলা, ৪ টি শহর ও একটি মাত্র গ্রাম। পূর্বোক্ত সংযোজনের আগে এই সংখ্যাগুলি ছিল যথাক্রমে ৯ টি নগর, ১৮ টি শহর ও ৮ টি গ্রাম।
অর্থনীতি
২০১৪ এর হিসেব অনুযায়ী তোয়্যামা জাপানের মোট ধান উৎপাদনের ২.৫% উৎপাদন করত।[7] তাতে পর্বতের খরস্রোতা নদী থেকে জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। জাপান সাগরের উপকূল বরাবর অনেকগুলি মাছের ভেড়ি আছে। এখানকার ফার্মাসিউটিকাল শিল্প প্রধান কারিগরী শিল্পের স্থান অধিকার করে। এর পরেই আছে বৈদ্যুতীন যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ; এই শ্রেণীর মধ্যে শিল্পে কাজে লাগানোর যোগ্য রোবট প্রভৃতিও পড়ে। এছাড়া অ্যালুমিনিয়াম, তামা প্রভৃতি দিয়ে ধাতব বস্তুনির্মাণ শিল্পও উল্লেখযোগ্য।
কান্সাই বিদ্যুৎশক্তি সংস্থার জন্য কুরোবে বাঁধ জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এটি কুরোবে নদীর উপর অবস্থিত।
জনপরিসংখ্যান
২০০৮ এর ১লা ফেব্রুয়ারির হিসেব অনুযায়ী তোয়্যামা প্রশাসনিক অঞ্চলের জনসংখ্যা ছিল ১১,০৪,২৩৯ জন।
তথ্যসূত্র
- 富山県の魅力・観光>シンボル। Toyama Prefectural website (Japanese ভাষায়)। Toyama Prefecture। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Toyama prefecture" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 991, পৃ. 991,; "Hokuriku" at গুগল বইয়ে p. 344, পৃ. 344,.
- Nussbaum, "Toyama" at গুগল বইয়ে p. 991, পৃ. 991,.
- First glaciers of Japan recognised
- Nussbaum, "Provinces and prefectures" at গুগল বইয়ে p. 780, পৃ. 780,.
- "General overview of area figures for Natural Parks by prefecture" (পিডিএফ)। Ministry of the Environment। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১২।
- "米の生産 〔2014年〕" (Japanese ভাষায়)। মার্চ ৩০, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ১১, ২০১৫।