তোকুশিমা প্রশাসনিক অঞ্চল
তোকুশিমা প্রশাসনিক অঞ্চল (徳島県? তোকুশিমা কেন্) হল জাপানের শিকোকু দ্বীপে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[1] এর রাজধানী তোকুশিমা নগর।[2]
তোকুশিমা প্রশাসনিক অঞ্চল 徳島県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 徳島県 |
• রোমাজি | Tokushima-ken |
পতাকা তোকুশিমা প্রশাসনিক অঞ্চলের প্রতীক | |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | শিকোকু |
দ্বীপ | শিকোকু |
রাজধানী | তোকুশিমা |
আয়তন | |
• মোট | ৪,১৪৪.৯৫ বর্গকিমি (১,৬০০.৩৭ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৩৬শ |
জনসংখ্যা (১লা মে ২০১৬) | |
• মোট | ৭,৫১,৯৬৯ |
• ক্রম | ৪৪ তম |
• জনঘনত্ব | ১৮০/বর্গকিমি (৪৭০/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-36 |
জেলা | ৮ |
পৌরসভা | ২৪ |
ফুল | সুদাচি (সাইট্রাস সুদাচি) |
গাছ | য়ামামোমো (মিরিকা রাব্রা) |
পাখি | সাদা সারস |
ওয়েবসাইট | pref.tokushima.jp/english/ |
ইতিহাস
তোকুশিমা প্রশাসনিক অঞ্চলের ৪৯ টি ধ্বংসাবশেষ থেকে ২০,০০০ বছর আগেকার পাথরের ছুরি পাওয়া গেছে।
মেইজি পুনর্গঠনের আগে পর্যন্ত তোকুশিমা অঞ্চলটি আওয়া প্রদেশ নামে পরিচিত ছিল।[3]
প্রাচীন যুগে অঞ্চলটি মিয়োদো জেলা নামে পরিচিত ছিল বলে মেইজি পুনর্গঠনের সময় প্রথমে এর নাম হয় মিয়োদো প্রশাসনিক অঞ্চল। এই সময় আওয়া প্রদেশ ছাড়াও আওয়াজি দ্বীপপুঞ্জও এর অন্তর্গত ছিল। ১৮৭৩ খ্রিঃ আরও কিছু অঞ্চল এর সাথে সাময়িকভাবে যুক্ত করা হয়; এগুলি বর্তমানে কাগাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলের অন্তর্গত।
১৮৭৫ এর ৫ই সেপ্টেম্বর সরকারী সংস্কারের দ্বিতীয় দফায় সানুকি অঞ্চল পৃথক হয়ে বর্তমান কাগাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চল গঠন করে। ১৮৭৬ এর ২১শে আগস্ট আওয়াজি দ্বীপ হিয়োগো প্রশাসনিক অঞ্চলে যোগ দেয় এবং আওয়া অঞ্চল পৃথক হয়ে কোওচি প্রশাসনিক অঞ্চল গঠন করে।
১৮৮০ এর ২রা মার্চ মিয়োদো প্রশাসনিক অঞ্চল কোওচি থেকে পুরোপুরি আলাদা হয়ে তোকুশিমা প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত হয়।
ভূগোল
উত্তরে তোকুশিমা সমভূমি বাদে অবশিষ্ট প্রশাসনিক অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি পর্বতময়। দক্ষিণের শিকোকু পর্বতমালা শিকোকুর সমগ্র অঞ্চলের সাথেই অবশিষ্ট জাপানের যোগাযোগে বরাবর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এসেছে। অন্যদিকে এই সমস্ত পর্বত থেকে অনেক নদী উৎপন্ন হয়েছে। এদের মধ্যে য়োশিনো, কাৎসু-উরা ও নাকাগাওয়া নদী উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি নিম্ন নাকাগাওয়া অববাহিকায় প্রতি গ্রীষ্মে খরা দেখা দিচ্ছে।
২০১২ এর এপ্রিল মাসের হিসেব অনুযায়ী তোকুশিমার ৯ শতাংশ এলাকা সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে সেতোনাইকাই জাতীয় উদ্যান; মুরোতো-আনান কাইগান ও ৎসুরুগিসান উপ-জাতীয় উদ্যান এবং ছয়টি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[4]
অর্থনীতি
তোকুশিমায় কৃষিকাজ, বনপালন ও মৎস্যচাষ প্রধান অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। য়োশিনো উপত্যকার নিম্নাঞ্চল ও উপকূলের সংকীর্ণ সমভূমিতে ধান চাষ হয়। অবশিষ্ট জমির অধিকাংশে সবজি ও ফুলের চাষ হয়। তোকুশিমা জাপানের বৃহত্তম ফুলকপি ও পদ্ম উৎপাদক, এবং চতুর্থ বৃহত্তম গাজর উৎপাদক। দেশে একমাত্র এই প্রশাসনিক অঞ্চলেই নীল চাষ হয়।
তোকুশিমা ও কোওবে নগরের সংযোজক আকাশি চ্যানেল সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে শিল্পায়নে গতি এসেছে। তোকুশিমা ও নারুতো জেলা সর্বাধিক শিল্পায়িত। ইতানো জেলার আইযুমি ও কিতাজিমা শহরের বৃদ্ধির ফলে ভবিষ্যতে এই শহরগুলির সংযুক্তির মাধ্যমে নতুন নগর গঠন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র
- Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Tokushima prefecture" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 980, পৃ. 980,.
- Nussbaum, "Tokushima" at গুগল বইয়ে p. 980, পৃ. 980,.
- Nussbaum, "Awa no Kuni" at গুগল বইয়ে p. 62, পৃ. 62,; "Provinces and prefectures" at গুগল বইয়ে p. 780, পৃ. 780,
- "General overview of area figures for Natural Parks by prefecture" (পিডিএফ)। Ministry of the Environment। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১২।