তুলসী চক্রবর্তী
তুলসী চক্রবর্তী (৩রা মার্চ, ১৮৯৯ - ১১ই ডিসেম্বর, ১৯৬১) ১৯৪০ এবং ১৯৫০ সালের বাংলা সিনেমার এক স্বনামধন্য অভিনেতা ছিলেন। প্রধানত কমিক ভূমিকায় উনি খ্যাতি লাভ করেছিলেন। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা সত্যজিৎ রায় পরিচালিত "পরশ পাথর" চলচ্চিত্রের মুখ্য অভিনেতা হিসাবে।
তুলসী চক্রবর্তী | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | অভিনেতা (চলচ্চিত্র ও মঞ্চ), |
কর্মজীবন | ১৯৩২–১৯৬১ |
বাল্যকাল
তুলসী চক্রবর্তী গোয়ারি নামক এক ছোট গ্রামে ১৮৯৯ সালের ৩-রা মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আশুতোষ চক্রবর্তী ভারতীয় রেল-এর কর্মী ছিলেন। বাল্যকালে তাই অবিভক্ত বাংলায় নানা স্থানে ঘুরতে হয়েছে। সুতরাং তরুণ তুলসী চক্রবর্তীকে কোলকাতায় তার কাকা প্রসাদ চক্রবর্তীর কাছে কিছুকাল থাকতে হয়েছিল। প্রসাদবাবু প্রখ্যাত স্টার থিয়েটার-এর একজন বিশিষ্ট তবলা ও হারমোনিয়াম বাদক ছিলেন। এবং তার যোগাযোগে তুলসী চক্রবর্তী নিজের প্রজন্মের সর্বশ্রেষ্ঠ অভিনেতাদের দেখার সুযোগ লাভ করেন। ঐ থেকে তিনি অভিনয় ও সঙ্গীতে যোগদান করার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। পরবর্তী কালে বাস্তবসম্মত অভিনেতা হিসাবে তিনি পরিচিতি পান। কোন মেক-আপ বা অতিরিক্ত আয়োজন না ব্যবহার করে, সাধারণত কাঁধে একটি উপবীত ও একটি সাদা ধুতি পরিধান করতেন।
কর্মজীবন
উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনীত সাড়ে চুয়াত্তর চলচ্চিত্রে তুলসী চক্রবর্তী একটি লজিং-এর ম্যানেজার হিসাবে অনন্যসাধারণ ভূমিকা রাখেন এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সত্যজিৎ রায় পরিচালিত পরশ পাথর চলচ্চিত্রে তিনি প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন। এবং পথের পাঁচালী চলচ্চিত্রে এক পণ্ডিত হিসাবে ছোট্ট ভূমিকায় দেখা যায় তুলসী চক্রবর্তী-কে।
সত্যজিৎ রায় একবার বলে থাকেন যে তুলসী চক্রবর্তী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করে থাকলে তাকে অভিনয় দক্ষতার জন্য অস্কার পুরস্কার প্রদান করা হত।
তুলসী চক্রবর্তীর মৃত্যু হয় ১৯৬১ সালের ১১ ডিসেম্বর।
চলচ্চিত্রের তালিকা
- মায়া মৃগ (১৯৬০)
- শুনো বরনারী (১৯৬০)
- গলি থেকে রাজপথ (১৯৫৯)
- পার্সোনাল অ্যাসিস্টেন্ট (১৯৫৯)
- অবাক পৃথিবী (১৯৫৯)
- অযান্ত্রিক (১৯৫৮)
- যৌতুক (১৯৫৮)
- পরশ পাথর (১৯৫৮)
- রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত (১৯৫৮)
- সোনার কাঁঠি (১৯৫৮)
- চন্দ্রনাথ (১৯৫৭)
- হরিশচন্দ্র (১৯৫৭)
- পৃথিবী আমারে চায় (১৯৫৭)
- একটি রাত (১৯৫৬)
- শ্যামলী (১৯৫৬)
- পথের পাঁচালী (চলচ্চিত্র) (১৯৫৫)
- অপরাধী (১৯৫৫)
- ভালোবাসা (১৯৫৫)
- দুজনে (১৯৫৫)
- কালিন্দি (১৯৫৫)
- নিষিদ্ধ ফল (১৯৫৫)
- উপহার (১৯৫৫)
- চাঁপডাঙার বৌ (১৯৫৪)
- যদুভট্ট (১৯৫৪)
- জয়দেব (১৯৫৪)
- নবীন যাত্রা (১৯৫৩)
- সাড়ে চুয়াত্তর (১৯৫৩)
- দর্পচূর্ণ (১৯৫২)
- মেঘমুক্তি (১৯৫২)
- পণ্ডিত মশাই (১৯৫১)
- মানডন্ড (১৯৫০)
- মেজদিদি (১৯৫০)
- রূপকথা (১৯৫০)
- শেষবেশ (১৯৫০)
- বামুনের মেয়ে (১৯৪৯)
- কবি (১৯৪৯)
- বিরাজ বউ (১৯৪৬)
- মন্দির (১৯৪৬)
- প্রতিমা (১৯৪৬)
- দুই পুরুষ (১৯৪৫)
- শ্রী গৌরাঙ্গ (১৯৩৩)
- পুনর্জন্ম (১৯৩২)
- দ্বীপ জ্বেলে যাই