তিলোত্তমা
তিলোত্তমা (সংস্কৃত: तिलोत्तमा, Tilottamā) হিন্দু পুরাণে বর্ণিত অপ্সরা (স্বর্গীয় জলপরী)। সংস্কৃত "তিল" শব্দের অর্থ তিল বীজ এবং "উত্তমা" অর্থ ভালো বা উচ্চতর। অর্থাৎ, তিলোত্তমা মানে শ্রেষ্ঠত্বের ক্ষুদ্রতম কণা বা যার শ্রেষ্ঠত্ব সর্বোচ্চ গুণাবলী স্থিরীকৃত হতে পারে।
তিলোত্তমা | |
---|---|
দেবনাগরী | तिलोत्तमा |
সংস্কৃত লিপ্যন্তর | Tilottamā |
তামিল লিপ্যন্তর | திலோத்தமை |
আবাস | স্বর্গ |
লিঙ্গ | স্ত্রী |
অঞ্চল | ভারত উপমহাদেশ |
ব্যাস রচিত হিন্দু মহাকাব্য মহাভারতে বর্ণিত রয়েছে, ব্রহ্মার অনুরোধে ঐশ্বরিক স্থপতি বিশ্বকর্মা কর্তৃক তিলোত্তমা সৃষ্ট হয়েছে যাবতীয় সর্বশ্রেষ্ঠ উপাদানসমূহের সমন্বয়ে। তিনি অসুর (দানব), সুন্দ ও উপাসুন্দ, এই তিন দেবতার পারস্পরিক ধ্বংসের জন্য দায়ী।[1] এমনকি শিব ও ইন্দ্রের মতো দেবতারা নিজেদের তিলোত্তমার প্রেমমুগ্ধ বর্ণনা করে।
কিছু কিংবদন্তি রচনায় তিলোত্তমাকে প্রাক-জন্মে কুশ্রী বিধবা হিসেবে ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি, অন্য বর্ণনাকারী রলেছেন যে কীভাবে তিনি ঋষি দুর্বাসা দ্বারা অসুর রাজকন্যা উষা হিসাবে পুনর্জন্মলাভ করতে অভিশপ্ত হয়েছিল।
সুন্দ ও উপাসুন্দের জন্ম ও বিনাশ
মহাকাব্য মহাভারতের আদিপর্বে (প্রথম অধ্যায়), দেবর্ষি নারদ পাণ্ডব ভাইদের অপ্সরা তিলোত্তমের কারণে সুন্দ ও উপাসুন্দ ভাতৃদ্বয়ের ধ্বংসের কাহিনি বর্ণনা করেন;[2][3] এবং পাণ্ডবদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে তাদের যৌথস্ত্রী দ্রৌপদী ও তাদের মধ্যেকার বিবাদের কারণ হতে পারে।[4] কাহিনিতে বলা হয়েছে সুন্দ ও উপাসুন্দ ছিল অসুর (রাক্ষস) নিকুম্ভের পুত্রদ্বয়। এই ভাতৃদ্বয়, যারা নিজেদের সমস্ত কিছু ভাগ করেছিল: রাজ্য, আসন, ঘর এমনকি বিছানা, খাবার। একদা, ভাতৃদ্বয় বিন্ধ্য পর্বতে তীব্র কৌতূহল অনুশীলন করে সৃষ্টির দেবতা ব্রহ্মাকে তাদের বরদান করতে বাধ্য করেছিলেন। ব্রহ্মার কাছে তারা মহান শক্তি ও অমরত্ব চেয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে তা অস্বীকার করা হয়েছিল, পরিবর্তে ব্রহ্মা তাদেরকে এমন বর দিয়েছেন যাতে তারা নিজেরাই একে অপরকে আর আঘাত করতে না পারে।[5] শীঘ্রই, দানবরা স্বর্গে আক্রমণ চালায় এবং দেবতাদের তাড়িয়ে দেয়। পুরো মহাবিশ্বকে জয় করে দানবেরা ঋষিদের হয়রানি ও মহাবিশ্বে সর্বনাশ সৃষ্টি করতে শুরু করে।[6]
দেবতা ও ঋষিরা ব্রহ্মার কাছে আশ্রয় চান। ব্রহ্মা তখন ঐশ্বরিক স্থপতি বিশ্বকর্মাকে একটি সুন্দরী মহিলা তৈরির নির্দেশ দেন। বিশ্বকর্মা ত্রিভুবন (স্বর্গ, পৃথিবী, পাতাল) এবং বিশ্বের সমস্ত রত্ন থেকে যা কিছু সুন্দর ছিল তা সংগ্রহ করেন এবং অলৌকিক সৌন্দর্যে এক মনোরম মহিলা সৃষ্টি করেন।[2][7] রত্ন থেকে বিন্দু বিন্দু করে তৈরি করেছিলেন বলে, ব্রহ্মা তার নাম রেখেছিলেন তিলোত্তমা এবং তাকে রাক্ষস ভাইদের এমনভাবে প্রলুব্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছেন যে তিনি তাদের মধ্যে বিরোধের কারণ হয়ে উঠবেন।[6]
সুন্দ ও উপাসুন্দ যখন মহিলাদের সাথে আমোদপ্রমোদ উপভোগ করছিলেন এবং বিন্ধ্য পর্বতমালায় নদীর তীরে মদ্যপানে মগ্ন ছিলেন, তিলোত্তমা সেখানে হাজির হয়।[4] তার ইন্দিয়পরায়ণতাপূর্ণ দেহায়বে বিস্মিত এবং ক্ষমতা ও মদ্যপানে মাতাল হয়ে সুন্দ ও উপাসুন্দ যথাক্রমে তিলোত্তমার ডান এবং বাম হাত স্পর্শ করছিলেন।[7] যেহেতু উভয় ভাই যুক্তি দিয়েছিল যে তিলোত্তমা তার নিজের স্ত্রী হওয়া উচিত, তাই তারা একে অপরকে আক্রমণ করে এবং শেষ পর্যন্ত নিজেদের হত্যা করে।[8] দেবতারা তিলোত্তমাকে অভিনন্দন জানালেন এবং ব্রহ্মা তাকে একটি আশীর্বাদ হিসাবে মহাবিশ্বে অবাধে বিচরণের অধিকার দেন। ব্রহ্মা আরও আদেশ করেছিলেন যে তিলোত্তমার দীপ্তির কারণে কেউ তার দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকাতে পারবে না।[6]
দেবতাদের জাদুকরী
মহাভারতে (প্রথম অধ্যায়: আদিপর্ব) বর্ণিত রয়েছে: ব্রহ্মা তিলোত্তামার সৌন্দর্যে প্রভাবিত না হলেও, অন্যান্য দেবতারা তার সৌন্দর্যে জাদুমগ্ধ ছিলেন। প্রথমদিকে, শিব এবং ইন্দ্র অকাতর ছিলেন,[6][9] তবে, তাকে দেখার ইচ্ছায় মহান দেবতা শিব নিজের একটি মাথা তার সামনে এবং আরেকটি তার মাথার পিছনে বিকশিত করেছিল তাকে পরিক্রমার জন্য। অন্যদিকে স্বর্গের আরেক ঈশ্বর ইন্দ্র অবশ্য তিলোত্তমাকে দেখার জন্য নিজের দেহে হাজার লাল চোখ বিকাশ করেছিল।[6][10] আরেক কিংবদন্তি বর্ণনা করেছেন যে, গৌতম মহর্ষি তার স্ত্রী অহল্যাকে প্ররোচিত করার জন্য ইন্দ্রকে অভিশাপ দিয়েছিলেন। গৌতম আদেশ দিয়েছিলেন যে ইন্দ্র তার শরীরে হাজার যোনির বিকাশ ঘটবে, তবে ইন্দ্র তিলোত্তামার দিকে দৃষ্টি দিলে এগুলি হাজার চোখে পরিণত হবে।[11]
মহাভারতের আরো একটি কাহিনিতে (ত্রয়োদশ অধ্যায়: অনুশাসনপর্ব) বর্ণিত রয়েছে যে, তিলোত্তমা শিবকে প্রলুব্ধ করতে আসে। তিনি তিলোত্তমাকে প্রদক্ষিণ করতেই আগ্রহী হওয়ায় শিবের চারটি দৃশ্যমান মুখের বিকাশ ঘটল, আরেকটি ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, শিব নিজেকে পাঁচ ব্রহ্মন্ হিসাবে তিলোত্তামার কাছে উপস্থাপন করেছিলেন, তার পাঁচটি মুখ (৪টি দৃশ্যমান, ১ অদৃশ্য) ছিল। পূর্ব দিকের মুখ বিশ্বজুড়ে তার সার্বভৌমত্বের ইঙ্গিত দেয়, উত্তর মুখ পার্বতীর সাথে মুখোমুখি, পশ্চিম মুখ প্রাণীদের সুখ নিশ্চিত করে; দক্ষিণ মুখ মহাবিশ্বকে ধ্বংস করতে এবং পঞ্চম মুখটি অদৃশ্য ছিল কারণ এটি তিলোত্তামার বোধগম্যতার বাইরে ছিল।[9][12][13] পুরাণের অন্য কিংবদন্তি বলছে, ব্রহ্মা তিলোত্তমাকে সৃষ্টি করেছিলেন এবং নিজেকে উত্সাহিত করতে। ব্রহ্মা তার নিজের মেয়ে তিলোত্তমার প্রতি আকাঙ্ক্ষা করেছিলেন এবং তাকে দেখার জন্য পাঁচটি মাথা তৈরি করেছিলেন। তখন ব্রহ্মা তিলোত্তমাকে শিবের আবাস কৈলাস পর্বতে তার সম্মুখে শ্রদ্ধা জানাতে প্রেরণ করেন। শিব তার দিকে তাকাচ্ছেন, কিন্তু তার স্ত্রী পার্বতী তার পাশে বসে ছিলেন বলে তাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হচ্ছিল। তিলোত্তমা শিবকে প্রদক্ষিণ করার সাথে সাথে তিনি তাকে দেখতে তার প্রতিটি দিকেই নিজের মাথা বাড়িয়ে দেন। ঐশ্বরিক ঋষি নারদ পার্বতীকে কটূক্তি করেছিলেন, "আপনি ভাবতে পারেন যে জ্ঞানী পুরুষদের দ্বারা তিরস্কৃত এই পতিতা সম্পর্কে শিব কী ভাবছেন"। উত্তেজিত হয়ে পার্বতী নিজের হাতে শিবের চোখ ঢেকে দিয়ে বিশ্বে অন্ধকারে নিমজ্জিত করলেন। শিব তখন মহাবিশ্বে পুনরায় আলো আনার জন্য তার তৃতীয় চোখের বিকাশ ঘটায়।[11]
অভিশপ্ত রাজা সহস্রণিক
কথাসরিৎসাগর, প্রথম-দ্বিতীয় শতাব্দীর পৈশাচী গ্রন্থ বৃহতকথার একাদশ শতাব্দীর সংস্কৃত অনুবাদে বলা হয়েছে যে, কীভাবে রাজা সহস্রণিককে তিলোত্তমা দ্বারা অভিশাপ দেওয়া হয়েছিল। রাজা যখন ইন্দ্রলোক থেকে তার রাজ্যে ফিরে যাচ্ছিলেন, তিলোওমা তাকে অপেক্ষা করতে বললেন যাতে তিনি একটি আকর্ষণীয় ঘটনা বলতে পারেন, তবে রাজা তার প্রণয়ী - অপ্সরা আলাম্বুসার চিন্তায় নিমগ্ন ছিলেন, তাই তিনি তিলোত্তমা যা বলেছিলেন তা উপেক্ষা করেছিলেন। এই আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে তিলোত্তমা রাজাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে, তিনি যাকে ভাবছিলেন তার থেকে পৃথক হয়ে পড়বেন - চৌদ্দ বছর ধরে।[14]
গতজন্ম এবং পুনর্জন্ম
পদ্মপুরাণে বর্ণিত রয়েছে যে, তিলোত্তমা তার গত জন্মে কুবজা নামে এক কুৎসিত বিধবা ছিলেন। কুবজা আট বছর ধরে সুপ্রসন্ন সমারোহ অনুষ্ঠান করতেন এবং অবশেষে মাঘ পূজা করতেন। এটি নিশ্চিত করে যে, তিনি তিলোত্তমা হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং অপ্সরারূপে স্বর্গে আবির্ভূত হয়েছেন।[15]
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে বর্ণিত রয়েছে যে, বলির পৌত্র সহসিকা তিলোত্তামা সহকারে ঋষি দুর্বাসার তপস্যায় বিঘ্ন ঘটিয়েছিলেন। ফলস্বরূপ, ঋষি সহসিকাকে গাধায় পরিণত করেছিলেন এবং তিলোত্তামাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন, বাণাসুরের কন্যা ঊষা হিসাবে জন্ম নিতে। ঊষা পরে কৃষ্ণের পৌপুত্র অনিরুদ্ধের স্ত্রী হন।[16]
জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে
মির্জাপুরের রাজা সাহেব ১৯৫১ সালে প্রথম তিলোত্তমা নামে তেলুগু লোককাহিনী চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছিলেন।[17] একই নামে ১৯৫৪ সালে হিন্দি ভাষায় বাবুভাই মিস্ত্রি চলচ্চিত্র নির্মান করেছেন। ১৯৬৬ সালে তিলোত্তমা নামে মালায়ালাম চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছিলেন কুনচিচকো।[18] ১৯৭৮ সালে দিনেন গুপ্ত পরিচালনা করেন বাংলা ভাষায় তিলোত্তমা।[19]
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- ওয়াগনার ও পারিখ ১৯৯৩, পৃ. ১০৪৪।
- রমন ১৯৩৮, পৃ. ১১৯।
- আয়ার ২০১৮।
- বুইটানেন ১৯৭৩, পৃ. ৩৯২।
- "তিলোত্তমা"। kidsgen.com। ১৬ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- Buitenen, Johannes Adrianus Bernardus (1978). The Mahābhārata. vol 1 University of Chicago Press Adi Parva (Book of Beginnings) Cantos 201-204. pp. 392-8
- বুইটানেন ১৯৭৩, পৃ. ৩৯৭।
- বুইটানেন ১৯৭৩, পৃ. ৩৯১।
- কলিন্স ১৯৮৮, পৃ. ৮৬।
- "The Mahabharata Book 1: Adi Parva SECTION CCXIII by Kisari Mohan Ganguli, tr.(1883-1896)"। ২১ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ও'ফ্লাহের্তি ১৯৮১, পৃ. ৮৪–৬, ২৯৪–৫।
- Of The Saivism, Volume 1 By Swami P. Anand, Swami Parmeshwaranand p. 116
- "The Mahabharata Book 13: Anusasana Parva SECTION CXLI by Kisari Mohan Ganguli, tr.(1883-1896)"। ৬ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ভারাদপাণ্ডে ২০০৫, পৃ. ১১৫।
- Williams, George Mason (২০০৩)। Handbook of Hindu mythology। ABC-CLIO। পৃষ্ঠা 282।
- Wilson, H H (সেপ্টেম্বর–ডিসেম্বর ১৮৩৩)। "Analysis of the Puranas: Brahma Vaiverita"। The Asiatic Journal and Monthly Register for British and Foreign India, China, and Australia। XII: 232।
- "তিলোত্তমা (১৯৫১)"। imdb.com। ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজ। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- "তিলোত্তমা (১৯৬৬)"। imdb.com। ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজ। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- "তিলোত্তমা (১৯৭৮)"। imdb.com। ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজ। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
সূত্র
- রমন, বারাধারাজ ভি (১৯৩৮)। "Names and Terms"। Bālakāṇḍa: Rāmāyaṇa as Literature and Cultural History (ইংরেজি ভাষায়) (১ম সংস্করণ)। পপুলার প্রকাশন। আইএসবিএন 817154746X।
- বুইটানেন, জে এ বি ভন (১৯৭৩)। "১(১৬.এ) সুন্দ ও উপাসুন্দের"। The Mahabharata, Volume 1: Book 1: The Book of the Beginning (ইংরেজি ভাষায়)। ফিনিক্স বুকস। আইএসবিএন 0226846636।
- ও'ফ্লাহের্তি, ওয়েন্ডি ডোনিগার ও'ফ্লাহের্তি (১৯৮১)। Siva: The Erotic Ascetic। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 9780199727933।
- কলিন্স, চার্লস ডিলার্ড (১৯৮৮)। The Iconography and Ritual of Siva at Elephanta: On Life, Illumination, and Being। সুনি প্রেস। আইএসবিএন 9780887067730।
- ভারাদপাণ্ডে, মনোহর লক্ষণ (২০০৫)। History of Indian Theatre: Classical theatre। অভিনব প্রকাশনা। আইএসবিএন 8170174309।
- আয়ার, টি.জি (২০১৮)। "৩১"। Immortal Bound: The Apsara Chronicles #1 (ইংরেজি ভাষায়) (পেপাব্যাক সংস্করণ)। ইনফাইনাইট ইন্ক বুকস। আইএসবিএন 0473429268।
- ওয়াগনার, হেন্ত ডাব্লিউ; পারিখ, এস এস (১৯৯৩)। "Mythology Grossery"। Allied Chambers transliterated Hindi-Hindi-English dictionary (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসবিএন 8186062106।