তিলিচো হ্রদ

তিলিচো হ্রদ নেপালের মনাঙ জেলায় অবস্থিত একটি সুউচ্চ হ্রদ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪,৯১৯ মিটার (১৬,১৩৮ ফিট) উচ্চতায় এই হ্রদের অবস্থান। নেপালের অন্নপূর্ণা পর্বত অঞ্চলে অবস্থিত তিলিচো হ্রদকে পৃথিবীর সর্বোচ্চ হ্রদ বিবেচনা করা হয়।[1] আরেকটি উৎস থেকে জানা যায়, তিলিচো হ্রদের উচ্চতা ৪,৯৪৯ মিটার (১৬,২৩৭ ফিট)।[2]

তিলিচো হ্রদ
তিলিচো হ্রদ
Location in Nepal
অবস্থানঅন্নপূর্ণা, নেপাল
স্থানাঙ্ক২৮°৪১′৩০″ উত্তর ৮৩°৫১′১০″ পূর্ব
ধরনGlacial lake
অববাহিকার দেশসমূহনেপাল
সর্বাধিক দৈর্ঘ্য4 km
সর্বাধিক প্রস্থ1.2 km
পৃষ্ঠতল অঞ্চল4.8 Sq.Km
গড় গভীরতা85 m
পানির আয়তন১৫৬ মিলিয়ন লিটার (স্বাদু পানি)
পৃষ্ঠতলীয় উচ্চতা৪৯১৯ মিটার

পর্বত আবৃত হ্রদ সমূহ ভূগোলবিদদের কাছে পর্বতমধ্যস্ত ছোট হ্রদ হিসেবে পরিচিত। এগুলো হিমবাহ দ্বারা তৈরি হয়। হিমালয় পর্বতমালার উচ্চ পৃষ্ঠে (সাধারণত ৫,৫০০ মিটার বা ১৮,০০০ ফিটের উপরে) এধরনের হ্রদগুলোর অবস্থান।

তিলিচো হ্রদ অন্নপূর্ণা সার্কিট ট্রেকের অন্তর্গত অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পর্যটন গন্তব্য। তবে প্রথাগত ট্রেকের বাইরে এই হ্রদ পরিদর্শনের জন্য পর্যটকদের অতিরিক্ত ৩-৪ দিন সময় লাগে। এই অতিরিক্ত ট্রেকে কোন ক্যাম্পিং-এর প্রয়োজন হয়না। মানাং থেকে তিলিচো হ্রদে যাওয়ার পথে বেশ কয়েকটি অতিথিশালা রয়েছে। মানাং থেকে তিলিচো বেস ক্যাম্পে পৌছার পর সাধারণত একদিনের ট্রেকেই হ্রদে পৌছানো যায়।

অন্নপূর্ণা সার্কিটের পর্যটকরা মানাং ও কালি গান্দাকি উপত্যকার সন্ধিস্থল পার হয়ে থরং লা অতিক্রম করে। তবে উত্তরদিক থেকে তিলিচো হ্রদে পৌছানোর পথ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই পথ অতিক্রম করা তুলনামূলকভাবে কষ্টসাধ্য এবং একদিনের ক্যাম্পিং প্রয়োজন। তিলিচো বেস ক্যাম্প-এর পরে কোন অতিথিশালা নেই। হ্রদ থেকে কালি গান্দাকি উপত্যকার থিনি গাওন গ্রামের পূর্ব পর্যন্ত কোন অতিথিশালা নেই। অধিকাংশ পর্যটকরা এপথে একরাতের ক্যাম্পিং করেন। থিনি গাওন এবং জমসম যাওয়ার দুইটি পথ রয়েছে: মেসোকান্ত লা এবং তিলিচো উত্তর বা তিলিচো ট্যুরিস্ট পাস। এই পথগুলো বছরের অনেক সময়েই অধিক তুষারপাতের কারণে বন্ধ হয়ে থাকে।

তিলিচো হ্রদ উচ্চ স্কুবা ডাইভিং-এর ক্ষেরে জনপ্রিয় একটি হ্রদ। ২০০০ সালে রাশিয়ার তিনজন স্কুবা ডাইভার অ্যান্দ্রে অ্যান্দ্রেয়ুশিন, ডেনিস বেকিন এবং ম্যাক্সিম গ্রেস্কো এই হ্রদে ডাইভিং করেন।[3]

তিলিচো হ্রদের চারদিকে রয়েছে সুউচ্চ পর্বত: তিলিচো পর্বত, নিলগিরি, খাংসার এবং মুক্তিনাথ শৃঙ্গ।

তথ্যসূত্র

  1. "Tilicho Lake Trek"। এপ্রিল ৩০, ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১২-০৭
  2. "The Highest Lake in the World"। ২০০৭-০৮-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১২-০৭
  3. "The Highest Lake in the World"। ২০০৭-০৮-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-২৫

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.