তিব্বতের শান্তিপূর্ণ মুক্তির সতেরো দফা চুক্তি
কেন্দ্রীয় গণ সরকার ও স্থানীয় তিব্বত সরকারের মধ্যে তিব্বতের শান্তিপূর্ণ মুক্তির পদক্ষেপের চুক্তি (সরলীকৃত চীনা: 中央人民政府和西藏地方政府关于和平解放西藏办法的协议; প্রথাগত চীনা: 中央人民政府和西藏地方政府關於和平解放西藏辦法的協議; ফিনিন: Zhōngyāng rénmín zhèngfǔ hé Xīzàng dìfāng zhèngfǔ guānyú hépíng jiěfàng Xīzàng bànfǎ de xiéyì তিব্বতি: བོད་ཞི་བས་བཅིངས་འགྲོལ་འབྱུང་ཐབས་སྐོར་གྱི་གྲོས་མཐུན་དོན་ཚན་བཅུ་བདུན་) বা সংক্ষেপে তিব্বতের শান্তিপূর্ণ মুক্তির সতেরো দফা চুক্তি বলতে কার্যতঃ স্বাধীন তিব্বতের রাষ্ট্রপ্রধান চতুর্দশ দলাই লামার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সদ্যপ্রতিষ্ঠিত গণচীন সরকারের ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাক্ষরিত চুক্তিকে বোঝানো হয়, যার ফলে তিব্বত গণচীনের অধীনে একটি স্বয়ংশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়।
চীনারা এই চুক্তিকে দুই দেশের সরকারের দ্বারা স্বীকৃত বা বৈধ হিসেবে ঘোষণা করলেও ভারতে নির্বাসিত কেন্দ্রীয় তিব্বতী প্রশাসন এই চুক্তিকে অবৈধ বলে গণ্য করে, কারণ তাদের মতে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক চাপের মধ্যে তিব্বতীরা এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছিলেন।[1]:১১৬,১১৭ চতুর্দশ দলাই লামা বেশ কয়েকবার এই চুক্তিকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।[2]
প্রেক্ষাপট
চীনের সামরিক বাহিনী ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসের ৬ ও ৭ তারিখ জিনশা নদী অতিক্রম করে।[3]:৩২ চীনা বাহিনী আক্রমণের সময় ঙ্গা-ফোদ-ঙ্গাগ-দ্বাং-'জিগ্স-'মেদ (ওয়াইলি: nga phod ngag dbang 'jigs med) নামক চামদো অঞ্চলের তিব্বতী সেনার সর্বাধিনায়ককে বন্দী করে। পরে তাকে মুক্ত করে চতুর্দশ দলাই লামার নিকট মধ্যস্থতার জন্য পাঠানো হয়। চীনাদের তরফ থেকে জানানো হয় যে, তিব্বতকে শান্তিপূর্ণভাবে মুক্তি দেওয়া হলে তিব্বতী অভিজাতদের তাদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি বজায় রাখতে দেওয়া হবে।[4]:৩০৬ এরপর তিব্বত সরকার তাদের পক্ষ থেকে বেইজিং শহরে তাদের প্রতিনিধিদল পাঠাতে সম্মত হন। তিব্বতী প্রতিনিধিদল বেইজিং পৌছলে তাদেরকে তিব্বতের শান্তিপূর্ণ মুক্তির সতেরো দফা চুক্তি নামক একটি পূর্বপ্রস্তুত চুক্তি প্রদান করা হয়। চীনের তরফ থেকে মধ্যস্থতার কোন বার্তা না থাকলেও তারা তিব্বতকে চীনের অংশ হিসেবে রেখে তিব্বতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সংস্কারব্যবস্থা তিব্বতীদের হাতে রাখার কথা বলেন। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্বাক্ষরের পূর্বে তিব্বতী প্রতিনিধিদলকে তাদের সরকারের সঙ্গে আলোচনার কোন সুযোগ দেওয়া হয় না এবং ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দের ২৩শে মে তারা এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন।[1]:১১৩-১১৬
চুক্তির পাণ্ডুলিপি
চুক্তির সতেরো দফা বক্তব্য
এই চুক্তির সতেরো দফা বক্তব্য নিম্নে উল্লিখিত হল-
- তিব্বতী জনগণ একত্র হয়ে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসী শক্তিগুলিকে তিব্বত থেকে বিতাড়ণ করবে; তিব্বতী জনগণ মাতৃভূমি গণ প্রজাতন্ত্রী চীনের পরিবারভুক্ত হবে।
- তিব্বতের স্থানীয় প্রশাসন গণমুক্তি ফৌজকে তিবতকে প্রবেশ করতে ও জাতীয় প্রতিরক্ষা সংগঠিত করতে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করবে
- চীনের জনগণের রাজনৈতিক উপদেষ্টা কমিটির সাধারণ কর্মসূচীতে লিপিবদ্ধ নীতিমালা অনুসারে, গণ প্রজাতন্ত্রী চীন সরকারের অধীনে থেকে তিব্বতী জনগণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের অধিকার উপভোগ করতে পারবে।
- কেন্দ্রীয় প্রশাসন তিব্বতের প্রচলিত রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করবে না। কেন্দ্রীয় প্রশাসন দলাই লামার রাজনৈতিক অবস্থান, কার্যক্ষমতা ও প্রতিপত্তিকে অপরিবর্তিত রাখবে। বিভিন্ন পদের আধিকারিকরা তাদের পদ থেকে বিচ্যুত হবেন না।
- পাঞ্চেন লামার রাজনৈতিক অবস্থান, কার্যক্ষমতা ও প্রতিপত্তিকে অপরিবর্তিত রাখা হবে।
- দলাই লামা ও পাঞ্চেন লামার রাজনৈতিক অবস্থান, কার্যক্ষমতা ও প্রতিপত্তি বলতে ত্রয়োদশ দলাই লামা ও নবম পাঞ্চেন লামার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সময়ের রাজনৈতিক অবস্থান, কার্যক্ষমতা ও প্রতিপত্তি বোঝানো হয়েছে।
- চীনের জনগণের রাজনৈতিক উপদেষ্টা কমিটির সাধারণ কর্মসূচীতে লিপিবদ্ধ ধর্মীয় বিশ্বাসের স্বাধীনতার নীতিমালা অনুসারে, তিব্বতী জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস, আচার, অনুষ্ঠানকে সম্মান করা হবে এবং বৌদ্ধবিহারগুলিকে রক্ষা করা হবে। কেন্দ্রীয় প্রশাসন বৌদ্ধবিহারগুলির আয়ের পদ্ধতিগুলিকে পরিবর্তন করবে না।
- তিব্বতী সেনাবাহিনীকে গণমুক্তি ফৌজে ধীরে ধীরে পুনঃসংগঠিত করা হবে এবং গণ প্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে পরিণত করা হবে।
- তিব্বতের প্রকৃত অবস্থা অনুযায়ী তিব্বতী জাতির কথ্য ও লেখ্য ভাষা এবং বিদ্যালয় শিক্ষাকে ধীরে ধীরে উন্নত করা হবে
- তিব্বতের প্রকৃত অবস্থা অনুযায়ী তিব্বতী কৃষি, পশুপালন, শিল্প ও বাণিজ্যকে ধীরে ধীরে উন্নত করা হবে এবং জনগণের জীবনপ্রণালী ধীরে ধীরে উন্নত করা হবে।
- তিব্বতের বিভিন্ন ধরনের সংস্কারের কাজে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের কোন বাধ্যবাধকতা থাকবে না। তিব্বতের স্থানীয় সরকার আপন নীতি অনুসারে সংস্কার কাজ করবে এবং জনগণের পক্ষ থেকে সংস্কারের দাবী উঠলে তিব্বতের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সেগুলির নিষ্পত্তি করা হবে।
- সাম্রাজ্যবাদী ও কুয়োমিনতাংপন্থী আধিকারিকরা সাম্রাজ্যবাদ ও কুয়োমিনতাংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলে ও কোন ধরনের প্রতিরোধ বা রাষ্ট্রদ্রোহে যুক্ত না হলে, তারা তাদের পদে আসীন থাকতে পারবেন।
- তিব্বতে গণমুক্তি ফৌজে উপরি উক্ত সকল নীতি পালন করবেন এবং ক্রয়বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সৎ হবেন এবং জনগণের নিকট হতে একটি ছুঁচ বা সুতোও কখনো নেবেন না।
- গণ প্রজাতন্ত্রী চীন সরকার তিব্বতের বৈদেশিক সম্পর্ক কেন্দ্রীভূত ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে; এবং সাম্য, পারস্পরিক লাভ এবং অধিকৃত অঞ্চল ও সার্বভৌমত্বের প্রতি পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করবে।
- এই চুক্তি কার্যকর করার জন্য গণ প্রজাতন্ত্রী চীন সরকার তিব্বতে একটি সামরিক ও প্রশাসনিক সমিতি এবং সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করবে এবং গণ প্রজাতন্ত্রী চীন সরকার দ্বারা প্রেরিত লোকবল ছাড়াও যতদূর সম্ভব স্থানীয় তিব্বতীদের এই কাজে নিয়োগ করা হবে। সামরিক ও প্রশাসনিক সমিতিতে অংশগ্রহণের জন্য তিব্বতের স্থানীয় সরকার, বিভিন্ন প্রদেশ ও বিভিন্ন মুখ্য বৌদ্ধবিহার থেকে দেশপ্রেমী তিব্বতীদের নেওয়া হতে পারে; তাদের নামের তালিকা গণ প্রজাতন্ত্রী চীন সরকারের নিয়োজিত প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে স্থির করা হবে এবং গণ প্রজাতন্ত্রী চীন সরকারের নিকট নিয়োগের জন্য পাঠানো হবে।
- সামরিক ও প্রশাসনিক সমিতি, সামরিক ঘাঁটি এবং গণমুক্তি ফৌজের ব্যয়ভার গণ প্রজাতন্ত্রী চীন সরকার বহন করবে। তিব্বতের স্থানীয় সরকার গণমুক্তি ফৌজকে খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় ও পরিবহনে সহায়তা করবে।
- স্বাক্ষর ও শীলমোহর দেওয়ার ঠিক পর থেকে এই চুক্তি কার্যকর হবে।
স্বাক্ষর ও সমর্থন
১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দের ২৩শে মে বেইজিং শহরে তিব্বতীদের পক্ষ থেকে ঙ্গা-ফোদ-ঙ্গাগ-দ্বাং-'জিগ্স-'মেদ, ব্সোদ-নাম্স-দ্বাং-'দুস (ওয়াইলি: bsod nams dbang 'dus), ব্সাম-'ফো-ব্স্তান-'দ্জিন-দোন-গ্রুব (ওয়াইলি: bsam pho bstan 'dzin don grub), ল্হা'উ-র্তা-রা-থুব-ব্স্তান-ব্স্তান-দার (ওয়াইলি: lha'u rta ra thub bstan bstan dar) এবং চীনাদের পক্ষ থেকে লি ওয়েইহান, ছাং ছিন-ঊ, ঝাং গুয়োহুয়া, সুন-ছিয়ুয়ান এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। কয়েক মাস পরে তিব্বত সরকার দ্বারা তা নিশ্চিত করা হয়।[5]:৮১২,৮১৩ কেন্দ্রীয় তিব্বতী প্রশাসন অনুসারে, তিব্বতী মন্ত্রীসভার কিছু সদস্য এই চুক্তি সমর্থন করতে পারেননি,[n 1] কিন্তু তিব্বতের জাতীয় পরিষদ যে অপরিসীম চাপের মধ্যে তিব্বতী প্রতিনিধিদলকে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হয়েছে, তা দ্বীকার করে নিয়ে তিব্বত সরকারকে এই চুক্তি সমর্থন করতে অনুরোধ করেন।[7] ২৪শে অক্টোবর চতুর্দশ দলাই লামা বেইজিংয়ে একটি টেলিগ্রাম বার্তা পাঠিয়ে এই চুক্তি সমর্থন করে গণ প্রজাতন্ত্রী চীনের অধীনতা স্বীকার করে নেন।[3]:৯০
বৈধতা
তিব্বতী প্রতিনিধিদলকে চাপের মুখে চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয় এবং চীনারা তিব্বত সরকারের নকল শীলমোহর ব্যবহার করেছিলেন, এই অভিযোগ করে ভারতে নির্বাসিত কেন্দ্রীয় তিব্বতী প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরবর্তীকালে এই চুক্তিকে অবৈধ বলে দাবী করা হয়। নির্বাসিত তিব্বতীদের পক্ষে থেকে যুক্তি দেখানো হয়ে থাকে যে, রিব্বতী প্রতিনিধিদলকে এই চুক্তির কোন অংশে কোন পরিবর্তন করার এবং লাসার তিব্বত সরকারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করার কোন অনুমতি ছিল না।[1]:১১৩-১১৬ কিন্তু তিব্বতী মধ্যস্থতাকারীদের বক্তব্য থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তিব্বতবিদ মেল্ভিন গোল্ডস্টেইন এই ব্যাপারে ভিন্ন মত ব্যক্ত করেছেন। তার মতে, চীনারা তিব্বত সরকারের নকল শীলমোহর ব্যবহার করেননি, বরং প্রতিটি সদস্যের নামাঙ্কিত ব্যক্তিগত শীলমোহরের ব্যবস্থা করেছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষরিত না হলে চীনা সেনাপতিরা মধ্য তিব্বতে সেনা অভিযানের হুমকি দিলেও তিব্বতী প্রতিনিধিদলের কোন শারীরিক ক্ষতিসাধন না করায়, তার মতে আন্তর্জাতিক নিয়মানুসারে চাপের মুখে স্বাক্ষর করার তিব্বতী যুক্তি এই চুক্তিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করা যায় না। কিন্তু স্বাক্ষরকারীদের এই চুক্তি সম্পাদনার সম্পূর্ণ অধিকার না থাকায়, এই চুক্তির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।[8][n 2] ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে মার্চ চতুর্দশ দলাই লামা ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় তার সরকারকে তিব্বতের একমাত্র বৈধ সরকার ঘোষণা করে এই চুক্তিকে অবৈধ ঘোষণা করেন।[10] ঞ্চীন এই চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে এই অভিযোগে ঐ বছরের ২০শে জুন তিনি মুসৌরি শহরে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে পুনরায় এই চুক্তিকে অবৈধ ঘোষণা করেন।[2]
পাদটীকা
- In 1952 Lukhangwa told Chinese Representative Zhang Jingwu "It was absurd to refer to the terms of the Seventeen-Point Agreement. Our people did not accept the agreement and the Chinese themselves had repeatedly broken the terms of it. Their army was still in occupation of eastern Tibet; the area had not been returned to the government of Tibet, as it should have been."[6]
- The Chinese did make new seals for the Tibetans, but these were just personal seals with each delegate's name carved on them. Other than this, there were no forged government seals. Part of the confusion derives from the fact that Ngabo had in his possession the seal of the governor of Eastern Tibet but chose not to use it. That seal, however, was not the official seal of the Tibetan government, so not using it did not lessen the validity of the agreement. In his autobiography, the Dalai Lama states that the Tibetan delegates claimed they were forced 'under duress' to sign the agreement...
Their feeling of duress derives from the general Chinese threat to use military force again in Central Tibet if an agreement was not concluded. However, according to international law, this does not invalidate an agreement. So long as there is no physical violence against the signatories, an agreement is valid. However, the validity of the agreement is premised on the signatories' full authority to finalize an agreement, and this, as we saw was clearly not the case. So in this sense, the Dalai Lama actually had grounds to disavow it.[9]
তথ্যসূত্র
- Powers, John. History as Propaganda: Tibetan Exiles versus the People's Republic of China (2004) Oxford University Press. আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫১৭৪২৬-৭
- Tenzin Gyatso, Freedom in Exile Harper San Francisco, 1991
- Shakya, Tsering. The Dragon In The Land Of Snows (1999) Columbia University Press. আইএসবিএন ০-২৩১-১১৮১৪-৭
- Laird, Thomas. The Story of Tibet: Conversations with the Dalai Lama (2006) Grove Press. আইএসবিএন ০-৮০২১-১৮২৭-৫
- Goldstein, Melvyn C. A History of Modern Tibet, 1913–1951: The Demise of the Lamaist State (1989) University of California Press. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫২০-০৬১৪০-৮
- My Land and My People, Dalai Lama, New York, 1992, p.95
- ""The 17-Point Agreement" The full story as revealed by the Tibetans and Chinese who were involved"। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৫।
- Kuzmin, S.L. Hidden Tibet: History of Independence and Occupation. Dharamsala, LTWA, 2011, pp. 184-187.
- Goldstein, Melvyn C., A History of Modern Tibet (Vol 2): A Calm before the Storm: 1951–1959, 2007, pp. 106–107
- Michel Peissel, "The Cavaliers of Kham, the secret war in Tibet" London: Heinemann 1972, and Boston: Little, Brown & Co. 1973