তিতাবড়

তিতাবড় (ইংরেজি: Titabor; অসমীয়া: তিতাবর) অসমের যোরহাট জেলার মহকুমা। যোরহাট থেকে ২০কি:মি: দূরত্বে অবস্থিত তিতাবড় ধান উৎপাদনের বিখ্যাত। এশিয়ার বৃহত্তম ধান গবেষণা কেন্দ্র এই অঞ্চলেই অবস্থিত। তিতাবড়ের উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে: জিলা শিক্ষা আরু প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, রেশম মহাবিদ্যালয় ইত্যাদি। এই শহরের পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে ধোদর আলি বিস্তৃত।

তিতাবড়
তিতাবড়
আসাম, ভারতে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৬.৬০° উত্তর ৯৪.২০° পূর্ব / 26.60; 94.20
দেশ ভারত
রাজ্যআসাম
জেলাযোরহাট জেলা


latd = 26.60
উচ্চতা১৭২ মিটার (৫৬৪ ফুট)
জনসংখ্যা (২০০১)
  মোট৭,৪৫০
Languages
  OfficialAssamese
সময় অঞ্চলIST (ইউটিসি+5:30)
পিন৭৮৫৬৩০
Telephone code০৩৭৬
যানবাহন নিবন্ধনAS-০৩
থেংগাল ভবন


নামের ব্যুৎপত্তি

প্রবাদ মতে তিতারাম নামক একজন দরিদ্র প্রেমী ও অতিথি পরায়ণ ব্যক্তি ছিলেন। তার গৃহের সন্মুখে বৃহৎ বট গাছ ছিল। অসমীয়া ভাষায় বট গাছকে বড় গছ বলে। পথিকেরা বট গাছের নিচে আশ্রয় গ্রহণ করে তিতারামের ঠাণ্ডা জল ও সরবত পান করে তৃপ্তি লাভ করিতেন। কালক্রমে তিতারাম ও তার বড় গাছের নাম থেকে তিতারামবড় ও অবশেষে তিতাবড় নামের উৎপত্তি হয়।[1]

ইতিহাস

১৯৫৯ সনে নগর হিসেবে তিতাবড় নগর গঠিত হয়। পুর্বে তিতাবড় যোরহাট মহকুমার অন্তর্গত ছিল। কিন্তু তরুণ গগৈ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তিতাবড়কে যোরহাট জেলার নতুন মহকুমা রুপে ঘোষণা করেন।

ভৌগোলিক অবস্থান

তিতাবড়ের স্থানাংক ২৬.৬০° উত্তর ৯৪.২০° পূর্ব / 26.60; 94.20 ও গড় উচ্চতা ১৭২ মিটার। ২০০১ সনের লোকগণনা অনুযায়ী তিতাবড়ের জনসংখ্যা ৭৮৪০ জন।[2]

প্রশাসন

তিতাবড় যোরহাট লোকসভা সমষ্টির অন্তর্গত। তিতাবড় বিধান সমষ্টির বিধায়ক হচ্ছেন বর্তমান অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। তিনি ২০০১ সন থেকে ক্রমে তিনবার তিতাবড় সমষ্টির বিধায়ক রুপে নির্বাচিত হয়েছেন।।[3]

যাতায়ত

তিতাবড় অঞ্চলের পূর্ব থেকে পশ্চিম দিক পর্যন্ত ঐতিহাসিক ধোদর আলি বিস্তৃত। নিকটবর্তী বরৈয়া বিমানবন্দর থেকে তিতাবড়ের দূরত্ব প্রায় ১৬ কি:মি[4]

অর্থনীতি

কৃষি

তিতাবড়ের স্থানীয় লোকদের প্রধান জীবিকা হচ্ছে কৃষিকার্য। প্রধান শস্য হচ্ছে চা ও ধান। এখানে উৎপাদিত ধানের চাহিদা সমগ্র অসমে রয়েছে।

উদ্যোগ

তিতাবড় অঞ্চল থেকে তিনি কি:মি: দূরত্বে ধলি নদির পাড়ে পঞ্চরত্ন সিমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি সিমেন্টর উদ্যোগ রয়েছে। পানবাড়ি, রঙাজান ও ডফলাটিং নামক স্থানে চা পাতার কারখানা রয়েছে।

তথ্যসূত্র

  1. ভোলনাথ শর্মা (৫৬১ শঙ্করাব্দ, ২০১০ খ্রীষ্টাব্দ)। "তিতাবরত শিক্ষার বিকাশ: এটি সমীক্ষাত্মক ইতিহাস"। ভকতি প্রসাদ, শ্রীমন্ত শংকরদেৱ সংঘ: ঊনাশীতিতম বার্ষিক অধিৱেশনর স্মৃতিগ্রন্থ: ২৪, ২৫, ২৮ পৃষ্ঠা। অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  2. "ভারতর ২০০১ চনর লোক গণনা"। Archived from the original on ১৬ জুন ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ নৱেম্বর ২২ অজানা প্যারামিটার |accessyear= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  3. "List of Parliamentary & Assembly Constituencies" (পিডিএফ)Assam। Election Commission of India। ২০০৬-০৫-০৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-০৬
  4. "ররৈয়া বিমানবন্দর"। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৮, ২০১২
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.