তাহের আহমেদ
এই নিবন্ধটি রিয়ার তাহের আহমেদ সম্পর্কিত। অন্য ব্যবহারের জন্য, দেখুন আবু তাহের (দ্ব্যর্থতা নিরসন)
তাহের আহমেদ | |
---|---|
জন্ম | চাটখিল, নোয়াখালী | ১ ডিসেম্বর ১৯৫০
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | ![]() ![]() |
পরিচিতির কারণ | বীর প্রতীক |
তাহের আহমেদ (জন্ম: ১ ডিসেম্বর, ১৯৫০–মৃত্যু: ৪ জুলাই, ২০২০ ) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। [1]
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
তাহের আহমেদ'র পৈতৃক বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার নিজ ভাওরে গ্রামে। তার বাবার নাম সাইদুর রহমান এবং মায়ের নাম তহুরুন নাহার, স্ত্রী: আনজুমা আখতার। ।
কর্মজীবন
১৯৭১ সালে তাহের আহমেদ ঢাকা কলেজে পড়াশোনা করতেন [ স্বাধীনতার পর তাহের আহমেদ [ সেনাবাহিনীতেই থেকে যান।[১৯৮০]মেজর পদ থেকে অবসর নেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের কাছে বুরেরচরের যুদ্ধে তাহের আহমেদ যথেষ্ট রণকৌশল প্রদর্শন করেন। তার নেতৃত্বে সেখানে জামালপুরের বেগুনবাড়ি সেতু ধ্বংসের উদ্দেশ্যে একদল মুক্তিযোদ্ধা অবস্থান নিয়েছিলেন সেখানে। সেই সময় ট্রেনে একদল পাকিস্তানি সেনা আসলে তিনি আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। পরিকল্পনামতো বেলা ১১টায় তারা একযোগে পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণ করেন এবং বিকেল পর্যন্ত যুধের পর পাকিস্তানি সেনারা পালিয়ে নদীর পাড়ে সমবেত হয়। এই সময় তাহের আহমেদ একটি কৌশল প্রয়োগ করেন। তাহের আহমেদের নির্দেশে কয়েকজন গ্রামবাসী নৌকায় করে পাকিস্তানি সেনাদের পার করে দেওয়ার অভিনয় করেন, নৌকা মাঝনদীতে যাওয়ামাত্র গ্রামবাসীরা তার সঙ্কেতে জলে ডুব দেন। তখন মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাদের ওপর আক্রমণ চালালে পাকিস্তানি সেনারা এই অতর্কিত আক্রমণে নিহত হয়।[2]
পুরস্কার ও সম্মাননা
তথ্যসূত্র
- দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"| তারিখ: ৪-০৩-২০১২ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৭-১২-১৭ তারিখে"স্বপ্ন '৭১ (মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক পত্রিকা)"। মুক্ত আসর। সেপ্টেম্বর ২০১২, ডিসেম্বর ২০১৩। পৃষ্ঠা ৪৮ & ৫৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (দ্বিতীয় খন্ড)। প্রথমা প্রকাশন। মার্চ ২০১৩। পৃষ্ঠা ৩৬। আইএসবিএন 9789849025375।
পাদটীকা
- এই নিবন্ধে দৈনিক প্রথম আলোতে ১৩-০২-২০১২ তারিখে প্রকাশিত তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না প্রতিবেদন থেকে লেখা অনুলিপি করা হয়েছে। যা দৈনিক প্রথম আলো ক্রিয়েটিভ কমন্স অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ার-এলাইক ৩.০ আন্তর্জাতিক লাইসেন্সে উইকিপিডিয়ায় অবমুক্ত করেছে (অনুমতিপত্র)। প্রতিবেদনগুলি দৈনিক প্রথম আলোর মুক্তিযুদ্ধ ট্রাস্টের পক্ষে গ্রন্থনা করেছেন রাশেদুর রহমান (যিনি তারা রহমান নামেও পরিচিত)।