তাহিতি জাতীয় ফুটবল দল
তাহিতি জাতীয় ফুটবল দল (ফরাসি: Équipe nationale de football de Tahiti, ইংরেজি: Tahiti national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাহিতির প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম তাহিতির ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাহিতীয় ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।[3][4][5][6] এই দলটি ১৯৯০ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং একই বছর হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা ওশেনিয়া ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৫২ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর তারিখে, তাহিতি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; তাহিতির পাপেতেতে-এ অনুষ্ঠিত তাহিতি ফরাসি পলিনেশিয়া হিসেবে নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার উক্ত ম্যাচটি ২–২ গোলে ড্র হয়েছে।
ডাকনাম | তোয়া আইতো | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | তাহিতীয় ফুটবল ফেডারেশন | ||
কনফেডারেশন | ওএফসি (ওশেনিয়া) | ||
প্রধান কোচ | সামুয়েল গার্সিয়া | ||
অধিনায়ক | স্তানলি আতানি | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | আঙ্গেলো চেন (৩৪) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | তেয়ানুই তেহাও (২৪) | ||
মাঠ | পাতের তে হোনো নুই স্টেডিয়াম | ||
ফিফা কোড | TAH | ||
ওয়েবসাইট | www | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ১৬৪ ৫ (৩১ মার্চ ২০২২)[1] | ||
সর্বোচ্চ | ১১১ (আগস্ট ২০০২) | ||
সর্বনিম্ন | ১৯৬ (এপ্রিল–মে ২০১৬) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ১৬৯ ৭ (৩০ এপ্রিল ২০২২)[2] | ||
সর্বোচ্চ | ৪৫ (সেপ্টেম্বর ১৯৮৩) | ||
সর্বনিম্ন | ১৬৭ (সেপ্টেম্বর ২০১১) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
ফরাসি পলিনেশিয়া ২–২ নিউজিল্যান্ড (পাপেতেতে, তাহিতি; ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৫২) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
তাহিতি ৩০–০ কুক দ্বীপপুঞ্জ (পাপেতেতে, তাহিতি; ২ সেপ্টেম্বর ১৯৭১) | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
নিউজিল্যান্ড ১০–০ তাহিতি (অ্যাডিলেড, অস্ট্রেলিয়া; ৪ জুন ২০০৪) স্পেন ১০–০ তাহিতি (রিউ দি জানেইরু, ব্রাজিল; ২০ জুন ২০১৩) | |||
ওএফসি নেশন্স কাপ | |||
অংশগ্রহণ | ৯ (১৯৭৩-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | চ্যাম্পিয়ন (২০১২) | ||
কনফেডারেশন্স কাপ | |||
অংশগ্রহণ | ১ (২০১৩-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | গ্রুপ পর্ব (২০১৩) |
১১,৭০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট পাতের তে হোনো নুই স্টেডিয়ামে তোয়া আইতো নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় ফরাসি পলিনেশিয়ার পিরায়ে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন সামুয়েল গার্সিয়া এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন তেফানার মধ্যমাঠের খেলোয়াড় স্তানলি আতানি।
তাহিতি এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, ওএফসি নেশন্স কাপে তাহিতি অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ১টি (২০১২) শিরোপা জয়লাভ করেছে। এছাড়াও, তাহিতি ২০১৩ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করেছে।
আঙ্গেলো চেন, তেয়ানুই তেহাও, হেইমানো বোরেবারে, ফেলিক্স তাগাওয়া এবং নেয়া বেনেটের মতো খেলোয়াড়গণ তাহিতির জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
ইতিহাস
১৯৫২ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর তারিখে তাহিতি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রথম ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করে। নিজ মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলাটি ২–২ গোলে ড্র হয়েছিল। এর সাতদিন পর পুনরায় দলদ্বয় একে অপরের মুখোমুখি হয়, যেখানে নিউজিল্যান্ড ৫–৩ গোলে জয়ী হয়। ৩০শে সেপ্টেম্বর তারিখে তৃতীয়বারের মতো একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে নামে উভয় দল। ২–০ ব্যবধানে জয়ী হয়ে তাহিতি তাদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জয়ের স্বাদ লাভ করে। কিন্তু, এখনো পর্যন্ত অজানা যে, খেলাটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ছিল কি-না![7]
১৯৫৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। নতুন ক্যালিডোনিয়ায় তাহিতি নতুন ক্যালিডোনিয়ার বিপক্ষে তিনটি খেলায় অংশ নয়। প্রথম খেলায় ৫–০ এবং পরবর্তী দুই খেলায় ৪–১ ব্যবধানে জয়ী হয় দলটি। এরপর তারা নতুন হেব্রিডিজ (যা বর্তমানে ভানুয়াতু নামে পরিচিত) সফরে যায় এবং ভানুয়াতুর বিরুদ্ধে দুইটি খেলায় ৪–২ ব্যবধানে বিজয় লাভ করেছিল।
ওএফসি নেশন্স কাপ
সলোমন দ্বীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিত ২০১২ ওএফসি নেশন্স কাপে স্বাগতিক সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, নিউজিল্যান্ড, নতুন ক্যালিডোনিয়া, ভানুয়াতু, তাহিতি, ফিজি, পাপুয়া নিউগিনি এবং সামোয়া অংশগ্রহণ করে। লসন তামা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে তাহিতি নতুন ক্যালিডোনিয়াকে স্টিভি ছং হুয়ের বিজয়সূচক গোলে ১–০ ব্যবধানে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। এ জয়ের ফলে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের পর একমাত্র দল হিসেবে ওএফসি নেশন্স কাপ জয়লাভ করে।[8] পাশাপাশি দলটি ২০১৩ সালের ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করে।
কোচদের তালিকা
- ফ্রঁসোয়া বের্মোদোঁ (১৯৭৩)
- উম্বের্তো মত্তিনি (১৯৯৫–১৯৯৬)
- জেরার কোতে (১৯৯৬)
- রিচার ভঁসাম (১৯৯৭)
- আল্যাঁ রুসেও/এদি রুসেও (১৯৯৭–১৯৯৮)
- লিওন গার্ডিকিওটিস (১৯৯৯–২০০০)
- পাত্রিক জেকমেত (২০০১–২০০২)
- জেরার কোতে (২০০৪–২০০৭)
- এদি এতেতা (২০১০–২০১৫)
- পাত্রিস ফ্লাকাদরি (২০১৫)
- লুদোভিচ গ্রোগনার (২০১৫–২০১৮)
- নেয়া বেনেট (২০১৮–২০১৯)
- সামুয়েল গার্সিয়া (২০১৯–বর্তমান)
র্যাঙ্কিং
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ২০০২ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তাহিতি তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (১১১তম) অর্জন করে এবং ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৯৬তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে তাহিতির সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৪৫তম (যা তারা ১৯৮৩ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৬৭। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
|
|
প্রতিযোগিতামূলক তথ্য
ফিফা বিশ্বকাপ
ফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | |
১৯৩০ | প্রতিষ্ঠিত হয়নি | প্রতিষ্ঠিত হয়নি | |||||||||||||
১৯৩৪ | |||||||||||||||
১৯৩৮ | |||||||||||||||
১৯৫০ | |||||||||||||||
১৯৫৪ | |||||||||||||||
১৯৫৮ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
১৯৬২ | |||||||||||||||
১৯৬৬ | |||||||||||||||
১৯৭০ | |||||||||||||||
১৯৭৪ | |||||||||||||||
১৯৭৮ | |||||||||||||||
১৯৮২ | |||||||||||||||
১৯৮৬ | |||||||||||||||
১৯৯০ | |||||||||||||||
১৯৯৪ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৪ | ১ | ১ | ২ | ৫ | ৮ | ||||||||
১৯৯৮ | ৪ | ০ | ১ | ৩ | ২ | ১২ | |||||||||
২০০২ | ৪ | ৩ | ০ | ১ | ১৪ | ৬ | |||||||||
২০০৬ | ৯ | ৩ | ২ | ৪ | ৭ | ২৫ | |||||||||
২০১০ | ৪ | ১ | ১ | ২ | ২ | ৬ | |||||||||
২০১৪ | ১১ | ৬ | ০ | ৫ | ২২ | ১৭ | |||||||||
২০১৮ | ৭ | ৩ | ২ | ২ | ১৪ | ৭ | |||||||||
২০২২ | অনির্ধারিত | অনির্ধারিত | |||||||||||||
মোট | ০/২১ | ৪৩ | ১৭ | ৭ | ১৯ | ৬৫ | ৮১ |
ওএফসি নেশন্স কাপ
ওএফসি নেশন্স কাপ রেকর্ড | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | খেলা | জয় | ড্র | পরাজয় | গোল | বিপক্ষে |
১৯৭৩ | রানার-আপ | ২য় | ৫ | ২ | ২ | ১ | ৭ | ৪ |
১৯৮০ | রানার-আপ | ২য় | ৪ | 3 | ০ | ১ | ২৩ | ৯ |
১৯৯৬ | রানার-আপ | ২য় | ৪ | ৪ | ০ | ৩ | ৩ | ১২ |
১৯৯৮ | চতুর্থ স্থান | ৪র্থ | ৪ | ২ | ০ | ২ | ৮ | ১০ |
২০০০ | গ্রুপ পর্ব | ৫ম | ২ | ০ | ০ | ২ | ২ | ৫ |
২০০২ | তৃতীয় স্থান | ৩য় | ৫ | ৩ | ০ | ২ | ৮ | ৯ |
২০০৪ | গ্রুপ পর্ব | ৫ম | ৫ | ১ | ১ | ৩ | ২ | ২৪ |
২০০৮ | যোগ্যতা অর্জন করেনি | |||||||
২০১২ | চ্যাম্পিয়ন | ১ম | ৫ | ৫ | ০ | ০ | ২০ | ৫ |
সর্বমোট | ৮/৯ | ২৯ | ২০ | ৩ | ১৪ | ৫৪ | ৭৩ | |
তথ্যসূত্র
- "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র্যাঙ্কিং"। ফিফা। ৩১ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২২।
- গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"। eloratings.net। ৩০ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২।
- "Trophies in paradise"। The Football Ramble। ২ অক্টোবর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৩।
- "Tahiti ready for Confederations Cup"। The Scotsman। ৯ জুন ২০১৩। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৩।
- "IN THE LAND OF GIANTS – Tahiti set for Confederations Cup adventure"। Football Republik। ১৪ জুন ২০১৩। ২৪ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৩।
- "Tahiti national football team"। Road To Brazil। ৫ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৩।
- http://rsssf.com/tablest/tahiti-intres.html
- "Glorious Tahiti claim maiden Oceania crown"। FIFA.com। ১০ জুন ২০১২। ৮ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১২।
বহিঃসংযোগ
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি)
- ফিফা-এ তাহিতি জাতীয় ফুটবল দল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে (ইংরেজি)
- ওএফসি-এ তাহিতি জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি)