তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমী

তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমী বাংলাদেশের বরগুনা জেলার উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এ বিদ্যালয়টি টানা নয় বছর বরগুনা জেলার সেরা বিদ্যালয় নির্বাচিত[5] এবং প্রায় প্রতি বছর বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সেরা দশ বিদ্যালয়ে জায়গা করে নেয়।[3][6][7][8]

তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমী
ঠিকানা
Map
কলেজ রোড


,
৮৭২০

তথ্য
নীতিবাক্যশিক্ষার জন্য এসো, সেবার তরে যাও।
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৯৫
প্রতিষ্ঠাতামল্লিক মোহাম্মদ আইউব[1]
ইআইআইএন১০০৩০৬
অধ্যক্ষআবুল বাশার আজাদ[2]
শিক্ষকমণ্ডলীমোটঃ ৩০, মাধ্যমিক পর্যায়ঃ ১১ [2]
শ্রেণী১-১০
বয়সসীমা৫-১৬
শিক্ষার্থী সংখ্যামোটঃ ৯০০[3] মাধ্যমিক পর্যায়ঃ ৪০৫[4]
ভাষাবাংলা
ক্যাম্পাসপাথরঘাটা, বরগুনা
ক্যাম্পাসের ধরনউপশহর
ক্রীড়াফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, হ্যান্ডবল
Communities servedস্কাউট দল
শিক্ষা বোর্ডবরিশাল শিক্ষা বোর্ড

প্রতিষ্ঠাকাল

বিদ্যালয়টি ১৯৯৫ সালের জানুয়ারিতে তাসলিমা প্রি-ক্যাডেট ও চাইল্ড কেয়ার হোমস নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে এটি মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয়।[1]

ইতিহাস

উপকূলীয় অঞ্চলের শিশুদের বিজ্ঞানভিত্তিক মানসম্পন্ন শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে মল্লিক মোহম্মদ আইউব এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়টি প্রথমে পাঁচজন শিক্ষক ও ছেচল্লিশ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। তখন এটি ছিল মূলত একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল এবং প্রথম প্রধানশিক্ষক ছিলেন আবু মাসুদ। ঐসময় বিদ্যালয়টির নাম মল্লিক মোহম্মদ আইউবের স্ত্রী তাসলিমা বেগমের নামানুসারে তাসলিমা প্রি-ক্যাডেট ও চাইল্ড কেয়ার হোমস নামকরণ করা হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে এটি মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয় এবং তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমী নামে পুনঃনামকরণ করা হয়।[1] ২০১০ সালে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয়।[3]

শিক্ষা কার্যক্রম

বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম দু'ভাগে বিভক্ত। প্লে শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় কিন্ডারগার্টেন পদ্ধতিতে। এবং ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুসরণ করে পাঠদান করা হয়।

সহশিক্ষা কার্যক্রম

একেডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমীর ছাত্ররা নিয়মিত সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছে। তাদের রয়েছে নিজস্ব স্কাউট দল, ফুটবল দল, ক্রিকেট দল, ব্যাডমিন্টন দল ও ভলিবল দল।[4] বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা নিয়মিতভাবে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নানা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আসছে। তাছাড়া, বিভিন্ন জাতীয় দিবস তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করে থাকে।

ফলাফল

[9]

শিক্ষকমন্ডলী

বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক আবুল বাশার আজাদ। মাধ্যমিক পর্যায়ে ১১ জন শিক্ষক সহ বিদ্যালয়টিতে প্রায় ৩০ জন শিক্ষক রয়েছেন।

অর্জন

বরাবরের মতো ২০১৭ সালেও বিদ্যালয়টি বরগুনা জেলার সেরা বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পায় এবং সেরা শিক্ষক নির্বাচিত হন এই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর শ্রেণী শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।[3][7] এছাড়া ২০১৫ সালে বরিশাল বোর্ডে চতুর্থ[8][10], ২০১৪ সালের জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলে বোর্ডে তৃতীয় হয়।[6][11]

তথ্যসূত্র

  1. "বিদ্যালয়ের ইতিহাস"বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৮
  2. "শিক্ষক বিবরণী"বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। ১ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৮
  3. "পাথরঘাটা তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমি জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়"কালের কণ্ঠ। ১ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৮
  4. "এক নজরে বিদ্যালয়ের তথ্য"বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৮
  5. "টানা নয় বছর"প্রথম আলো। ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৮
  6. "টিনের ঘরে আলোর ঝলকানি"প্রথম আলো। ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৮
  7. "পাথরঘাটার তাসলিমা একাডেমি বরগুনার শ্রেষ্ঠ স্কুল"ইত্তেফাক। ২৪ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৮
  8. "বরিশাল বোর্ডে চতুর্থ তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমি"আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৮
  9. "বিদ্যালয়ের ফলাফল"। ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৮
  10. "তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমি: বরিশাল বোর্ডে চতুর্থ, জেলায় শ্রেষ্ঠ"আমাদের বরিশাল। ২০ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৮
  11. "বরগুনার তাসলিমা একাডেমি বরিশাল বোর্ডে তৃতীয়"বাংলানিউজ ২৪। ৮ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৮
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.