তারাগঞ্জ উপজেলা
তারাগঞ্জ বাংলাদেশের রংপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
তারাগঞ্জ | |
---|---|
উপজেলা | |
তারাগঞ্জ তারাগঞ্জ | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৪৮′৫৩″ উত্তর ৮৯°১′১১″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | রংপুর জেলা |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৮৪ |
আয়তন | |
• মোট | ১২৮.৬৪ বর্গকিমি (৪৯.৬৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ১,৪০,৮৩৩ |
• জনঘনত্ব | ১,১০০/বর্গকিমি (২,৮০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | % |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫৪২০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ৮৫ ৯২ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান
উত্তরে- নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে- রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে- রংপুর সদর উপজেলা এবং পশ্চিমে- নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলা অবস্থিত।
প্রশাসনিক এলাকা
তারাগঞ্জ উপজেলা ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত:
ইতিহাস
তারাগঞ্জ ১৯৮০ সালের পূর্ব পর্যন্ত বদরগঞ্জ থানার অন্তর্গত ছিল। ১৯৮০ সালের ১ জানুয়ারি বদরগঞ্জ থানার ৪০ টি গ্রাম নিয়ে তারাগঞ্জ থানা গঠন করা হয় এবং ১৯৮৩ সালে এটি উপজেলায় রুপান্তর হয়।উপজেলাটি রংপুর জেলার শহর হতে ২৬ কি:মি: পশ্চিমে অবস্থিত। পুর্বে এ উপজেলা বদরগঞ্জ উপজেলার অর্ন্তভূক্ত ছিল। কথিত আছে যে, বহুদিন আগে তারাবিবি নামে একজন পূন্যবতী মহিলা এখানে বাস করতেন।তারাগঞ্জ হাটের পার্শ্বেই তার মাজার বিদ্যমান। এ মাজারকে কেন্দ্র করে এখানে একটি বাজার গড়ে উঠে। পরবর্তীকালে উক্ত তারা বিবির নামানুসারে স্থানটির নাম হয় তারাগঞ্জ। জনশ্রুতি ছাড়া তারাগঞ্জ উপজেলার নামের সমর্থনে কোন ঐতিহাসিক তথ্য সংবলিত দলিল দস্তাবিজ পাওয়া যায়নি।
ঐতিহাসিক ঘটনাবলী
ফকির সন্নাসী বিদ্রোহের সময় ১৭৭২ সালের ৩০ ডিসেম্বর তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ নামক স্থানে ইংরেজ বাহিনীর সাথে ফকির সন্নাসীদের তুমুল লড়াই হয়। এ লড়াইয়ে ইংরেজবাহিনী পরাজিত হয় এবং ইংরেজ সেনাপতি টমাস নিহত হয়।‘রংপুর বিদ্রোহ’ নামে খ্যাত কৃষক প্রজা বিদ্রোহে (১৭৮৩) বদরগঞ্জ ইউনিয়নে একটি বড় ঘাঁটি ছিল। নীল বিদ্রোহ (১৮৫৯) এ অঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এছাড়াও তেভাগা আন্দোলন (১৯৪৬-৪৭), হাটতোলা আন্দোলনে (১৯৩৭-৪০) এ অঞ্চলের লোক সক্রিয় অংশ গ্রহণ করে। ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর যমুনেশ্বরী নদীর উপর বরাতি ব্রিজে এক গণহত্যা সংঘটিত হয় এবং আগস্ট মাসে পাকসেনারা সয়ার ইউনিয়নের দাড়ার পাড় গ্রামের কয়েকজনকে আটক করে এবং পরে হত্যা করে। ১নং আলমপুরের মধুরামপুর দোলাপাড়ায় ১৪ এপ্রিল ১৯৭১ সালে ১১ জন নিরীহ মানুষ কে হত্যা করে পাক বাহিনীর সৈন্যরা। সেই গনহত্যা থেকে ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান শাহজাহান মন্ডল বাদশা । নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে বর্তমান সাংসদ আবুল কালাম আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক সাহেবের সহযোগিতায় বদ্ধভূমির নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়।
শিক্ষা
- কলেজ
- তারাগঞ্জ ওয়াক্ফ এস্টেট সরকারি কলেজ
- ইকরচালী ডিগ্রি কলেজ
- ডাংগীরহাট স্কুল এন্ড কলেজ
- সয়ার কাজী পাড়া স্কুল এন্ড কলেজ
- তারাগঞ্জ ও/এ স্কুল এন্ড কলেজ
- কাজী পাড়া আইডিয়াল মহিলা টেকনিক্যাল কলেজ
- তারাগঞ্জ কারিগরি বিজনেজ ম্যানেজমেন্ট কলেজ
- তারাগঞ্জ টেকনিক্যাল এন্ড বি এম কলেজ
- মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- ইকরচালী নিম্ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- হাতিবান্ধা জুনিয়ার উচ্চ বিদ্যালয়
- হাজিপুর বালাবাড়ি জুনিয়ার উচ্চ বিদ্যালয়
- কাচনা জুনিয়ার উচ্চ বিদ্যালয়
- লক্ষীপুর বিরাবাড়ি হাট জুনিয়ার উচ্চ বিদ্যালয়
- বরাতি উচ্চ বিদ্যালয়
- বুড়ির হাট উচ্চ বিদ্যালয়
- চান্দের পুকুর গালস উচ্চ বিদ্যালয়
- চিলাপাক উচ্চ বিদ্যালয়
- ইকরচালী উচ্চ বিদ্যালয়
- ফাজিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়
- ঘনিরামপুর বরগোলা উচ্চ বিদ্যালয়
- কাশিয়াবাড়ি বি এল উচ্চ বিদ্যালয়
- কুর্শা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
- তারাগঞ্জ ও/এ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
- তেতুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়
- মাদ্রাসা
- তারাগঞ্জ ও/এ ফাজিল মাদ্রাসা
- ভীমপুর দারুস সুন্নত দাখিল মাদ্রাসা
- চিলাপাক বাসিরুদ্দীন দাখিল মাদ্রাসা
- দোহাজারী বিড়াবাড়ী ইসলামিয়া দ্বিমূখী দাখিল মাদ্রাসা
- ফাজিলপুর মৌলভীপাড়া আর/এস দাখিল মাদ্রাসা
- ঘনিরামপুর আল হুদা দাখিল মাদ্রাসা
- হারিয়ারকুঠি দাখিল মাদ্রাসা
- লক্ষীপুর মাঝের হাট দাখিল মাদ্রাসা
- মেনানগর নুরুলহুদা মোজাদ্দেদীয়া দাখিল মাদ্রাসা
- নেকিরহাট সৈদপুর আলিম মাদ্রাসা
- ওকড়াবাড়ি ফারুকিয়া আলিম মাদ্রাসা
- 'কিন্ডার গার্ডেন
- তারাগঞ্জ শিশু নিকেতন
অর্থনীতি
১.তারা বিবি ২.বীর মুক্তিযোদ্ধা এলাহী বকোস এমপি
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে তারাগঞ্জ উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৫।