তাপ ধারকত্ব

কোন পদার্থের তাপমাত্রা একক পরিমাণ বৃদ্ধি করতে যে নির্দিষ্ট পরিমাণ তাপের প্রয়োজন হয় তাকে ঐ পদার্থের তাপ ধারকত্ব (তাপধারণ ক্ষমতা) বলে।[1] এক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হয় যেন ঐ সময় দশার কোন পরিবর্তন না ঘটে।

আইনস্টাইন সলিডে তাপের ক্ষমতা

অর্থাৎ বস্তুটি যেন এক অবস্থা থেকে অন্য কোন অবস্থায় (কঠিন থেকে তরল বা তরল থেকে বাষ্প) রুপ না নেয়। কারণ সেক্ষেত্রে প্রযুক্ত তাপ বস্তুটির অবস্থার পরিবর্তনে ব্যবহৃত হয়ে যায় এবং বস্তুর তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকে। কোন ১ কেজি ভরের বস্তুর তাপমাত্রা ১ কেলভিন বাড়াতে যে তাপের প্রয়োজন হয়, তাকে ঐ বস্তুর উপাদানের আপেক্ষিক তাপ ধারণ ক্ষমতা বা আপেক্ষিক তাপ বলে। অর্থাৎ আপেক্ষিক তাপ = গৃহীত বা বর্জিত তাপ (Q)/ভর (m) × তাপমাত্রার পার্থক্য (Δθ)

গাণিতিকভাবে,

আবার, আপেক্ষিক তাপ (S) = তাপধারণ ক্ষমতা (C)/বস্তুর ভর (m)

গাণিতিকভাবে,

নীচে কয়েকটি পদার্থের আপেক্ষিক তাপ দেওয়া হল:

পদার্থ আপেক্ষিক তাপ (J kg1 K1)
পানি ৪২০০
বরফ ২১০০
লোহা ৪৫০
জলীয় বাষ্প ২০০০
সীসা ১৩০
তামা ৪০০
রূপা ২৩০
পিতল ২৩০
মানবদেহ ৩৪৭০
অ্যালুমিনিয়াম ৯০০
টিন ২১০
কাঁচ ৬৭০
দস্তা ৩৮০
পারদ ১৪০
অক্সিজেন ৯১০

তথ্যসূত্র

  1. হ্যালিডে, ডেভিড; রেসনিক, রবার্ট (২০১৩)। ফান্ডেমেন্টাল্স অফ় ফ়িজ়িক্স। Wiley। পৃষ্ঠা ৫২৪
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.