তসলিম আরিফ
তসলিম আরিফ আব্বাসী (উর্দু: تسلیم عارف; জন্ম: ১ মে, ১৯৫৪ - মৃত্যু: ১৪ মার্চ, ২০০৮) সিন্ধু প্রদেশের পিআইবি কলোনী এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও রেফারি ছিলেন। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের সূচনালগ্নে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
![]() ১৯৮০ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে তসলিম আরিফ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | তসলিম আরিফ আব্বাসী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পিআইবি কলোনী, করাচি, সিন্ধু, পাকিস্তান | ১ মে ১৯৫৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৪ মার্চ ২০০৮ ৫৩) করাচি, সিন্ধু, পাকিস্তান | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক, রেফারি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ওয়াসিম আরিফ (ভ্রাতৃষ্পুত্র), মোহাম্মদ আলী (ভ্রাতৃষ্পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৮২) | ২৯ জানুয়ারি ১৯৮০ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৮ ডিসেম্বর ১৯৮০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৩১) | ২১ নভেম্বর ১৯৮০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৯ ডিসেম্বর ১৯৮০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৭/৬৮ - ১৯৮৯/৯০ | করাচি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৭/৬৮ - ১৯৮৯/৯০ | এনবিপি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ জুন ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে করাচি, পাকিস্তান ন্যাশনাল ব্যাংক ও সিন্ধু দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তসলিম আরিফ।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৬৭-৬৮ মৌসুম থেকে ১৯৮৮-৮৯ মৌসুম পর্যন্ত তসলিম আরিফের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।
সেপ্টেম্বর, ১৯৭৮ সালে ন্যাশনাল ব্যাংকের পক্ষে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। লাহোরে পাঞ্জাবের বিপক্ষে দশটি ডিসমিসাল ঘটান। এরফলে, প্রথম পাকিস্তানি উইকেট-রক্ষক হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে এ কৃতিত্বের অধিকারী হন।[1] পরবর্তীতে, ১৯৯৭ সালে ওয়াসিম ইউসুফজী তার এ রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ছয়টিমাত্র টেস্ট ও দুইটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন তসলিম আরিফ। ২৯ জানুয়ারি, ১৯৮০ তারিখে কলকাতায় স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৮ ডিসেম্বর, ১৯৮০ তারিখে ফয়সালাবাদে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
পাকিস্তান দলে অভিষেককালীন ব্যাটসম্যান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে কলকাতায় স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে ৯০ ও ৪৬ রান করেছিলেন। তবে, সংক্ষিপ্ত খেলোয়াড়ী জীবনের বাদ-বাকী সময় তাকে গ্লাভস হাতে উইকেটের পিছনে অবস্থান করতে হয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি
একই মৌসুমের শীতকালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও নিজস্ব তৃতীয় টেস্টে সাত ঘণ্টা ক্রিজে অবস্থান করে অপরাজিত ২১০ রান তুলেন। এটিই তার খেলোয়াড়ী জীবনের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল।[2] অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের টেস্ট দলের সদস্যরূপে এ সংগ্রহটি করেছিলেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে উইকেট-রক্ষক হিসেবে তার এ অর্জনটি ২০ বছরের অধিক সময় রেকর্ডসংখ্যক রান সংগ্রহের কারণে টিকেছিল। পরবর্তীতে, ২০০০-০১ মৌসুমে জিম্বাবুয়ীয় উইকেট-রক্ষক অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ও শ্রীলঙ্কার বিখ্যাত ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারা তার এ রেকর্ড ভঙ্গ করে নিজের করে নেন।[3] তাসত্ত্বেও, গ্লাভস হাতে ওয়াসিম বারি’র প্রাধান্যতায় তসলিম আরিফকে মাত্র ছয় টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়েছিল।
৬২.৬২ গড়ে রান তুলে টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে। বিস্ময়করভাবে ক্যারি প্যাকারের ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটের দ্বিতীয় আসরে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবন
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক তিনি। ইমরান আরিফ লন্ডনে, আইনান আরিফ পাকিস্তান ন্যাশনাল ব্যাংকের পক্ষে খেলেছেন এবং কন্যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।[4] দীর্ঘদিন ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। অতঃপর, ১৪ মার্চ, ২০০৮ তারিখে ৫৩ বছর বয়সে করাচিতে তসলিম আরিফের দেহাবসান ঘটে। করাচির ফয়সাল সেনানিবাসের গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
তথ্যসূত্র
- "Taslim Arif on 10 September, 1978"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- WISDEN – Second Test Match – PAKISTAN v AUSTRALIA 1979–80, ESPNCricinfo, ১৩ মার্চ ২০০৮, সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১২
- Records / Test matches / Batting records / Most runs in an innings by a wicketkeeper, ESPNCricinfo, ১৩ মার্চ ২০০৮
- Former Pakistan keeper Taslim Arif dies, ESPNCricinfo, ১৩ মার্চ ২০০৮, সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১২
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে তসলিম আরিফ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে তসলিম আরিফ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- ইয়াহু! ক্রিকেটে তসলিম আরিফ (ইংরেজি)