তত্ত্ববিজ্ঞান

দর্শনের মূল্যবোধ নিয়ে পাঠ করা অধ্যায়ের নাম হলো তত্ত্ববিজ্ঞান (ইংরেজি: Axiology)। নীতিশাস্ত্র এবং নন্দনতত্ত্ব যুগপৎভাবে তত্ত্ববিজ্ঞানে আলোচিত হয়।[1] এটি মূল্যবোধ তত্ত্ব এবং মেটা ইথিক্সের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ১৯০২ সালে পল ল্যাপি [2][3] এবং ১৯০৮ সালে এডওয়ার্ড ভন হাটম্যান এই পদবাচ্য (ইংরেজিতে এক্সিওলোজি) সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন।[4][5]

পৃথিবীর বিখ্যাত কিছু দার্শনিক

তত্ত্ববিজ্ঞান আমাদের মূল্যবোধ এবং বিচারের প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করে। নীতিশাস্ত্র এবং কোনটি সঠিক এবং কোনোটি ভালো এবং তা ব্যক্তিজীবনে ও সমাজে কতটা প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে আলোচনা করে এবং নন্দনতত্ত্ব সুন্দর এবং নান্দনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। প্রথাবদ্ধ তত্ত্ববিজ্ঞান মূল্যবোধের নীতিকে গাণিতিক কঠোরতা ধাপ অনুসরণের মাধ্যমে সাজায়।

ইতিহাস

৫ম এবং ৬ষ্ঠ খ্রিষ্ঠপূর্বে গ্রিসে সফল হওয়ার জন্য মানুষকে জ্ঞানী হতে হতো। দার্শনিকরা বুঝতে শুরু করেছিলেন যে, সমাজে আইন এবং নৈতিকতার মধ্যে এক ধরনের পার্থক্য বিদ্যমান। সক্রেটিস বিশ্বাস করতেন জ্ঞানের সাথে নৈতিক উৎকর্ষের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ রয়েছে; যা নৈতিকতা এবং গণতন্ত্রকে খুব ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত করে। সক্রেটিসের ছাত্র প্লেটো পরবর্তীতে এই বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠিত করেন, যা সবাই অনুসরণ করে। মধ্যযুগে থমাস একুয়ানাস প্রাকৃতিক এবং অতিপ্রাকৃতিক গুণের মধ্যে পার্থক্য করেন। এই ধারণা থেকে দার্শনিকরা পরবর্তীতে বাস্তব সত্যের উপর বিচার এবং মূল্যবোধের উপর বিচারের মধ্যে পার্থক্য করেন, যা পরবর্তীতে দর্শন ক বিজ্ঞানের মধ্যকার পার্থক্যকরণের প্রধান নিয়ামক হিসেবে আবির্ভূত হয়।[6]

আরো দেখুন

  • Praxeology
  • Money
  • Nihilism
  • N.O. Lossky
  • Russian philosophy
  • Utility
  • Value (economics)
  • Value (ethics)
  • Value (personal and cultural)

তথ্যসূত্র

  1. Random House Unabridged Dictionary Entry on Axiology.
  2. Lapie, Paul (১৯০২)। Logique de la volonté। Paris: F. Alcan।
  3. "Axiology and aesthetics - article"www.infotaste.com। ১৮ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৯
  4. von Hartmann, Eduard (১৯০৮)। Grundriss der Axiologie। Hermann Haacke।
  5. Samuel L. Hart. Axiology—Theory of Values. Philosophy and Phenomenological Research.
  6. Arneson, P. (2009). Axiology. In S. Littlejohn, & K. Foss (Eds.), Encyclopedia of communication theory. (pp. 70-74). Thousand Oaks, CA: SAGE Publications, Inc.
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.