ড্যারেন পাওয়েল
ড্যারেন ব্রেন্ট লাইল পাওয়েল (ইংরেজি: Daren Powell; জন্ম: ১৫ এপ্রিল, ১৯৭৮) জ্যামাইকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পক্ষে ২০০২ থেকে ২০০৯ সময়কালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ড্যারেন ব্রেন্ট লাইল পাওয়েল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | জ্যামাইকা | ১৫ এপ্রিল ১৯৭৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৪৩) | ২১ জুন ২০০২ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৬ মার্চ ২০০৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১১১) | ৩ ডিসেম্বর ২০০২ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২০ মার্চ ২০০৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০০/০১ – ২০০৯/১০ | জ্যামাইকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৩/০৪ | গটেং | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪ | ডার্বিশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭ | হ্যাম্পশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১০ | ল্যাঙ্কাশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৮ নভেম্বর ২০১৮ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে জ্যামাইকার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে গটেং, প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ার, হ্যাম্পশায়ার ও ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে খেলেছেন। দলে মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলিং করে থাকেন ড্যারেন পাওয়েল।
শৈশবকাল
ড্যারেন পাওয়েলের পিতা ক্রিকেটার ছিলেন। নয় বছর বয়সে ক্রিকেট খেলায় হাতেখড়ি হয় তার। সেন্ট এলিজাবেথ টেকনিক্যাল হাই স্কুলে প্রথম প্রতিযোগিতাধর্মী খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন তিনি।
মূলতঃ ড্যারেন পাওয়েল অফ স্পিন বোলিং করতেন। তবে ক্লাবের খেলায় সিম বোলারের অনুপস্থিতিতে পরিস্থিতির কারণে বোলিং ভঙ্গীমায় পরিবর্তনে বাধ্য হন। ঐ খেলায় সিম বোলিং করে সাত উইকেট পেয়েছিলেন।[1] খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুরদিকে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামলেও পরবর্তীতে নিচেরসারির কার্যকরী ব্যাটসম্যানে পরিণত হন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
২১ জুন, ২০০২ তারিখে ড্যারেন পাওয়েলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে অভিষেক ঘটে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে ১২০ রান খরচায় তিন উইকেট দখল করেছিলেন। ড্যারিল টাফি তার প্রথম উইকেট শিকারে পরিণত হন। ঐ খেলায় অবশ্য সফরকারী নিউজিল্যান্ড দল ২০৪ রানে জয়ী হয়েছিল।[2]
একই বছরে বাংলাদেশী প্রতিপক্ষীয় আনোয়ার হোসেনের সাথে তার একযোগে ওডিআই অভিষেক ঘটে। ৩ ডিসেম্বর, ২০০২ তারিখে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের ৩য় ওডিআইয়ে নির্ধারিত ১০ ওভারে ৩৪ রান দেন ও উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আনোয়ার হোসেনকে আউট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে ৮৬ রানের জয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে সহায়তা করেন।
২০০৬-০৭ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে একদিনে আন্তর্জাতিক সিরিজে ২৭.৫৫ গড়ে নয় উইকেট পান। ফলশ্রুতিতে ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলার জন্য তাকে দলে রাখা হয়। ২০০৯ সালের শুরুরদিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে ৬৯.৩৩ গড়ে ছয় উইকেট লাভের ন্যায় দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। এরফলে তাকে দলের বাইরে রাখা হয় ও পরবর্তী গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ফিরতি সিরিজ খেলতে পারেননি।
ব্যাটিংয়ে দূর্বলতা থাকা সত্ত্বেও মাঝে-মধ্যে ব্যাট হাতে স্বীয় সক্ষমতা দেখিয়েছেন ড্যারেন পাওয়েল। হতোদ্যম ইংল্যান্ড বোলারদেরকে একহাত দেখে নেন ও খেলায় জয়ী হয়ে ১-০ ব্যবধানে ক্যারিবীয়দের সিরিজ জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।
বিতর্কিত ভূমিকা
জুলাই, ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড় ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে আর্থিক বিষয়ে মতবিরোধের সৃষ্টি হয় ও বাংলাদেশের বিপক্ষে দূর্বল শক্তিমত্তার নিয়ে দল মাঠে নামে। ১৫-সদস্যের ঐ দলে ক্যাপবিহীন অবস্থায় নয়জন খেলোয়াড়ের স্থান হয় ও প্রথম টেস্টে সাতজন খেলোয়াড়ের অভিষেক ঘটে। কোনরকমভাবে দাঁড় করানো ঐ দলে খেলার জন্যে তাকে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে অবশ্য তাকে আর দলে রাখা হয়নি।[3]
তবে, ঐ মাস শেষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় দল ঘোষণা করা হলে আর্থিক সমস্যার সমাধান না করেও তাকে দলে রাখা হয়![4][5] কিন্তু তিনি ঐ প্রতিযোগিতায় অংশ নেননি।
কাউন্টি ক্রিকেট
ঐ বছর শেষে ঘোষণা করা হয় যে, কোলপ্যাক খেলোয়াড় হিসেবে দুই বছরের চুক্তিতে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে খেলবেন। এরফলে অদূর ভবিষ্যতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে তার পুনরায় খেলার সম্ভাবনা তিরোহিত হয়ে যায়।[6] ক্লাবের ক্রিকেট পরিচালক মাইক ওয়াটকিনসন মন্তব্য করেন যে, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বোলার হিসেবে দলে তার অন্তর্ভূক্তি আরও শক্তি বৃদ্ধি করবে। সাজিদ মাহমুদের অনুপস্থিতি ও ইংল্যান্ডের তারকা খেলোয়াড় জেমস অ্যান্ডারসনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততার ফলে তার এ অন্তর্ভূক্তি অনেকাংশেই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।[7]
ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সালে মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে জ্যামাইকা দল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন তিনি। তিনি দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করছিলেন। ৭৩.০০ গড়ে মাত্র দুই উইকেট পান। জ্যামাইকার দল নির্বাচক নেহেমিয়া পেরি এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন যে, পাওয়েল বিশ্রাম নিতে চেয়েছেন ও মৌসুমের বাদ-বাকি সময় দলে অনুপস্থিত থাকবেন। ব্যক্তি হিসেবে তিনি ক্রিকেট খেলা উপভোগ করছেন না।[8]
সেপ্টেম্বর, ২০১০ সালে চুক্তি শেষ হবার এক বছর পূর্বেই পাওয়েলকে ল্যাঙ্কাশায়ার দল থেকে বাদ দেয়া হয়।[9] এ সময়ে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে চারটে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় অংশ নিয়েছেন। প্রায় পঞ্চাশ গড়ে সাত উইকেট পেয়েছেন। চারটি টি২০ খেলায় উইকেটবিহীন ছিলেন। তবে, ক্লাইডেসডেল ব্যাংক ৪০ প্রতিযোগিতার নয় খেলায় অংশ নিয়ে সাত উইকেট পান। ওয়াটকিনসনের অভিমত, দলে তিনি শীর্ষস্থানীয় প্রতিযোগী হলেও ঐ স্থান দখলে রাখতে পারেননি তিনি।[10]
তথ্যসূত্র
- Gollapudi, Nagraj (১৩ এপ্রিল ২০০৫), 'Criticism helped me get back on track' – Powell, Cricinfo, সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১০
- f46654 t1607 West Indies v New Zealand: New Zealand in West Indies 2002 (1st Test), CricketArchive.com, সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১০
- Cricinfo staff (৮ জুলাই ২০০৯), West Indies name replacement squad, Cricinfo.com, সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১০
- Cricinfo staff (২১ জুলাই ২০০৯), Injured Edwards named in squad, Cricinfo, সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১০
- Cricinfo staff (১৭ আগস্ট ২০০৯), Windies stick to depleted ODI squad, Cricinfo, সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১০
- Lancashire Sign Fast Bowler Daren Powell ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে, Cricket World, 29 October 2009
- Cricinfo staff (২৯ অক্টোবর ২০০৯), Daren Powell joins Lancashire, Cricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০০৯
- Cricinfo staff (৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০), Daren Powell withdraws from Jamaica squad, Cricinfo, সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১০
- Daren Powell makes early Lancashire exit, BBC Sport, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০, সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০
- Ostick, Chris (১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০), "Powell leaves Lancashire", Manchester Evening News, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ড্যারেন পাওয়েল (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ড্যারেন পাওয়েল (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)