ডোর (চলচ্চিত্র)

ডোর (হিন্দি: डोर, উর্দু: ڈور, অনুবাদ 'বন্ধন') হল ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় নাট্যচলচ্চিত্র। নাগেশ কুকুনুর পরিচালিত চলচ্চিত্রটিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছে আয়েশা তাকিয়া, গুল পানাগ, শ্রেয়স তলপড়েগিরিশ কারনাড। এটি ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মালয়ালম ভাষার চলচ্চিত্র পেরুমাঝাক্কালাম এর পুনর্নির্মাণ। চলচ্চিত্রটি ২০০৬ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মুক্তিপায়।

ডোর
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার
পরিচালকনাগেশ কুকুনুর
প্রযোজকইলাহি হিপটুলা
রচয়িতাটি. এ. রাজ্জাক
শ্রেষ্ঠাংশেআয়েশা তাকিয়া
গুল পানাগ
শ্রেয়স তলপড়ে
গিরিশ কারনাড
উত্তরা বাওকার
প্রতীক্ষা লঙ্কর
সুরকারসেলিম মার্চেন্ট
সুলাইমান মার্চেন্ট
চিত্রগ্রাহকসুদিপ চ্যাটার্জী
সম্পাদকসঞ্জীব দত্ত
পরিবেশকসাহারা ওয়ান মশন পিকচার্সs
পার্সেপ্ট পিকচার কোম্পানি
মুক্তি
  • ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ (2006-09-22)
দৈর্ঘ্য১৪৭ মিনিট
দেশভারত
ভাষাহিন্দি

ইলাহি হিপটুলা প্রযোজিত চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য রচনার করেছেন সুদিপ চ্যাটার্জি এবং সম্পাদনা করেছেন সঞ্জীব দত্ত। চলচ্চিত্রটি হিন্দি ভাষায় নির্মিত হলেও এতে উর্দু ভাষাও ব্যবহৃত হয়েছে। এর আহব সঙ্গীতে রয়েছেন সেলিম-সুলায়মান

চলচ্চিত্রটির কাহিনী, ভিন্ন পটভূমি থেকে আগত দুই নারী ভাগ্যক্রমে কীভাবে একত্রীত হয়েছে। মীরা (আয়েশা তাকিয়া) একজন যুবতী মহিলা যিনি বিবাহের কিছুদিন পরই বিধবা হয়ে গোড়ামীর জালে আটকা পড়ে। অন্যদিকে, জিনাত (গুল পানাগ) একজন স্বাধীন নারী যে আদালতে বিচারাধীন স্বামীকে নির্দোষ প্রমাণ করার কঠিন পরীক্ষার সম্মুখিন। একজন বহুরুপি (শ্রেয়স তলপড়ে) মীরাকে সাহায্য করতে উপস্থিত হয়, জিনাতে আশায় শক্তি যোগায়। জিনাত ও মীরার সাহচর্য্য উভয়ের জন্য কঠিন পরিস্থিতির তৈরি করে।

কাহিনী সারাংশ

জিনাত হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা একজন স্বাধীন মুসলিম নারী। সে তার পিতা-মাতার আপত্তির সত্ত্বেও তার প্রেমিক আমির খানকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিয়ের পর তার স্বামী কাজের খোজে সৌদি আরবে পাড়ি জমায়।

মীরা একজন সাধারণ রাজস্থানী হিন্দু মহিলা। এক রাজস্থানী রক্ষণশীল হিন্দু পরিবারে তার বিয়ে হয়। রক্ষণশীল রীতিনীতি ও ঐতিহ্য অনুযায়ী তার দৈনন্দিন কাজ-কর্ম হাবেলীর চার দেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ। কাকতালীয়ভাবে তার স্বামী শংকর নতুন কর্মস্থল সৌদিআরব চলে যায়। স্বামীর অবর্তমানে মীরার জীবনটা কঠিন হয়ে পড়ে। শংকর নিয়মিতভাবে তার পিতা রনদিপ সিং (গিরিশ কারনাড), মাতা গৌরি সিং (প্রতিক্ষা লঙ্কার), দাদি (উত্তরা ভাবকর) এবং মীরা সহ পরিবারের সকলের ভরণ-পোষনের জন্য অর্থ পাঠায়। একদিন মীরা রেমিটেন্স পায় না। সময় চলে যায় এবং যখন রেমিটেন্স কিংবা তার স্বামীর কোন চিঠিপত্র আসে না, মীরা চিন্তিত হয়ে পড়ে। অনেক খোঁজ খবর নেওয়ার পড়ে জানা যায়, শংকরকে তার রুমমেট খামখেয়ালিভাবে খুন করেছে।

শংকরের মৃত্যুর সংবাদ হাবেলী পৌছলে হাবেলিতে অন্ধকার নেমে আসে এবং সবাই মীরার উপর মানসিক নির্যাতন করে। তার সকল আশা উদ্দীপনা কালো পর্দার অন্তরালে ঢাকা পড়ে। পরিবারের সবাই তাদের খারাব ভাগ্য আনার জন্য মীরাকে দায়ী করে। কিন্তু মীরা শ্রদ্ধাশীল চিত্তে সকল অপমান সহ্য করে।

অন্যদিকে, জিনাত খবর পায় তার স্বামী সৌদি আরবে রুমমেটকে হত্যার দায়ে গ্রেফতার হয়েছে। তিনি মনে করেন যে, এটি একটি দুর্ঘটনা, কিন্তু সৌদি আইন ক্ষমাহীন এবং এর জন্য আমিরের মৃত্যুদন্ড হবে তা নিশ্চিত। একজন ভারতীয় অফিসারের নিকট জিনাত জানতে পারে যে, যদি মৃত্যের স্ত্রী অপরাধ মাফ করে তবে সৌদি ফৌজদারি আইনে তার স্বামী মুক্তি পেতে পারে। আমির ও শংকরের একটি আলোকচিত্র নিয়ে জিনাত মীরার খোজে বেড়িয়ে পড়ে। যাওয়ার পথে জিনাতের এক বহুরুপীয়ার (শ্রেয়াজ তালপাড়ে) সাথে দেখা হয়। বহুরুপীয়া নিজে একজন অনুকরণ কবি এবংব হুমুখী প্রতিভাবান হিসাবে নিজেকে পরিচয় দেয়।

অভিনয়ে

  • আয়েশা তাকিয়া, মীরার ভূমিকায় দুই প্রধান চরিত্রের একটি। একটি রক্ষণশীল রাজপুত পরিবার থেকে এসেছে, সে আনন্দ বর্জিত জীপন যাপন করে।
  • গুল পানাগ, জিনাতের ভূমিকায় দুই প্রধান চরিত্রের অারেকটি। একজন নির্ভীক ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নারী যে তার স্বামীর জীবন বাঁঁচাতে আশাবাদী।
  • শ্রেয়স তলপড়ে, বহুরুপীয়ার ভুমিকায়। একজন পার্শ্বচরিত্রের অভিনেতা; সে মীরাকে খুজতে জিনাতকে সাহায্য করে।
  • গিরিশ কারনাড, মীরার শ্বশুর রনদিপ সিং। একজন রক্ষণশীল রীতি নীতির মানুষ, ছেলের মৃত্যুর পর মীরার প্রতি কঠোর আচোরণ করে।
  • নাগেশ কুকুনুর, ব্যবসায়ী চোপড়ার ভুমিকায়।
  • প্রতীক্ষা লঙ্কর, গৌরি সিং রনদিপ সিংয়ের স্ত্রী এবং মীরার শ্বাশুড়ী। তিনিও রক্ষণশীল মান মানসিকতার মানুষ, মীরার সকল স্বাধীনতা তিনি হরণ করেন।
  • উত্তরা বাওকর, দাদিমার ভুমিকায়।

তথ্যসূত্র

    বহিঃসংযোগ

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.