ডেভিড হেইন
পিটার ডেভিড হেইন (তামিল: டேவிட் ஹெயின்; জন্ম: ২৬ জুন, ১৯৪৫) কলম্বো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | পিটার ডেভিড হেইন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কলম্বো, শ্রীলঙ্কা | ২৬ জুন ১৯৪৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | বিআর হেইন (পিতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৩) | ৭ জুন ১৯৭৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৪ জুন ১৯৭৫ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৯ মার্চ ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে সিলন দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ডেভিড হেইন।
শৈশবকাল
ক্রিকেটপ্রিয় পরিবারে ডেভিড হেইনের জন্ম। পিতা মেজর জেনারেল বারট্রাম হেইন অল সিলন দলের সদস্যরূপে ক্রিকেট খেলেছেন। কলম্বোর সেন্ট পিটার্স কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। এখানে অবস্থানকালে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। ১৯৬১ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত ঐ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষে ক্রিকেট খেলায় প্রতিনিধিত্ব করেন। তন্মধ্যে, ১৯৬৪ সালে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। এছাড়াও, একই বছরে কলম্বোর বিদ্যালয় দলের সদস্যরূপে ভারতের বিদ্যালয় দলের বিপক্ষে খেলেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৬৪-৬৫ মৌসুম থেকে ১৯৭৫-৭৬ মৌসুম পর্যন্ত ডেভিড হেইনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৬ সময়কালে আঠারোটি অনানুষ্ঠানিক টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।
বিদ্যালয়ে থাকাকালেই বার্গার রিক্রিয়েশন ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৬৯-৭০ মৌসুম পর্যন্ত সেখানে তিনি খেলেন। এরপর, ১৯৭০-৭১ মৌসুম থেকে ১৯৭৫-৭৬ মৌসুম পর্যন্ত নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন। তন্মধ্যে, ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন।
১৯৬৪ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ডেভিড হেইনের। সর্বমোট ৫০টি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। চারটি শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন। ডিসেম্বর, ১৯৭৫ সালে ব্যাঙ্গালোরে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দলের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৩৬ রান সংগ্রহ করেন। ঐ সময়ে কেবলমাত্র বিদেশী দলের বিপক্ষে সিলন / শ্রীলঙ্কার খেলাগুলো প্রথম-শ্রেণীর খেলা হিসেবে বিবেচিত হতো।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন ডেভিড হেইন। ৭ জুন, ১৯৭৫ তারিখে ম্যানচেস্টারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৪ জুন, ১৯৭৫ তারিখে নটিংহামে পাকিস্তান দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি। ঐ সময়ে শ্রীলঙ্কা দল আইসিসির সহযোগী সদস্য থাকায় টেস্ট মর্যাদাপ্রাপ্ত ছিল না তার দল।
অবসর
১৯৭৬ সালে ইংল্যান্ডে অভিবাসিত হন। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত মিডলসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট লীগে রিচমন্ড ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলতে থাকেন। তন্মধ্যে, ১৯৭৯ ও ১৯৮০ সালে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৯ সালে পাঁচটি সেঞ্চুরি করে এক মৌসুমে সেরা রেকর্ড গড়েন। ১৯৮১ সালে মাইনর কাউন্টিজ চ্যাম্পিয়নশীপে বার্কশায়ারের পক্ষে চার খেলায় অংশ নেন। তবে, ব্যক্তিগত কাজ ও পারিবারিক চাপে আর খেলা সম্ভব হয়নি।
৩৯ বছর বয়সে ১৯৮৪ সালে খেলার জগৎ থেকে পুরোপুরিভাবে অবসর গ্রহণ করেন। এ পর্যায়ে লেন্সবারি ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলেছিলেন।
মূল্যায়ন
শ্রীলঙ্কার অন্যতম সেরা কভার পয়েন্ট অঞ্চলে অবস্থানকারী ফিল্ডার হিসেবে বৈশ্বিকভাবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সালে ৪৯ জন সাবেক শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারকে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ সম্মানিত করে। তিনিও অন্যতম হিসেবে আইসিসির পূর্ণাঙ্গ সদস্য হবার পূর্বে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন।[1][2]
তথ্যসূত্র
- "Sri Lanka Cricket to felicitate 49 past cricketers"। Sri Lanka Cricket। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- "SLC launched the program to felicitate ex-cricketers"। Sri Lanka Cricket। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ডেভিড হেইন (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ডেভিড হেইন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- ‘We would have been as good as today’s team,’ – David Heyn Article by Sa’adi Thawfeeq ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে
- Sri Lanka got to recycle and get in new players to carry on good work - David Heyn - Article by Srian Obeyesekere
- David Heyn, Prince of Batsmen - Article by Rohan Wijesinghe
- Living Legends - David Heyn - Article by Sa'adi Thawfeek ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে