ডেভিড হলফোর্ড

ডেভিড অ্যান্থনি জেরোম হলফোর্ড (ইংরেজি: David Holford; জন্ম: ১৬ এপ্রিল, ১৯৪০) বার্বাডোসের আপার কলিমোর রকে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ও সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৭ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণে করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগব্রেক বোলিংয়ে দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন ডেভিড হলফোর্ড

ডেভিড হলফোর্ড
ক্রিকেট তথ্য
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনলেগব্রেক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৪ ৯৯
রানের সংখ্যা ৭৬৮ ৩,৮২১
ব্যাটিং গড় ২২.৫৮ ৩১.৩১
১০০/৫০ ১/৩ ৩/২০
সর্বোচ্চ রান ১০৫* ১১১
বল করেছে ৪,৮১৬ ১৭,৪৩০
উইকেট ৫১ ২৫৩
বোলিং গড় ৩৯.৩৯ ৩১.৯৯
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৫/২৩ ৮/৫২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৮/- ৮৩/-
উৎস: ক্রিকইনফো.কম, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯

ঘরোয়া ক্রিকেট

বার্বাডোসের আপার কলিমোর রকে ডেভিড হলফোর্ডের জন্ম। মাঝারিসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন তিনি। এছাড়াও লেগ স্পিনার হিসেবেও সুনাম ছিল তার। ১৯৬০-৬১ মৌসুমে থেকে ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে পর্যন্ত বার্বাডোসের পক্ষে খেলেছেন। মাঝখানে ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে ত্রিনিদাদের পক্ষে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৬৯-৭০ মৌসুম থেকে ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে পর্যন্ত অধিকাংশ খেলাতেই বার্বাডোস দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭০-৭১ মৌসুমে বার্বাডোসের সদস্যরূপে সফররত ভারতীয় একাদশের বিপক্ষে ১১১ রানের মনোজ্ঞ ইনিংস খেলেন। এটিই তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল। এ সময় গারফিল্ড সোবার্সের সাথে চতুর্থ উইকেটে জুটিতে ২১৩ রান তুলেছিলেন।

১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ৮/৫২ পান। ঐ খেলায় তিনি ১১৫ রান খরচায় ১২ উইকেট দখল করেছিলেন।[1] এছাড়াও ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে বার্বাডোসের সদস্যরূপে কম্বাইন্ড লিওয়ার্ড ও উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডসের বিপক্ষে ৪/৮৯ ও ৬/৬১ পেয়েছিলেন।

টেস্ট ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ২৪ টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৬৬ তারিখে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ডেভিড হলফোর্ডের।

১৯৬৬ সালে লর্ডসে নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৯৫/৫ হলে মাত্র নয় রানে এগিয়েছিল। দলটি গভীর সঙ্কটের মুখে নিপতিত হয়। এ পর্যায়ে ৬ষ্ঠ উইকেটে জুটিতে গ্যারি সোবার্সে র সাথে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ২৭৪ রানের অপরাজিত জুটি গড়েন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ১০৫ রান করে মাঠে ছাড়েন তিনি। এটিই তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র শতরান প্রাপ্তির ঘটনা ছিল।[2]

১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে ভারত গমন করেন। স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে সিরিজের প্রথমে টেস্টে ৫ উইকেটসহ ৮০ রানে তুলেন। কিন্তু এর পরপরই রোগে আক্রান্ত হন ও দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হন।[3] এরপর থেকে তিনি আর নিয়মিতভাবে খেলতে পারেননি। ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে ভারত দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করে। ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথমে টেস্টের প্রথম দিনে ৫/২৩ নিয়ে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। [4]

অবসর

খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে কেরি প্যাকারের বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল নির্বাচকমণ্ডলীর দায়িত্বে ছিলেন ডেভিড হলফোর্ড।

কৃষি শিক্ষায় ডিগ্রি লাভ করেন ও মৃত্তিকা বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত তিনি। এছাড়াও কম্পিউটার শিক্ষায়ও ডিগ্রি রয়েছে তার।[5] বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেট তারকা গ্যারি সোবার্স সম্পর্কে তার কাকাতো ভাই হন।[6]

তথ্যসূত্র

  1. Cambridge U v West Indians 1966
  2. England v West Indies, Lord's 1966
  3. Christopher Martin-Jenkins, The Complete Who's Who of Test Cricketers, Rigby, Adelaide, 1983, p. 347.
  4. West Indies v India, Bridgetown 1975-76
  5. Garry Sobers, My Autobiography, Headline, London, 2002, p. 71.
  6. Lawrence Booth, "Nothing he couldn't do" (March 30, 2007).

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.