ডেনিস বেগবি
ডেনিস ওয়ারবার্টন বেগবি (ইংরেজি: Denis Begbie; জন্ম: ১২ ডিসেম্বর, ১৯১৪ - মৃত্যু: ১০ মার্চ, ২০০৯) ট্রান্সভালের মিডলবার্গ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[1] দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫০ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডেনিস ওয়ারবার্টন বেগবি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মিডলবার্গ, ট্রান্সভাল, দক্ষিণ আফ্রিকা | ১২ ডিসেম্বর ১৯১৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১০ মার্চ ২০০৯ ৯৪) জোহেন্সবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক, লেগ ব্রেক ও গুগলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | জিম বেগবি (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৬৬) | ১৬ ডিসেম্বর ১৯৪৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৬ মার্চ ১৯৫০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৩৩/৩৪ - ১৯৪৯/৫০ | ট্রান্সভাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক, লেগ ব্রেক ও গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ডেনিস বেগবি।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৩৩-৩৪ মৌসুম থেকে ১৯৪৯-৫০ মৌসুম পর্যন্ত ডেনিস বেগবি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। দ্রুতলয়ে রান সংগ্রাহকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। কার্যকরী ধীরলয়ের বোলার ছিলেন। বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবার অল্প কিছুদিন পূর্বে ট্রান্সভাল দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তবে, বিশ্বযুদ্ধের কারণে নিজের স্বর্ণালী সময়টুকু নষ্ট হয়ে যায় তার। ফলশ্রুতিতে, ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তাকে জাতীয় দলে খেলার জন্যে অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ডেনিস বেগবি। ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ তারিখে ডারবানে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩ মার্চ, ১৯৫০ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান। ঐ পর্যায়ে তার বয়স ছিল ৩৩ বছর। চমৎকার ঘরোয়া মৌসুম অতিবাহনের পর ইংল্যান্ড সফরে যান ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করেন। সুন্দর গ্রীষ্মকাল উপভোগ করলেও এ সফরে তিনি ৩০.৬২ গড়ে ৬১২ রান তুলেন। তবে, কোন টেস্ট জয় করতে পারেনি তার দল। ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে অবশেষে টেস্ট অভিষেক ঘটে ডেনিস বেগবি’র। কিন্তু, ইত্যবসরে তিনি তার সেরা সময় পার করে এসেছেন।
বেশ দেরি করে ৩৪ বছর বয়সে ডিসেম্বর, ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে অভিষিক্ত হন ডেনিস বেগবি। পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের প্রথম তিন টেস্টে অংশগ্রহণ করেন তিনি। প্রথম টেস্টে ৩৭ ও ৪৮ রান করেন। উভয় ইনিংসেই তিনি অ্যালেক বেডসারের শিকারে পরিণত হন। ঐ টেস্টে সফরকারীরা ২ উইকেটে জয় পেয়েছিল।[2] দ্বিতীয় টেস্টে ৫ রান করলেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায়।[3] তৃতীয় টেস্টে ১৮ রান তুলে রান-আউটের শিকার হন। ঐ খেলাটিও ড্রয়ে পরিণত হয়।[4] সিরিজের শেষ দুই টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি তিনি। ঐ সিরিজে ইংল্যান্ড দল ২-০ ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।
১৯৪৯-৫০ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরবর্তী খেলায় অংশ নেন। সিরিজের চতুর্থ টেস্টে খেলতে নেমে ২৪ রান তুলে কিথ মিলারের বলে আউট হন। খেলাটি ড্র হয়েছিল।[5] সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে ১ রান তুলে জেফ নবলেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে বিল জনস্টন তাকে ৫ রানে বিদেয় করেন। বল হাতে নিয়ে নিজের একমাত্র উইকেটের সন্ধান পান। নীল হার্ভেকে ১১৬ রানের মাথায় আউট করেন ডেনিস বেগবি।[6] ঐ টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দল ইনিংস ও ২৫৯ রানে জয় পেয়ে ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। এটিই বেগবি’র সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। অংশগ্রহণকৃত পাঁচ টেস্টে সর্বোচ্চ রান করেন ৪৮।
ব্যক্তিগত জীবন
ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি গল্ফের দিকেও ঝোঁক ছিল তার। গল্ফার হিসেবে তিনি সুনাম কুড়িয়েছেন। রয়্যাল জোহেন্সবার্গের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ক্লাবে ৮০ বছর সদস্য ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। তার সন্তান জিম বেগবিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মুখোমুখি হবার পর ডেনিস বেগবি মন্তব্য করেছিলেন যে, অভিজ্ঞতাবিহীন দল হলেও তার দৃষ্টিকোণে সফরকারী দলটি তার চোখে সেরা দল ছিল। তারা আমাদের চেয়ে অনেক ভালো করেছে। ১০ মার্চ, ২০০৯ তারিখে ৯৪ বছর বয়সে জোহেন্সবার্গ এলাকায় ডেনিস বেগবি’র দেহাবসান ঘটে। মৃত্যুকালীন তিনি নিউজিল্যান্ডীয় এরিক টিন্ডিল ও সতীর্থ দক্ষিণ আফ্রিকান নরম্যান গর্ডনের পর তৃতীয় বয়োজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেছিলেন।
তথ্যসূত্র
- "Denis Begbie dies aged 94"। Cricinfo। ১০ মার্চ ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-১০।
- "Scorecard for 1st Test South Africa vs England 1948/49 season"।
- "Scorecard for 2nd Test South Africa vs England 1948/49 season"।
- "Scorecard for 3rd Test South Africa vs England 1948/49 season"।
- "Scorecard for 4th Test South Africa vs Australia 1949/50 season"।
- "Scorecard for 5th Test South Africa vs Australia 1949/50 season"।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ডেনিস বেগবি (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ডেনিস বেগবি (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)