ডেনিস টমলিনসন
ডেনিস স্ট্যানলি টমলিনসন (ইংরেজি: Denis Tomlinson; জন্ম: ৪ সেপ্টেম্বর, ১৯১০ - মৃত্যু: ১১ জুলাই, ১৯৯৩) রোডেশিয়ার আমটালি (বর্তমানে - মুতারি, জিম্বাবুয়ে) এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ১৯৩৫ সালে একটিমাত্র টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন।[1] মূলতঃ মাঝারীসারি থেকে শুরু করে নিম্নসারির ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়া, মাঝে-মধ্যে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ ব্রেক ও গুগলি বোলিং করতেন ডেনিস টমলিনসন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডেনিস স্ট্যানলি টমলিনসন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | আমটালি, রোডেশিয়া (বর্তমানে - মুতারি, জিম্বাবুয়ে) | ৪ সেপ্টেম্বর ১৯১০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১১ জুলাই ১৯৯৩ ৮২) ডারবান, নাটাল প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক ও গুগলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৬ আগস্ট ২০১৭ |
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯২৭-২৮ মৌসুমে রোডেশিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুম পর্যন্ত এই দলের পক্ষে অনিয়মিতভাবে অংশ নিতেন টমলিনসন। এছাড়াও, ১৯২৮-২৯ মৌসুমে একবার বর্ডারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।[2] প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার সীমাবদ্ধতা ছিল। তাস্বত্ত্বেও সীমিত ওভারের খেলায় রোডেশিয়ার পক্ষে বেশকিছু খেলায় অংশ নেন। দলটি ১৯৩২-৩৩ মৌসুম থেকে শুরু করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারি কাপে অংশ নেয়নি।
সীমিতসংখ্যক খেলায় অংশগ্রহণ স্বত্ত্বেও টমলিনসন বেশ সফলতা লাভ করেন। ১৯৩০-৩১ মৌসুমে একটিমাত্র খেলায় অংশ নিয়ে সফরকারী এমসিসি দলের বিপক্ষে ৫/১০৬ লাভ করেন। তাস্বত্ত্বেও তখনো তাকে কোন টেস্টে নির্বাচিত করা হয়নি।[3] পরবর্তী দুই মৌসুমেও তিনি চমৎকার ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। ১৯৩১-৩২ মৌসুমে ইস্টার্ন প্রভিন্সের বিপক্ষে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ১০৯ রানের মনোজ্ঞ শতরান করেন যা তার একমাত্র প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে শতরান ছিল।[4] ১৯৩২-৩৩ মৌসুমে বহিঃএকাদশের সদস্যরূপে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের বিপক্ষে ১০-উইকেট পান যা তার খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র ঘটনা ছিল।[5] ঐ খেলাটিই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে সর্বশেষ ছিল।
টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ
১৯৩৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফরের জন্য মনোনীত হন। ইংল্যান্ডে ১৯টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। তবে, ১৯৩৬ সালে উইজডেন মন্তব্য করে যে, টমলিনসন শুরুতে বেশ প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রাখলেও টেস্টে তিনি তেমন কোন ভূমিকা রাখতে সমর্থ হননি। স্পিন সহায়ক পিচেও তিনি নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি।[6]
প্রত্যাশার তুলনায় আরও বেশি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন টমলিনসন। কেননা, ঐ মৌসুমে জেন বালাস্কাস আঘাতের কবলে পড়েন। তার অনুপস্থিতি স্বত্ত্বেও একটিমাত্র টেস্টে খেলার সুযোগ পান। তবে, দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনের চাহিদা সিরিল ভিনসেন্ট ব্রুস মিচেলের সহায়তায় পূরণ করে দেন। তার খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে তিনি নয় রান সংগ্রহ করেন ও দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ব্যাটিংয়ের কোন সুযোগ পাননি। ১০ ওভার বোলিং করে তিনি কোন উইকেটের সন্ধান পাননি ও ৩৮ রান খরচ করেন।[7] এই টেস্ট খেলার পর টমলিনসনকে বেশ উপেক্ষা করা হয় ও পরবর্তী ছয় সপ্তাহের মধ্যে তিনি কেবলমাত্র একটি খেলায় অংশ নিতে পেরেছেন।[2] সমগ্র সফরে ২৬.৫৩ গড়ে ৫২ উইকেট তুলে নেন যা নিয়মিত বোলারদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা ব্যয়বহুল ছিল। এছাড়াও ২০.১৪ গড়ে ২৮২ রান পান।[8] সফর শেষে দেশে ফেরার পথে টমলিনসন দলীয় অধিনায়ক জক ক্যামেরনের সাথে একযোগে জ্বরে আক্রান্ত হন। টমলিনসন দীর্ঘদিন পর আরোগ্য লাভ করলেও ক্যামেরনের পক্ষে তা আর সম্ভবপর হয়নি।[9]
অবসর
অসুস্থতার পাশাপাশি রোডেশিয়ার সীমিতসংখ্যক প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণের ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে মাত্র আরও দুইটি খেলায় অংশ নিতে পেরেছেন। উভয় খেলাই ১৯৩৮-৩৯ মৌসুমে ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে ছিল। যুদ্ধ শেষ হবার পর রোডেশিয়া কারি কাপ প্রতিযোগিতায় পুণঃপ্রবেশ করে ও টমলিনসন ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমের পুরো সময় খেলেন। এ মৌসুমেই তিনি তার সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের বিপক্ষে ৬/৫৬ পান। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমেও আরও কয়েকটি খেলায় অংশ নিয়ে খেলা চালিয়ে গেলেও এরপর তিনি অবসর নেন।
১১ জুলাই, ১৯৯৩ তারিখে ৮২ বছর বয়সে নাটাল প্রদেশের ডারবানে তার দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
- "Denis Tomlinson"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১২।
- "First-class matches played by Denis Tomlinson"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১২।
- "Scorecard: Rhodesia v MCC"। www.cricketarchive.com। ৬ ডিসেম্বর ১৯৩০। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১২।
- "Scorecard: Eastern Province v Rhodesia"। www.cricketarchive.com। ১ জানুয়ারি ১৯৩২। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১২।
- "Scorecard: Western Province v The Rest"। www.cricketarchive.com। ২৯ ডিসেম্বর ১৯৩২। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১২।
- "Wisden Cricketers' Almanack" (1936 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 6–7।
|অধ্যায়=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - "Scorecard: England v South Africa"। www.cricketarchive.com। ১৫ জুন ১৯৩৫। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১২।
- "South Africans in England"। Wisden Cricketers' Almanack। Part II (1936 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 62।
- "South Africans in England"। Wisden Cricketers' Almanack (1994 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 1393–94।
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ডেনিস টমলিনসন (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ডেনিস টমলিনসন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)