ডিব্রুগড় রেলওয়ে স্টেশন
ডিব্রুগড় রেল স্টেশনটি লামডিং-ডিব্রুগড় রেলপথের একটি রেলওয়ে জংশন স্টেশন। এটি ভারতের আসাম রাজ্যের ডিব্রুগড় জেলায় অবস্থিত। রেল স্টেশনটি ডিব্রুগড় শহর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় রেল পরিষেবা প্রদান করে। ডিব্রুগড় রেলওয়ে স্টেশন (ডিবিআরএইচ) ডিব্রুগড় টাউন রেলওয়ে স্টেশন (ডি.আই.আর.টি.) এর পরে ঐতিহাসিক শহর ডিব্রুগড়ের দ্বিতীয় রেলওয়ে স্টেশন।
ডিব্রুগড় | |
---|---|
আঞ্চলিক রেল এবং লাইট রেল স্টেশন | |
অবস্থান | বাণীপুর, ডিব্রুগড়, আসাম ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২৭°২৭′৫২″ উত্তর ৯৪°৫৬′১৩″ পূর্ব |
উচ্চতা | ১০৮ মিটার (৩৫৪ ফু) |
মালিকানাধীন | ভারতীয় রেল |
পরিচালিত | Northeast Frontier Railway zone |
লাইন | লামডিং-ডিব্রুগড় সেকশন |
প্ল্যাটফর্ম | ৪ |
রেলপথ | ১৮ |
নির্মাণ | |
গঠনের ধরন | আদর্শ স্টেশন |
পার্কিং | হ্যাঁ |
সাইকেলের সুবিধা | না |
প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকার | |
অন্য তথ্য | |
অবস্থা | সক্রিয় |
স্টেশন কোড | ডিবিআরজি (DBRG) |
অঞ্চল | উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল |
বিভাগ | তিনসুকিয়া রেলওয়ে বিভাগ |
ইতিহাস | |
চালু | ১৬ জুলাই ১৮৮৩ |
অবস্থান | |
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
শহুরে ইতিহাস: একটি কেস স্টাডি দীপালি বড়ুয়া তার বইয়ে লিখেছেন: "ডিগ্রুগড়কে ১৮৪০ সালে জেলা সদর দপ্তর করা হয়েছিল। কিন্তু এটি কেবল কৌশলগত গুরুত্বের জন্য নয় যে এটি শীঘ্রই এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আসামের ব্রিটিশদের সবচেয়ে বড় স্বার্থ ছিল ১৮২৩ সালের গোড়ার দিকে আধুনিক সৈদি অঞ্চলে ব্রিটিশরা চা চাষ শুরু করেছিল। এটি ডিব্রুগড়ের পূর্ব দিকে ২০ মাইল দূরে চাবুয়ায় ছিল, ব্রিটিশরা সেখানে আদিবাসী উদ্ভিদগুলির সাথে চা চাষের মাধ্যমে তাদের প্রথম পরীক্ষা দিয়েছিল। খুব শীঘ্রই ডিব্রুগড় শহরের নিকটবর্তী এলাকায় তেল ও কয়লা আবিষ্কার করা হয়। ১৮৮২ সালে ডিগবোইতে তেল আবিষ্কৃত হয় এবং ১৮৭৬ সালে মার্গারিটাতে কয়লা পাওয়া যায়। এগুলি ব্যাপকভাবে শিল্প, বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড কেন্দ্র হিসেবে ডিব্রুগড়ের গুরুত্বকে উন্নত করেছে। "[1]
ইতিহাস
১৮৮৩ সালের ১৬ জুলাই যাত্রাবাড়ীর যাত্রা শুরু করে ডিব্ররগড় স্টিমার ঘাট থেকে মকুম পর্যন্ত ১০০০ মিলিমিটার প্রশস্ত মিটারগেজ লাইন খোলা হয়।[1]
১৯০৩ সালে চট্টগ্রাম থেকে লামডিং পর্যন্ত আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে দ্বারা নির্মিত মিটার গেজ রেলপথকে ডিব্রুগড়-সাদিয়া লাইনের দ্বারা তিনশুকিয়া পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়েছিল।[1][2]
লামডিং-ডিব্রুগড় রেলপথের মিটার গেজ থেকে ১৬৭৬ মিলিমিটার চওড়া ব্রডগেজ রূপান্তরের প্রকল্পটি ১৯৯৭ সালের শেষের দিকে সম্পন্ন হয়েছিল।[3]
নতুন স্টেশন
১৩ ডিসেম্বর ২০০৯ সালে বনপুরের নতুন স্টেশনের যাত্রা শুরু হয়।[4]
ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী বিবেক এক্সপ্রেস
২০১১ সালে চালু ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী বিবেক এক্সপ্রেস, ভারতের একটি দীর্ঘতম যাত্রাপথের ট্রেন বা রেল পরিষেবা। আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা ও তামিলনাড়ু রাজ্যের মধ্য দিয়ে ৮২ ঘণ্টায় ট্রেনটি ৪,২৭৮ কিলোমিটার (২,৬৫৮ মা) যাত্রপথ অতিক্রম করে।[5][6]
বগীবিল সেতু
বগীবিল দলং বা বগীবিল সেতু (অসমীয়া: বগীবিল দলং) অসমের ডিব্রুগড় জেলার বগীবিল নামক স্থানে অবস্থিত। এইটি অসমের ব্রহ্মপুত্র নদীর চতুর্থ সেতু। ১৯৯৭ সনের ২২ জানুয়ারি তারিখে ব্রহ্মপুত্র নদীর উত্তর পারে অবস্থিত সিসিবরগাওয়ের কুলাজান নামক স্থানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এস.ডি.দেবগৌড়া ইহার আধারশীলা নির্মাণ করেছিলেন। বগীবিল সেতু দোতালা বিশিষ্ট সেতু । ইহা রেল ও গাড়ি চলাচলের জন্য উপযোগী। ২০০২ সনে প্রধামন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী বগীবিল সেতু নির্মাণের কার্য আরম্ভ করেছিলেন। বগীবিল সেতুর নির্মাণ কার্য এখনও সম্পূর্ণ হয় নাই। বগীবিল ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতু।[7][8]
তথ্যসূত্র
- Urban History of India: A Case-Study by Deepali Barua, pages 4, 79-80, আইএসবিএন ৮১-৭০৯৯-৫৩৮-৮, Mittal Publications, A-110 Mohan Garden, New Delhi - 110059
- "History of Tinsukia Division"। NF Railway। ১০ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৩।
- "Lumding Dibrugarh GC Project"। Process Register। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৩।
- "Train services commence from New Dibrugarh junction"। The Assam Tribune, 14 December 2009। ১৬ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৩।
- "Vivek Express completes maiden trip ahead of schedule"। The Hindu, 24 November 2011। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৩।
- "Train to Dbrugarh"। The Hindu, 27 November 2011। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৩।
- "Bogibeel Bridge project marks 10 years with slow progress"। The Times of India, 21 April 2012। ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৩।
- "A long wait for the longest bridge in the country"। The Financial Express, 6 May 2012। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৩।