ট্যাবলেট কম্পিউটার

একটি ট্যাবলেট কম্পিউটার (সাধারণভাবে ট্যাবলেট নামে পরিচিত), হল এক ধরনের মোবাইল কম্পিউটার। প্রচলিত কম্পিউটার মাউসের পরিবর্তে এই যন্ত্রে থাকে স্পর্শকাতর পর্দা, যা হাতের আঙুলের স্পর্শ বা অন্যান্য অঙ্গভঙ্গী বুঝতে সক্ষম। টাইপিং এর জন্য এই যন্ত্রে ব্যবহৃত হয় পর্দায় প্রদর্শিত ভার্চুয়াল কিবোর্ড। ট্যাবলেট কম্পিউটার স্মার্টফোন এবং পার্সোনাল ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্টের চেয়ে আকারে কিছুটা বড় হয়। এটি আড়াআড়িভাবে ৭ ইঞ্চি বা তার চেয়েও আকারে বড় হয়।[1][2][3]

দুটি জনপ্রিয় ট্যাবলেট কম্পিউটার, অ্যাপলের আইপ্যাড (বামে) এবং আমাজনের ফায়ার ট্যাবলেট (ডামে)

যদিও এটি সাধারণভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তবুও এটিকে ভৌত কিবোর্ড বা অন্যান্য যন্ত্রের সাথে যুক্ত করা যায়। অপসৃতপূর্ণ কিবোর্ড যুক্ত কিছু হাইব্রিড কম্পিউটার ১৯৯০ এর মাঝামাঝি সময় থেকে বিক্রয় শুরু হয়। পরিবর্তনীয় স্পর্শকাতর পর্দা যুক্ত নোটবুক কম্পিউটারে একীভূতকৃত কিবোর্ড থাকে যা সুইভেল বা স্লাইড সংযোগের মাধ্যমে লুকানো যায়। বুকলেট ট্যাবলেটে দ্বৈত স্পর্শ পর্দা থাকে এবং এটিকে নোটবুক হিসেবেও ব্যবহার করা যায় এবং এর একটি পর্দায় ভার্চুয়াল কিবোর্ড প্রদর্শিত হয়।

এর ধারণা করা হয় বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এবং শতাব্দীর শেষ দুই দশকে এর উন্নয়ন করা হয়। ২০১০ সালে এসে এই যন্ত্র জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

কিন্ডল ফায়ার, আমামাজনের একটি ট্যাবলেট কম্পিউটার।
গ্রাফিক ট্যাবলেট

২০১২ সালের মার্চ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৩১ শতাংশই ট্যাবলেট ব্যবহার করেন। যা বিশেষ করে ভিডিও বা সংবাদ প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয়।[4] ২০১২ সালে, ট্যাবলেটের মধ্যে সর্বোচ্চ বিক্রিত হয় অ্যাপলের আইপ্যাড। ২০১০ সালের ৩ এপ্রিল, বাজারে ছাড়ার পর থেকে ২০১২ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এটি প্রায় ১০০ মিলিয়ন বিক্রিত হয়।[5] এর পরেই রয়েছে অ্যামাজনের কিন্ডল ফায়ার (৭ মিলিয়ন) এবং বার্নেস এবং নোবেলসের নুক (৫ মিলিয়ন)।[6][7][8]

ইতিহাস

১৮৮৮ টেলঅটোগ্রাফ মেধাস্বত্ত্ব মডেল।

পেন কম্পিউটিং এর উন্নয়নের সাথেই ট্যাবলেট কম্পিউটার এবং এর সাথে সম্পর্কিত অপারেটিং সিস্টেমের উদ্ভব ঘটে।[9] একটি সমতল ডিসপ্লেতে ডাটা ইনপুট এবং আউটপুট সমৃদ্ধ বৈদ্যুতিক যন্ত্র ১৮৮৮ সাল থেকেই অস্তিমান ছিল।[10] এধরনের যন্ত্রে ডিসপ্লে হিসেবে ব্যবহৃত হয় একটি কাগজ এবং ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল অ্যাক্টুয়েটরের সাথে সংযুক্ত একটি কলম। বিংশ শতাব্দির পুরোটা জুড়েই এধরনের বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ যন্ত্র কল্পনা করা হয় এবং উদ্ভাবনও করা হয়, কখনও ব্লুপ্রিন্ট, প্রোটোটাইপ হিসেবে অথবা কখনও বানিজ্যিক পণ্য হিসেবে। ১৯৮০ এর দশকে বিভিন্ন কোম্পানি কিছু বাণিজ্যিক পণ্য অবমুক্ত করে।

তথ্যসূত্র

  1. Editors PC Magazine। "Definition of: tablet computer"PC Magazine। ১৬ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৩
  2. Editors Dictionary.com, "tablet computer – 1 dictionary result", Dictionary.com, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৩
  3. "What makes a tablet a tablet? (FAQ)"CNET.com। ২৮ মে ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৩
  4. Angela Moscaritolo (১৮ জুন ২০১২)। 31 Percent of U.S. Internet Users Own Tablets "Survey: 31 Percent of U.S. Internet Users Own Tablets" |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)PC Magazine। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৩
  5. Brian X. Chen (২৩ অক্টোবর ২০১২)। "Apple, Facing Competition, Introduces a Smaller iPad of no significant change"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৩
  6. X. Chen, Brian (১৯ অক্টোবর ২০১২)। "How Are 7-Inch Tablets Doing?"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৩
  7. Poeter, Damon (২৭ ডিসেম্বর ২০১২)। "Non-Apple Tablets Making Small Gains on iPad"। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৩
  8. "Massacre of the tablets | FP Tech Desk | Financial Post"। Business.financialpost.com। ২৪ ডিসেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৩
  9. "Notes on the History of Pen-based Computing (Youtube)"। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৩
  10. Gray, Elisha (৩১ জুলাই ১৮৮৮), Telautograph (পিডিএফ), United States Patent 386,815 (full image), সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৩

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.