টোগো জাতীয় ফুটবল দল

টোগো জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Togo national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে টোগোর প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম টোগোর ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা টোগান ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৬৪ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৬৩ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৫৬ সালের ১৩ই অক্টোবর তারিখে, টোগো প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; ফরাসি টোগোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত টোগো এবং ত্রঁস-ভোলতা টোগোল্যান্ডের মধ্যকার উক্ত ম্যাচটি ১–১ গোলে ড্র হয়েছে।

টোগো
দলের লোগো
ডাকনামলে এপেরভের্স
অ্যাসোসিয়েশনটোগান ফুটবল ফেডারেশন
কনফেডারেশনক্যাফ (আফ্রিকা)
প্রধান কোচক্লদ লে রয়
অধিনায়কএমানুয়েল আদাবায়ের
সর্বাধিক ম্যাচএমানুয়েল আদাবায়ের (৮৭)
শীর্ষ গোলদাতাএমানুয়েল আদাবায়ের (৩২)[1]
মাঠকেগো স্টেডিয়াম
ফিফা কোডTOG
ওয়েবসাইটwww.ftftogo.com
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১২১ বৃদ্ধি ৫ (৩১ মার্চ ২০২২)[2]
সর্বোচ্চ৪৬ (আগস্ট ২০০৬)
সর্বনিম্ন১২৯ (এপ্রিল ২০১৮)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১১৫ বৃদ্ধি ২৩ (৩০ এপ্রিল ২০২২)[3]
সর্বোচ্চ৫৬ (নভেম্বর ২০০৫, জানুয়ারি ২০০৬)
সর্বনিম্ন১২৮ (সেপ্টেম্বর ১৯৯৪)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
ফ্রান্স ফরাসি টোগোল্যান্ড ১–১ গোল্ড কোস্ট ত্রঁস-ভোলতা টোগোল্যান্ড যুক্তরাজ্য
(ফরাসি টোগোল্যান্ড; ১৩ অক্টোবর ১৯৫৬)
বৃহত্তম জয়
 টোগো ৬–০ সোয়াজিল্যান্ড 
(আক্রা, ঘানা; ১১ নভেম্বর ২০০৮)
 টোগো ৬–০ মরিশাস 
(লোমে, মরিশাস; ১২ নভেম্বর ২০১৭)
বৃহত্তম পরাজয়
 মরক্কো ৭–০ টোগো 
(মরক্কো; ২৮ অক্টোবর ১৯৭৯)
 তিউনিসিয়া ৭–০ টোগো 
(তিউনিস, তিউনিসিয়া; ৭ জানুয়ারি ২০০০)
বিশ্বকাপ
অংশগ্রহণ১ (২০০৬-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যগ্রুপ পর্ব (২০০৬)
আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্স
অংশগ্রহণ৮ (১৯৭২-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যকোয়ার্টার-ফাইনাল (২০১৩)

৪০,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট কেগো স্টেডিয়ামে লে এপেরভের্স নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় টোগোর রাজধানী লোমেতে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন ক্লদ লে রয় এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় এমানুয়েল আদাবায়ের

টোগো এপর্যন্ত মাত্র ১ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে তারা শুধুমাত্র গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছিল। অন্যদিকে, আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্সে টোগো এপর্যন্ত ৮ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ২০১৩ আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্সের কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছানো, যেখানে তারা বুর্কিনা ফাসোর কাছে অতিরিক্ত সময়ে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

মুহাম্মদ কাদির, আব্দুল গফর মামাহ, দারে নিবোম্বে, এমানুয়েল আদাবায়ের এবং কদিয়ো ফো-দোহ লাবার মতো খেলোয়াড়গণ টোগোর জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে টোগো তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (৪৬তম) অর্জন করে এবং ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১২৯তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে টোগোর সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৫৬তম (যা তারা ২০০৫ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১২৮। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
৩১ মার্চ ২০২২ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[2]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১১৯হ্রাস  মোজাম্বিক১১৪৬.০৯
১২০হ্রাস  মালাউই১১৪৫.০৮
১২১বৃদ্ধি  টোগো১১৪০
১২২অপরিবর্তিত  জিম্বাবুয়ে১১৩৮.৫৬
১২৩বৃদ্ধি  গাম্বিয়া১১৩৮.১৯
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
৩০ এপ্রিল ২০২২ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[3]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১১৩বৃদ্ধি ১৪  নামিবিয়া১৩৫৯
১১৪বৃদ্ধি ১৭  সিয়েরা লিওন১৩৫৮
১১৫বৃদ্ধি ২৩  টোগো১৩৪৮
১১৬হ্রাস ১৪  কুয়েত১৩৪১
১১৭বৃদ্ধি  লিবিয়া১৩৩৮
১১৭বৃদ্ধি ২৪  লাতভিয়া১৩৩৮

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য

ফিফা বিশ্বকাপ

ফিফা বিশ্বকাপবাছাইপর্ব
সালপর্বঅবস্থানম্যাচজয়ড্রহারস্বগোবিগোম্যাচজয়ড্রহারস্বগোবিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০অংশগ্রহণ করেনিঅংশগ্রহণ করেনি
ইতালি ১৯৩৪
ফ্রান্স ১৯৩৮
ব্রাজিল ১৯৫০
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪
সুইডেন ১৯৫৮
চিলি ১৯৬২
ইংল্যান্ড ১৯৬৬
মেক্সিকো ১৯৭০
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪উত্তীর্ণ হয়নি
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮
স্পেন ১৯৮২
মেক্সিকো ১৯৮৬প্রত্যাহারপ্রত্যাহার
ইতালি ১৯৯০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪উত্তীর্ণ হয়নি১১
ফ্রান্স ১৯৯৮১৬
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২১০১৩১৩
জার্মানি ২০০৬গ্রুপ পর্ব৩০তম১২২২
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০উত্তীর্ণ হয়নি১০১১১০
ব্রাজিল ২০১৪১২
রাশিয়া ২০১৮
কাতার ২০২২অনির্ধারিতঅনির্ধারিত
মোটগ্রুপ পর্ব১/২১৬৩২১১৩২৯৬৮৮৬

তথ্যসূত্র

  1. Mamrud, Roberto; Stokkermans, Karel। "Players with 100+ Caps and 30+ International Goals"। RSSSF। ২০১১-০৬-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-১৬
  2. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ৩১ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২২
  3. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ৩০ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.