টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় জাপানের টোকিওতে অবস্থিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়।
東京大学 | |
লাতিন: Universitas Tociensis | |
ধরন | Public (National) |
---|---|
স্থাপিত | ১৮৭৭ |
সভাপতি | Makoto Gonokami (五神真) |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ২,৪২৯ পূর্ণকালীন ১৭৫ খন্ডকালীন[1] |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ৫,৭৭৯ |
শিক্ষার্থী | ২৮,৬৯৭[2] |
স্নাতক | ১৪,২৭৪ |
স্নাতকোত্তর | ১৩,৭৩২ |
৬,০২২ | |
অন্যান্য শিক্ষার্থী | 747 গবেষক ছাত্র |
অবস্থান | , |
শিক্ষাঙ্গন | শহর |
পোশাকের রঙ | হালকা নীল |
ক্রীড়াবিষয়ক | ৪৬টি দল |
অধিভুক্তি | IARU, APRU, AEARU, AGS, BESETOHA |
ওয়েবসাইট | u-tokyo.ac.jp |
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১০ টি অনুষদ রয়েছে এবং ৩০০০০ শিক্ষার্থী এখানে পড়াশুনা করে। এদের মধ্যে ২১০০ শিক্ষার্থী বিদেশি। এটির ৫ টি ক্যাম্পাস রয়েছে। জাপানের প্রথম দিকের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।[3]
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি পড়াশোনা করেছেন, এদের মধ্যে ১৭ জন প্রধানমন্ত্রী, ১৬ জন নোবেল বিজয়ী, ৩ জন পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী, ৩ জন নভোচারী এবং ১ জন ফিল্ড মেডালিস্ট রয়েছেন।[4] বিশ্ববিদ্যালয়েটি ১৮৭৭ সালে স্থাপিত হয় এবং এটি জাপানের একটি অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়।
ইতিহাস
মেইজি সরকার ১৮৭৭ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি এখনকার নামে স্থাপিত করার সম্মতি দায়। কিছু পুরোনো চিকিৎসাবিদ্যার বিদ্যালয়, কিছু পারম্পরিক বিষয়ের শিক্ষাকেন্দ্র, এবং আধুনিক বিদ্যালয় মিলিত করে এই বিস্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। প্রথমে নামকরণ হয় সাম্রাজিক বিশ্ববিদ্যালয় (ইম্পেরিয়াল উনিভার্সিটি বা 帝國大學, টেইগোকু ডাইগাকু) কিন্তু সেটা বদলে ১৮৯৭ সালে নাম হয় টোকিও সাম্রাজিক বিস্ববিদ্যালয় যখন 'সাম্রাজিক বিস্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা' স্থাপিত করা হয়।
১৯২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভূমিকম্প এবং তার থেকে ছড়ানো আগুনে সাম্রাজিক বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের ৭০০০০০ বই পুড়ে ছারখার হয় যায়।[5] এই তালিকায় হোসিনো গ্রন্থাগারের (星野文庫, হোসিনো বুনকো) ১০০০০ বই। এই গ্রন্থাগারের বই গুলো হোসিনো হিসাশীর সংগ্রহ থেকে আনা হয় এবং বইগুলো চৈনিক দর্শন এবং ইতিহাসের বিষয় ছিলো।[6][7]
জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হেরে যায় এবং ফলস্বরূপ এরপর ১৯৪৭ সালে বিস্ববিদ্যালয়টি আবার নিজের পুরোনো নাম ব্যবহার শুরু করে। ১৯৪৯ সালে নতুন বিস্ববিদ্যালয় বাবস্থা আসে এবং তোডাই প্রথম উচ্চবিদ্যালয় (আজকের কোমাবা ক্যাম্পাস) টোকিও উচ্চবিদ্যালয় নিজের মধ্যে নিয়ে নায়। এই দুটি তে প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষ পড়ানো হয়। তৃতীয় এবং চতুর্থ বর্ষ হংগোর প্রাথমিক ক্যাম্পাসে পড়ানো হয়।
যদিও বিস্ববিদ্যালয়টি মেইজি জমানায় বানানো হয়, এর শিকড় আসলে আরো পুরোনো। তোকুগাওয়া সরকার (১৬০৩-১৮৬৭) এখানে খগলবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান (天文方; ১৬৮৪), শোহেইযাকা গবেষণা কার্যালয় (昌平坂学問所; ১৭৯৭) এবং পাশ্চাত্য পুস্তক অনুবাদ সংস্থা (蕃書和解御用; ১৮১১) স্থাপিত করে।[8] এই সংস্থাগুলো বিদেশ থেকে বই অনানো এবং তার অনুবাদে খুব উল্লেখযোগ্য অনুদান করে।
কিকুচি ডাইরোকু, বিশিষ্ট জাপানি শিক্ষাবিদ, একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন।
২০ জানুয়ারি ২০১২ সালে অধ্যক্ষ ঘোষণা করেন যে বিস্ববিদ্যালয় নিজের শিক্ষাবর্ষ এপ্রিল থেকে সরিয়ে সেপ্টেম্বর করবে যাতে অন্তরাষ্ট্রীয় মানদণ্ডের সঙ্গে চলা যেতে পারে। বিস্ববিদ্যালয় এই বদল একটি পাঁচ বছরের সময়সীমা মেনে আনতে চাইছিল কিন্তু ছাত্ররা ঘোষণাটি ভালো চোখে দেখেনা, অতএব পরিকল্পনা ভেস্তে ফেলা হয়।[9][10]
দ্য জাপান টাইমসের মতে ২০১২ ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিযুক্ত ছিলেন ১২৮২ অধ্যাপক, যার মধ্যে ৫৮ জন মহিলা ছিলেন।[11]
২০১২ সালের শরৎকালে প্রথমবার টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকস্তরে দুটি শিক্ষাক্রম পুরোপুরি ইংরেজি ভাষায় চালায়। Programs in English at Komaba (PEAK বা কোমাবায় ইংরেজি শিক্ষাক্রম) — জাপানে পূর্ব এশিয়ার আন্তর্জাতিক শিক্ষাক্রম এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশবিজ্ঞান শিক্ষাক্রম।[12][13] ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিদ্যালয়গুলো ইংরেজি ভাষায় পড়ানো শুরু করে, Global Science Course (GSC বা বিশ্ব বিজ্ঞান শিক্ষাক্রম) এর মাধ্যমে।[14]
- টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশিক্ষা ভবন
- কোমাবা গ্রন্থাগার
- টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কঠিনাবস্থা পদার্থবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ভবন।
- কোইশিকাওয়া উদ্ভিদ উদ্যান
গঠন
অনুষদসমূহ
- আইন
- চিকিৎসা
- প্রকৌশল
- লেটার
- বিজ্ঞান
- কৃষি
- অর্থনীতি
- কলা ও বিজ্ঞান
- শিক্ষা
- ওষুধবিজ্ঞান
লিঙ্গ অসাম্য
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির তালিকা দেখলে পাওয়া যায় যে ২৪৬৭৪ দেশীয় ছাত্রের মধ্যে মাত্র ৫২৬৭ মহিলা ছাত্রী। এই অনুপাত বিদেশি ছাত্রদের মধ্যে তুলনামূলক ভাবে ভালো, ৩৭৩৭ ছাত্রের মধ্যে ১৪৬৫ জন মহিলা।[15] এই বৈষম্য অধ্যাপকদের মধ্যে আরো বেশি। বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র ৭.৮% অধ্যাপিকা শিক্ষকতা করেন।[16]
বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ক্লাব ছাত্রীদের সদস্য হতে অনুমতি দেয় না, যদিও বা বিশ্ববিদ্যালয় এই বৈষম্য নিরূত্সাহ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিরিশটি টেনিস ক্লাবের মধ্যে মাত্র দুটি ছাত্রীদের সদস্য করে।[17]
ক্যাম্পাস
প্রাথমিক হোনগো ক্যাম্পাস এদো জমানায় কাগা প্রদেশের সামন্ত ম্যায়েদা পরিবারের ভূসম্পতির ওপর অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিখ্যাত বৈশিষ্ট 'লাল দরজা' (আকামন) এই ঐতিহাসিক সময়কার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীক হলো গিনকো (বা জিনকো) গাছের পাতা। এই গাছ ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রচুর আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক মে-উৎসব হোনগো ক্যাম্পাসে পালন করা হয়।[18]
- য়াসুদা পেক্ষাগৃহ
- আকামন (লাল দরজা)
- হোনগো ক্যাম্পাসের তথ্যকেন্দ্র
- প্রথম স্বাস্থবিজ্ঞান ভবন
- দ্বিতীয় স্বাস্থবিজ্ঞান ভবন
- সাধারণ গ্রন্থাগার
র্যাংকিং
বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং |
---|
কৃতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক
- কুনিহিকো কোদাইরা, ফিল্ডস পদক ১৯৫৪
- সিন-ইতিরো তোমোনাগা, পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ১৯৬৫
- লিও এসাকি, পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ১৯৭৩, আইইইই মেডেল অব অনার ১৯৯১
- মাসাতোশি কোশিবা, পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ২০০২
- ইয়োইচিরো নাম্বু, পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ২০০৮, ন্যাশনাল মেডেল অব সায়েন্স ১৯৮২
- এই-ইচি নেগিশি, রসায়নে নোবেল পুরস্কার ২০১০
- সাতোশি ওমুরা, চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ২০১৫
- তাকাকি কাজিটা, পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ২০১৫
- তাদাহিরো সেকিমোতো, আইইইই আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল মেডেল ১৯৯৬, আইইইই মেডেল অব অনার ২০০৪
- হিরোশি হারা (স্থপতি), একজন স্থপতি
তথ্যসূত্র
- "University of Tokyo [Organization] Number of Students / Personnel"। ২০০৭-০৬-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-১৪।
- "東京大学 (学生数)学生・研究生・聴講生数"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-১৪।
- "Archived copy"। আগস্ট ২১, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৯, ২০১৬।
- "The University of Tokyo"। The University of Tokyo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৮।
- LOST MEMORY - LIBRARIES AND ARCHIVES DESTROYED IN THE TWENTIETH CENTURY ( Archived September 5, 2012, at the Wayback Machine)
- LOST MEMORY - LIBRARIES AND ARCHIVES DESTROYED IN THE TWENTIETH CENTURY ( Archived September 5, 2012, at the Wayback Machine)
- 漢籍関係年表. Chinese classics (in Japanese). Tokyo University General Library. Archived from the original on 29 March 2012. Retrieved 5 September 2011.
- 東大と天皇-大日本帝国の生と死 (Todai and Emperors - Life and Death of Imperial Japan), by 立花 隆(Takashi Tachibana), (pp 22-62), ISBN 4-16-367440-3
- Brasor, Philip, "Todai calls for change, but will others follow?", Japan Times, 5 February 2012, p. 9.
- Aoki, Mizuho, "Reform means the world for Todai", Japan Times, 18 February 2012, p. 3.
- Brasor, Philip, "Todai calls for change, but will others follow?", Japan Times, 5 February 2012, p. 9.
- "The University of Tokyo, PEAK - Programs in English at Komaba - HOME". Peak.c.u-tokyo.ac.jp. Retrieved 15 November 2018.
- "The University of Tokyo, PEAK - Programs in English at Komaba - Introduction". Archived from the original on 16 August 2015. Retrieved 12 June 2015.
- "Global Science Course". S.u-tokyo.ac.jp. Retrieved 15 November 2018.
- "Enrollment". Retrieved 8 December 2019.
- "Sexist thinking is everywhere, even at Todai, new intake warned". Retrieved 8 December 2019.
- "At Japan's Most Elite University, Just 1 in 5 Students Is a Woman". Retrieved 8 December 2019.
- 第86期五月祭常任委員会. "トップページ|東京大学 第86回五月祭". 第86回五月祭公式ウェブページ. Archived from the original on 5 September 2015. Retrieved 12 June 2015.