টেস্ট ও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে জোড়া শূন্য রান
পেয়ার বা জোড়া শূন্য রান ক্রিকেটীয় পরিভাষাবিশেষ। যখন কোন ব্যাটসম্যান উভয় ইনিংসে শূন্য রানে ডিসমিসাল হন, তখন তিনি পেয়ার বা জোড়া শূন্য লাভ করেছেন বলে গণ্য করা হয়। যখন কোন ব্যাটসম্যান উভয় ইনিংসে প্রথম বলেই আউট হন তখন তিনি কিং পেয়ার পেয়েছেন বলে পরিচিতি পান। চশমার আদলে এ নামের উৎপত্তি ঘটেছে। তবে, দীর্ঘ সময়ের খেলায় খুব কমই এর ব্যবহার হয়ে থাকে।[1]
নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার ক্রিস মার্টিন সাত টেস্টের উভয় ইনিংসে সর্বাধিকসংখ্যক শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। এ সংখ্যাটি নিকটবর্তী খেলোয়াড়ের চেয়ে তিন টেস্ট বেশি। পাঁচজন খেলোয়াড় টেস্ট ক্রিকেটে চারবার জোড়া শূন্য রান করেছেন। ভারতীয় বোলার ভগবত চন্দ্রশেখর, শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারভিন ডিলন ও কোর্টনি ওয়ালসের সাথে ব্যাটিংয়ে দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যান মারভান আতাপাত্তু এ তালিকায় রয়েছেন। তিনি তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে ছয় ইনিংস মিলিয়ে মাত্র এক রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। দুইবার জোড়া শূন্য রান নিয়ে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করার পর পরবর্তীকালে আরও দুইবার জোড়া শূন্য লাভের মুখোমুখি হন। ১৪জন খেলোয়াড় তিনবার জোড়া শূন্য রানের সন্ধান পান। তন্মধ্যে, গ্লেন ম্যাকগ্রা, কার্টলি অ্যামব্রোস ও অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের ন্যায় তারকা খেলোয়াড় অন্যতম।[2]
টেস্ট অভিষেকে জোড়া শূন্য রান
১৭ জুন, ২০২০ তারিখ পর্যন্ত সর্বমোট ৪৪জন ব্যাটসম্যান তাদের টেস্ট অভিষেকে জোড়া শূন্য রানের সন্ধান পেয়েছেন।[3]
- ফ্রেড গ্রেস, ইংল্যান্ড ব অস্ট্রেলিয়া, ওভাল, লন্ডন, ১৮৮০
- ক্লারেন্স উইম্বল, দক্ষিণ আফ্রিকা ব ইংল্যান্ড, কেপটাউন, ১৮৯১-৯২
- যোসেফ উইলোবি, দক্ষিণ আফ্রিকা ব ইংল্যান্ড, পোর্ট এলিজাবেথ, ১৮৯৫-৯৬
- যোহানেস কৎজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ব অস্ট্রেলিয়া, জোহেন্সবার্গ, ১৯০২-০৩
- পার্সি টুয়েন্টিম্যান-জোন্স, দক্ষিণ আফ্রিকা ব অস্ট্রেলিয়া, কেপটাউন, ১৯০২-০৩
- টমি ওয়ার্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ব অস্ট্রেলিয়া, ম্যানচেস্টার, ১৯১২
- পার্সি লুইস, দক্ষিণ আফ্রিকা ব ইংল্যান্ড, ডারবান, ১৯১৩-১৪
- সেসিল ডিক্সন, দক্ষিণ আফ্রিকা ব ইংল্যান্ড, জোহেন্সবার্গ, ১৯১৩-১৪
- টেড ব্যাডকক, নিউজিল্যান্ড ব ইংল্যান্ড, ক্রাইস্টচার্চ, ১৯২৯-৩০
- কেন জেমস, নিউজিল্যান্ড ব ইংল্যান্ড, ক্রাইস্টচার্চ, ১৯২৯-৩০
- জিম স্মিথ, ইংল্যান্ড ব ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ব্রিজটাউন, ১৯৩৪-৩৫
- গর্ডন রো, নিউজিল্যান্ড ব অস্ট্রেলিয়া, ওয়েলিংটন, ১৯৪৫-৪৬
- লেন বাটারফিল্ড, নিউজিল্যান্ড ব অস্ট্রেলিয়া, ওয়েলিংটন, ১৯৪৫-৪৬
- কুয়ান ম্যাকার্থি, দক্ষিণ আফ্রিকা ব ইংল্যান্ড, ডারবান, ১৯৪৮
- আল্ফ ভ্যালেন্টাইন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব ইংল্যান্ড, ম্যানচেস্টার, ১৯৫০
- রাম রামচাঁদ, ভারত ব ইংল্যান্ড, হেডিংলি, লিডস, ১৯৫২
- গ্রাহাম গুচ, ইংল্যান্ড ব অস্ট্রেলিয়া, এজবাস্টন, বার্মিংহাম, ১৯৭৫
- ব্রেন্ডন ব্রেসওয়েল, নিউজিল্যান্ড ব ইংল্যান্ড, লর্ডস, ১৯৭৮
- মাইক হুইটনি, অস্ট্রেলিয়া ব ইংল্যান্ড, ম্যানচেস্টার, ১৯৮১
- মনিন্দর সিং, ভারত ব পাকিস্তান, করাচী, ১৯৮২-৮৩
- কেন রাদারফোর্ড, নিউজিল্যান্ড ব ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পোর্ট অব স্পেন, ১৯৮৪-৮৫
- ক্রিস কাগেলিন, নিউজিল্যান্ড ব ভারত, ব্যাঙ্গালোর, ১৯৮৮-৮৯
- রশীদ প্যাটেল, ভারত ব নিউজিল্যান্ড, বোম্বে, ১৯৮৮-৮৯
- মারভান আতাপাত্তু, শ্রীলঙ্কা ব ভারত, চণ্ডিগড়, ১৯৯০-৯১
- সাঈদ আনোয়ার, পাকিস্তান ব ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ফয়সালাবাদ, ১৯৯০-৯১
- অ্যালান ডোনাল্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ব ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ব্রিজটাউন, ১৯৯১-৯২
- স্টিফেন পিয়ল, জিম্বাবুয়ে ব পাকিস্তান, করাচী, ১৯৯৩-৯৪
- পিটার ম্যাকইনটায়ার, অস্ট্রেলিয়া ব ইংল্যান্ড, অ্যাডিলেড ওভাল, ১৯৯৪-৯৫
- ডার্ক ভিলজোয়েন, জিম্বাবুয়ে ব পাকিস্তান, বুলাওয়ে, ১৯৯৭-৯৮
- গ্যাভিন হ্যামিল্টন, ইংল্যান্ড ব দক্ষিণ আফ্রিকা, জোহেন্সবার্গ, ১৯৯৯-২০০০
- জেমস ফ্রাঙ্কলিন, নিউজিল্যান্ড ব পাকিস্তান, অকল্যান্ড, ২০০০-০১
- আলমগীর কবির, বাংলাদেশ ব শ্রীলঙ্কা, কলম্বো, ২০০২-০৩
- হসন্ত ফার্নান্দো, শ্রীলঙ্কা ব দক্ষিণ আফ্রিকা, জোহেন্সবার্গ, ২০০২-০৩
- লাসিথ মালিঙ্গা, শ্রীলঙ্কা ব অস্ট্রেলিয়া, ডারউইন, ২০০৩-০৪
- চামারা সিলভা, শ্রীলঙ্কা ব নিউজিল্যান্ড, ক্রাইস্টচার্চ, ২০০৬-০৭
- ক্রিস ট্রেমলেট, ইংল্যান্ড ব ভারত, লর্ডস, ২০০৭
- মার্ক গিলেস্পি, নিউজিল্যান্ড ব দক্ষিণ আফ্রিকা, সেঞ্চুরিয়ন, ২০০৭-০৮
- ডিন এলগার, দক্ষিণ আফ্রিকা ব অস্ট্রেলিয়া, পার্থ, ২০১২-১৩
- নাতসাই মুশাঙউই, জিম্বাবুয়ে ব বাংলাদেশ, খুলনা, ২০১৪
- রাজেন্দ্র চন্দ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব অস্ট্রেলিয়া, সাবিনা পার্ক, ২০১৫
- আলজারি জোসেফ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব ভারত, সেন্ট লুসিয়া, ২০১৬
- কামরুল ইসলাম রাব্বি, বাংলাদেশ ব ইংল্যান্ড, চট্টগ্রাম, ২০১৬
- চাদ সেয়ার্স, অস্ট্রেলিয়া ব দক্ষিণ আফ্রিকা, জোহেন্সবার্গ, ২০১৮
- অ্যান্ড্রু বালবির্নি, আয়ারল্যান্ড ব পাকিস্তান, মালাহাইড, ২০১৮
টেস্টে ধারাবাহিকভাবে জোড়া শূন্য রান
দূর্ভাগ্যজনকভাবে নিচের ব্যাটসম্যানেরা পরপর দুই টেস্টে জোড়া শূন্য রানের সন্ধান পেয়েছেন।[4]
- ববি পিল (ইংল্যান্ড, ১৮৯৪-৯৫)
- বব ক্রিস্প (দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৯৩৫-৩৬)
- ওয়েন ক্লার্ক (অস্ট্রেলিয়া, ১৯৭৭-৭৮)
- প্যাট পোকক (ইংল্যান্ড, ১৯৮৪)
- বব হল্যান্ড (অস্ট্রেলিয়া, ১৯৮৫/১৯৮৫-৮৬)
- মার্ক ওয়াহ (অস্ট্রেলিয়া, ১৯৯২-৯৩)
- গ্লেন ম্যাকগ্রা (অস্ট্রেলিয়া, ১৯৯৮-৯৯)
- অজিত আগরকর (ভারত, ১৯৯৯-২০০০)
- মার্ভ ডিলন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৯৮-৯৯/২০০০-০১)
- দ্বীননাথ রামনারায়ণ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০০১-০২)
- শাব্বির আহমেদ (পাকিস্তান, ২০০৫/২০০৫-০৬)
টেস্ট অধিনায়কদের জোড়া শূন্য লাভ
২২জন অধিনায়ক টেস্টে জোড়া শূন্য লাভ করেছেন।[5]
- জো ডার্লিং, অস্ট্রেলিয়া ব ইংল্যান্ড, শেফিল্ড, ১৯০২
- লুইস ট্যানক্রেড, দক্ষিণ আফ্রিকা ব ইংল্যান্ড, ওভাল, ১৯১২
- বিজয় হাজারে, ভারত ব ইংল্যান্ড, কানপুর, ১৯৫১-৫২
- হ্যারি কেভ, নিউজিল্যান্ড ব ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ডুনেডিন, ১৯৫৫-৫৬
- ফ্রাঙ্ক ওরেল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব অস্ট্রেলিয়া, মেলবোর্ন, ১৯৬০-৬১
- রিচি বেনো, অস্ট্রেলিয়া ব ইংল্যান্ড, লিডস, ১৯৬১
- ইমতিয়াজ আহমেদ, পাকিস্তান ব ইংল্যান্ড, ঢাকা, ১৯৬১-৬২
- বিষেন সিং বেদী, ভারত ব ইংল্যান্ড, দিল্লি, ১৯৭৬-৭৭
- ইয়ান বোথাম, ইংল্যান্ড ব অস্ট্রেলিয়া, লর্ডস, ১৯৮১
- অ্যালান বর্ডার, অস্ট্রেলিয়া ব ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পার্থ, ১৯৯২-৯৩
- মার্ক টেলর, অস্ট্রেলিয়া ব পাকিস্তান, করাচী, ১৯৯৪-৯৫
- স্টিফেন ফ্লেমিং, নিউজিল্যান্ড ব অস্ট্রেলিয়া, হোবার্ট, ১৯৯৭-৯৮
- কোর্টনি ওয়ালশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব পাকিস্তান, রাওয়ালপিন্ডি, ১৯৯৭-৯৮
- রশীদ লতিফ, পাকিস্তান ব দক্ষিণ আফ্রিকা, পোর্ট এলিজাবেথ, ১৯৯৭-৯৮
- নাসের হুসেন, ইংল্যান্ড ব ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ওভাল, ২০০০
- জিমি অ্যাডামস, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব অস্ট্রেলিয়া, মেলবোর্ন, ২০০০-০১
- ওয়াকার ইউনুস, পাকিস্তান ব অস্ট্রেলিয়া, শারজাহ, ২০০২-০৩
- হাবিবুল বাশার, বাংলাদেশ ব জিম্বাবুয়ে, হারারে, ২০০৩-০৪
- মারভান আতাপাত্তু, শ্রীলঙ্কা ব পাকিস্তান, ফয়সালাবাদ, ২০০৪-০৫
- এবি ডি ভিলিয়ার্স, দক্ষিণ আফ্রিকা ব ইংল্যান্ড, সেঞ্চুরিয়ন, ২০১৫-১৬
- সরফরাজ আহমেদ, পাকিস্তান ব দক্ষিণ আফ্রিকা, সেঞ্চুরিয়ন, ২০১৮-১৯
- ফাফ দু প্লেসিস, দক্ষিণ আফ্রিকা ব পাকিস্তান, সেঞ্চুরিয়ন, ২০১৮-১৯
টেস্ট ক্রিকেটে কিং পেয়ার লাভ
কোন ব্যাটসম্যান প্রথম বলেই আউট হলে গোল্ডেন ডাক লাভ করেন। অন্যদিক, যদি কোন ব্যাটসম্যান উভয় ইনিংসেই প্রথম বলে আউট হন তখন তিনি কিং পেয়ার বলে আখ্যায়িত করা হয়। এ ধরনের দূর্ভাগ্যের কবলে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ২১জন খেলোয়াড়ের নাম রয়েছে।[6]
- উইলিয়াম অ্যাটওয়েল, ইংল্যান্ড ব অস্ট্রেলিয়া, সিডনি, ১৮৯১-৯২
- আর্নি হেইস, ইংল্যান্ড ব দক্ষিণ আফ্রিকা, কেপটাউন, ১৯০৫-০৬
- বার্ট ভগলার, দক্ষিণ আফ্রিকা ব অস্ট্রেলিয়া, সিডনি, ১৯১০-১১
- টমি ওয়ার্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ব অস্ট্রেলিয়া, ওল্ড ট্রাফোর্ড, ১৯১২
- রবার্ট ক্রিস্প, দক্ষিণ আফ্রিকা ব অস্ট্রেলিয়া, কিংসমিড, ১৯৩৫-৩৬
- ইয়ান কলকুহন, নিউজিল্যান্ড ব ইংল্যান্ড, ইডেন পার্ক, ১৯৫৪-৫৫
- কলিন ওয়েসলি, দক্ষিণ আফ্রিকা ব ইংল্যান্ড, ট্রেন্ট ব্রিজ, ১৯৬০
- ভাগবত চন্দ্রশেখর, ভারত ব অস্ট্রেলিয়া, মেলবোর্ন, ১৯৭৭-৭৮
- গ্যারি ট্রুপ, নিউজিল্যান্ড ব ভারত, ওয়েলিংটন, ১৯৮০-৮১
- ডেভ রিচার্ডসন, দক্ষিণ আফ্রিকা ব পাকিস্তান, জোহেন্সবার্গ, ১৯৯৪-৯৫
- অ্যাডাম হাকল, জিম্বাবুয়ে ব পাকিস্তান, হারারে, ১৯৯৭-৯৮
- অজিত আগরকর, ভারত ব অস্ট্রেলিয়া, মেলবোর্ন, ১৯৯৯-২০০০
- অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, অস্ট্রেলিয়া ব ভারত, কলকাতা, ২০০০-০১
- জাভেদ ওমর, বাংলাদেশ ব ভারত, ঢাকা, ২০০৭
- রায়ান হারিস, অস্ট্রেলিয়া ব ইংল্যান্ড, অ্যাডিলেড, ২০১০
- বীরেন্দ্র শেওয়াগ, ভারত ব ইংল্যান্ড, এজবাস্টন, ২০১১
- রঙ্গনা হেরাথ, শ্রীলঙ্কা ব পাকিস্তান, শারজাহ, ২০১৪
- ধাম্মিকা প্রসাদ, শ্রীলঙ্কা ব পাকিস্তান, পল্লেকেলে, ২০১৫
- জেমস অ্যান্ডারসন, ইংল্যান্ড ব ভারত, বিশাখাপত্তনম, ২০১৬
- নুয়ান প্রদীপ, শ্রীলঙ্কা ব পাকিস্তান, শেখ জায়েদ স্টেডিয়াম, ২০১৭
- নুরুল হাসান, বাংলাদেশ ব ওয়েস্ট ইন্ডিজ, কিংস্টন, ২০১৮
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে উল্লেখযোগ্য জোড়া শূন্য লাভ
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অনেক খেলোয়াড়ই জোড়া শূন্য লাভ করেছেন। নর্দাম্পটনশায়ারের মিক নরম্যান একই দিনে জোড়া শূন্য লাভের অধিকারী হন। জুন, ১৯৬৪ সালে সোয়ানসীর সেন্ট হেলেন্সে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
জুন, ১৯৪৬ সালে কার্ডিফ আর্মস পার্কে সফররত ভারতীয় একাদশের বিপক্ষে গ্ল্যামারগন ফলো-অনের কবলে পড়ে। চন্দ্র শরতের বলে পিটার জাজ শেষ ব্যক্তি হিসেবে শূন্য রানে আউট হন। ফলো-অনে পড়ে ১০ মিনিটের বিরতিতে গ্ল্যামারগনের অধিনায়ক জনি ক্লে স্ট্রাইকবিহীন অবস্থায় থাকেন ও ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে জাজকে দ্বিতীয় বলেই বোল্ড করেন। এরফলে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে জোড়া শূন্য লাভের ঘটনা ঘটে।[7][8]
জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা একই দিনে দুইবার টেস্টে শূন্য রানের সন্ধান পান। ২৮ জানুয়ারি, ২০১২ তারিখে তার দলের দুই ইনিংসই একই দিনে শেষ হয়ে যায়।[9] ২৭ জুলাই, ১৯৫৬ তারিখে বিখ্যাত ক্রিকেটার নীল হার্ভে জোড়া শূন্য রানের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। জিম লেকারের খেলায় ৯০ রান খরচায় ১৯ উইকেট লাভের কীর্তিতে দ্বিতীয় দিনে ২ ঘণ্টার ব্যবধানে হার্ভে জোড়া শূন্য রান করেন।
টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে অনানুষ্ঠানিক জোড়া শূন্য রান
সীমিত ওভারের খেলা সুপার ওভারের দিকে গড়ালে নিয়মিত ইনিংস ও সুপার ওভারে জোড়া শূন্য রান লাভের সম্ভাবনা থাকে। তবে, সুপার ওভারে সংগৃহীত রান খেলোয়াড়ের পরিসংখ্যানে রাখা হয় না বিধায় এ ঘটনাটিকে কখনোবা অনানুষ্ঠানিক জোড়া শূন্য রানরূপে আখ্যায়িত করা হয়।[10] ২৫ জুলাই, ২০১৩ তারিখে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স বনাম হাবিব ব্যাংক লিমিটেডের মধ্যকার খেলায় অনানুষ্ঠানিক জোড়া শূন্য রানের সন্ধান পেয়েছিলেন শোয়েব মালিক।[11] অন্যদিকে, ১০ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে সিডনি সিক্সার্স বনাম পার্থ স্কর্চার্সের মধ্যকার খেলায় মইজেস হেনরিক্স অনানুষ্ঠানিক জোড়া শূন্য রান পান।[10]
তথ্যসূত্র
- Blofeld, Henry (১৮ আগস্ট ২০০৩)। "CRICKET: Smith has the class and character to revive England"। The Independent। FindArticles। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
Conversely, Graham Gooch made a pair of spectacles in his first Test, against Australia.
- Records – Test matches – Most pairs in career, Cricinfo, Retrieved on 8 December 2016
- Records – Test matches – Pair on debut, Cricinfo, Retrieved on 8 December 2016
- Players Scoring Ducks in 3 or More Consecutive Innings, Howstat, Retrieved on 20 February 2009
- Records – Test matches – Pairs by captain, Cricinfo, Retrieved on 28 December 2018
- "HowSTAT! Test Cricket - King Pairs"। www.howstat.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২৮।
- The coach who caught Sachin, and a much-travelled man, Cricinfo, Retrieved on 20 February 2009
- John Arlott: Basingstoke Boy 1992 Fontana
- "Only Test: New Zealand v Zimbabwe at Napier, Jan 26–28, 2012 | Cricket Scorecard"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-২৮।
- Malcolm, Alex। "Arafat holds his nerve in One-Over Eliminator"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৪।
- Super Over gives HBL PCB Ramazan T20 Cup