টেরা-

টেরা (প্রতীক T) হলো মেট্রিক ব্যবস্থায় এককের একটি এসআই উপসর্গ। টেরা দ্বারা এক ট্রিলিয়ন বা ১০১২ বা ১০,০০,০০,০০,০০,০০০ (ক্ষুদ্র স্কেলে এক ট্রিলিয়ন এবং দীর্ঘ স্কেলে এক বিলিয়ন) সংখ্যক মান প্রকাশ করে। টেরা শব্দটির উৎপত্তি প্রাচীন গ্রিক শব্দ "টেরাস" (τέρας; teras) থেকে, যার অর্থ "দানব"।[1] ১৯৬০ সালে উপসর্গটি আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতিতে স্বীকৃত হয়।

ব্যবহারের উদাহরণ

  • টেরাহার্জ বিকিরণ: এক ধরনের তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ, যার কম্পাঙ্ক ব্যান্ডের সীমা ০.৩ থেকে ৩ THz (টেরাহার্জ) এর মধ্যে অবস্থিত। দৃশ্যমান আলোর কম্পাঙ্ক ৫০০ THz (টেরাহার্জ) এর কাছাকাছি।
  • টেরাবিটটেরাবাইট হলো ডেটা সংরক্ষণ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত দুইটি একক। টেবি-, বা ২৪০ হলো টেরা-এর প্রায় সমমানের একটি বাইনারি উপসর্গ, যেখানে টেবি-এর মান টেরা-এর চেয়ে প্রায় ৯.৯৫% বেশি মাত্র।
  • টেরাগ্রাম: ১০ কেজির সমান। গিজার মহাপিরামিডের ওজন প্রায় ৬ Tg (টেরাগ্রাম)।
  • টেরাসেকেন্ড: প্রায় ৩১,৫৫৮ বছরের সমান।
  • টেরালিটার: ১০ m (ঘন মিটার) এর সমান। জুরিখ হ্রদ প্রায় ৪ TL (টেরালিটার) পানি ধারণ করতে পারে।
  • টেরাওয়াট: মানুষের মোট ব্যবহৃত শক্তির পরিমাণ হিসাব করতে ব্যবহৃত হয়। ২০১০ সালে এর মান ছিল ১৬ TW (টেরাওয়াট; TJ/s বা টেরাজুল প্রতি সেকেন্ড)।
  • টেরামিটার (= ১,০০,০০,০০,০০০ কিমি): আলোর বেগ প্রতি ঘণ্টায় ১.০৭৯ Tm (টেরামিটার)।

আরও দেখুন

  • আরকেএম কোড

তথ্যসূত্র

  1. C. Upward, G. Davidson, The History of English Spelling, Wiley-Blackwell (2011)
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.