টারটিয়াস বস

টারটিয়াস বস (ইংরেজি: Tertius Bosch; জন্ম: ১৪ মার্চ, ১৯৬৬ - মৃত্যু: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০০) ট্রান্সভাল প্রদেশের ভেরিনিগিং এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯২ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে খেলেছেন।

টারটিয়াস বস
১৯৯২ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে টারটিয়াস বস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামটারটিয়াস বস
জন্ম(১৯৬৬-০৩-১৪)১৪ মার্চ ১৯৬৬
ভেরিনিগিং, ট্রান্সভাল, দক্ষিণ আফ্রিকা
মৃত্যু১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০০(2000-02-14) (বয়স ৩৩)
ওয়েস্টভিল, কোয়াজুলু-নাটাল, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
সম্পর্ককরবিন বস (পুত্র) ও ইথান বস (পুত্র)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ২৩৬)
১৮ এপ্রিল ১৯৯২ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৮)
২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ ওডিআই১২ এপ্রিল ১৯৯২ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮৬/৮৭-১৯৯৩/৯৪নর্দার্ন ট্রান্সভাল
১৯৯৪/৯৫-১৯৯৭/৯৮নাটাল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৬৮ ৮০
রানের সংখ্যা ৩৭২ ৯১
ব্যাটিং গড় ৮.০৮ ৬.৫০
১০০/৫০ / / / /
সর্বোচ্চ রান * ৩১ ১৯*
বল করেছে ২৩৭ ৫১ ১১৯১৪ ৩৮৬৯
উইকেট ২১০ ১০৫
বোলিং গড় ৩৪.৬৬ ২৭.৫৬ ২৪.১৮
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ২/৩১ ৭/৭৫ ৫/৫৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং / / ২০/ ১০/
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ মার্চ ২০১৮

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নর্দার্ন ট্রান্সভাল ও নাটালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন তিনি।

খেলোয়াড়ী জীবন

প্রিটোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দন্ত বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। ছাত্র অবস্থাতেই ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে ক্রিকেট অঙ্গনে অংশগ্রহণ করতে থাকেন।[1]

১২ এপ্রিল, ১৯৯২ তারিখে ব্রিজটাউনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার টেস্টে একমাত্র অংশগ্রহণ ছিল। একই বছরে দুইটি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন টারটিয়াস বস।

অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে কেপলার ওয়েসেলসের নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।[2] ঐ প্রতিযোগিতায় তার দল বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলায় সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজিত হবার মাধ্যমে বিদায় নেয়।

দেহাবসান

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। কারেন অ্যান নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। তার পুত্র করবিন বস প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটার ও অপর পুত্র ইথান বস রয়েছে।

কোয়াজুলু-নাটালের ওয়েস্টভিল এলাকায় ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০০ তারিখে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে তার দেহাবসান ঘটে। তিনি গুলেন বারি সিনড্রোম রোগে ভুগছিলেন। তবে, তার স্ত্রী কারেন অ্যান এ মৃত্যুতে বিষক্রিয়ার সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনেন। ২০০৩ সালে বসের বোন উচ্চ আদালতে কারেনের সম্পত্তির মালিকানার দাবীদারের বিষয়ে সফলতার সাথে আবেদন করেন। ২০০৫ সালে বসের মৃতদেহ কুইন্সবার্গ সমাহিতক্ষেত্র থেকে উত্তোলন করা হয়। তার ভাই-বোনেরা ব্যক্তিগতভাবে গোয়েন্দা নিয়োগ করেন ও পরবর্তীতে স্ত্রীর অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়। এছাড়াও, কারেনের বিষয়ে গোয়েন্দা নিয়োগ করা হয়।

তথ্যসূত্র

  1. http://www.espncricinfo.com/wctimeline/content/story/87369.html Tertius Bosch passes away Retrieved June 25, 2011
  2. "1992 Cricket World Cup Squads. worldcupofcricket.com."। ১৮ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৮

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.